বাংলাদেশের সঙ্গে খেলা বাড়ানোর ইচ্ছা জানিয়েছেন ইসিবি চেয়ারম্যান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রভাবশালী তিন দলের মধ্যে কেবল ভারতের সঙ্গেই ঘন ঘন সিরিজ খেলতে পারে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজ হয় অনেকটা কালেভদ্রে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেমন বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ খেলল সাত বছর পর। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে দুদল মুখোমুখি হলো সেই ২০১৯ বিশ্বকাপের পর। এই প্রথমবার হবে দুদলের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই পরিস্থিতি বদলানোর সম্ভাবনা দেখছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) চেয়ারম্যান রিচার্ড থমসন বোর্ড প্রধানকে নাকি জানিয়েছেন এমন ভাবনার কথা।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে বাংলাদেশে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসেছিল ইংল্যান্ড। এরপর কেবল আইসিসির আসরেই দেখা হয় দুদলের। ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয় দুদল। এর বাইরে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের আর কোন লড়াই দেখা যায়নি।
এবার ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন বাংলাদেশ সফরে বিসিবির আমন্ত্রণে আসেন থমসন। সোমবার চট্টগ্রামে শেষ ওয়ানডের পর বোর্ড প্রধান জানান, সার্বিক বিষয় ঘুরে দেখে মুগ্ধ ইসিবি চেয়ারম্যান। দুই দলের মধ্যে লড়াইয়ের ঝাঁজ দেখে খেলা বাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি, 'ওদের চেয়ারম্যান এসেছিলেন। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান। আপনারা জানেন যে, আমাদের সঙ্গে দুটো ম্যাচ দেখেছেন। সে নিজেও অবাক হয়েছে এত সুন্দর পরিবেশ, এত সুন্দর আয়োজন দেখে।'
'এরকম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ, প্রথম ম্যাচটা যখন ও দেখেছে, কেন যে ইংল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের খেলা আরও বেশি হচ্ছে না, এ জিনিসটা সে বুঝতে পারছে না। সে নতুন হয়েছে চেয়ারম্যান। বলেছে, গিয়ে অবশ্য এ জিনিসটা ওপর সে নজর দেবে।'
ঠাসা সূচির জটে এফটিপির বাইরে কোন সিরিজ আয়োজন কঠিন। বাংলাদেশে ইংল্যান্ড সফরে এলেও তাদের দেশে গিয়ে বাংলাদেশ সর্বশেষ সিরিজ খেলেছিল সেই ২০১০ সালে। এই পরিস্থিতি বদল হতে হলে অনেক কিছুই নির্ভর করে।
তবে জাতীয় দলের বাইরে বিভিন্ন প্রোগ্রামে দুই দেশের বিনিময়ের সুযোগ দেখছেন নাজমুল, 'আমাদের সঙ্গে কো-অপারেশন এবং কোলাবোরেশন কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, এ টিম থেকে শুরু করে অনূর্ধ্ব-১৯ টিম, কোচিংয়ের ব্যাপারে… এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম করা যায় এসব দেখবেন বলেছেন তিনি।'
Comments