ব্যবহৃত উইকেট ‘আরও মন্থর হবে’
চট্টগ্রামে উইকেট সাধারণত হয় ব্যাটিং বান্ধব। তবে এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে দেখা গেছে মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেট। সেই ম্যাচের উইকেটই রাখা হয়েছে প্রথম টি-টোয়েন্টির জন্যও। ব্যবহৃত উইকেটে তাই লো স্কোরিং ম্যাচের সম্ভাবনা দেখছে দুই দল।
বুধবার সকালে অনুশীলনে এসেই উইকেট নিয়ে আলাপ করতে দেখা যায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। আফিফ হোসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে বলছিলেন, 'ভাই উইকেটে তো অনেক স্পিন থাকবে।' সাকিবের জবাব, 'রেডি থাক, তোকেও বল করতে হবে।'
আফিফের বল করতে হবে কিনা, কালই হয়ত দেখা যাবে। তবে স্পিনাররা যে চট্টগ্রামেও রাজত্ব করতে যাচ্ছেন তা অনেকটা পরিষ্কার। সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশের কোচ উইকেট নিয়ে প্রশ্নে দেন সোজাসাপ্টা জবাব, 'আমরা একই পিচে খেলব যেখানে ওয়ানডে খেলেছি। দুই দিনে উইকেট তেমন বদলাবে না। এটা একইরকম।'
দুপুরে ইংল্যান্ড দলও মাঠে এসে জেনেছে তাদের জন্য কাজটা কঠিন রাখতে চাইছে স্বাগতিকরা। ইংলিশ পেসার পেসার ক্রস ওকসের মতে, ওয়ানডে থেকেও তুলনামূলক মন্থর হতে পারে ব্যবহৃত এই উইকেট, 'আমি অনুমান করছি এটা তুলনামূলক আরও মন্থর হবে। খেলা আগেই শুরু হবে, শিশিরের কোন সমস্যা থাকবে। কাজেই মন্তর থাকবে উইকেট। আমি ধারণা করি এবং আমি নিশ্চিত স্পিন হবে, স্পিনার ও স্লো বোলারদের বল থেমে আসবে। একজন পেস বোলার বা সিম বোলার হিসেবে আপনাকে বৈচিত্র্য ব্যবহার করতে হবে। হ্যাঁ পিচটা এরকমই।'
এমন উইকেটে পেসারদের গতি কমিয়ে বল করার প্রয়োজনীয়তাও দেখছেন ওকস, 'পেস বোলারদের গতির তারতম্য ব্যবহার করতে হবে। স্লোয়ার বাউন্সার মারতে হবে।'
সর্বশেষ বিপিএলে চট্টগ্রামের উইকেটে বড় রানের দেখা মিলেছিল। দুই রকম বাউন্স না থাকায় বল ব্যাটে এসেছে ভালো। রান করার জন্য ভালো উইকেট স্বাভাবিক কারণেই ইংল্যান্ডের জন্য রাখতে চায় না বাংলাদেশ। মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেট হলে স্বাগতিক স্পিনাররা নিতে পারেন বাড়তি সুবিধা। হোম কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের আপাতত লক্ষ্য সেরকমই।
সাধারণ উইকেটে ঘাস থাকলে বল ব্যাটে আসে ভালো। চট্টগ্রামের এই উইকেটে ওয়ানডের আগের দিনই ঘাসের কোন ছোঁয়া রাখা হয়নি। নরম উইকেট দ্রুতই পক্ষে গেছে স্লো বোলারদের। বল থেমে এসেছে, কিছু বল নিচু হওয়ায় ব্যাটারদের মধ্যে তৈরি হয়েছে দ্বিধা। টি-টোয়েন্টিতে এরকম উইকেট থাকায় বড় রান দেখার সম্ভাবনা তাই ক্ষীণ।
Comments