‘সাকিব অভূতপূর্ব, যেকোনো দলের জন্যই আশীর্বাদ’

Shakib Al Hasan
৩০০ উইকেট স্পর্শ করার পর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে বাংলাদেশ দলের উদযাপন। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সিরিজ হার নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। সাকিব আল হাসানও নিজের মান অনুযায়ী সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে সাকিবকে পাওয়া গেল সেরা অবস্থা। ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখে দলকে পাওয়ে দিলেন লড়াইয়ের পুঁজি। পরে বল হাতে জ্বলে উঠে কেড়ে নিলেন আলো। বাংলাদেশের আরও একটি জয়ে হলেন নায়ক, স্পর্শ করলেন ৩০০ উইকেটের মাইলফলক। অধিনায়ক তামিম ইকবাল স্বাভাবিক কারণেই সাকিবের পারফম্যান্সে উদ্বেলিত। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক জস বাটলারও করলেন প্রশংসা।

সোমবার চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটা ছিল সাকিবময়। ৭১ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে বাংলাদেশকে তিনি পাইয়ে দেন ২৪৬ রানের পুঁজি। পরে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে মুড়ে দেন ইংল্যান্ডের ইনিংস। প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ৩০০ উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করে ফেলেন এই তারকা।

ম্যাচ শেষে দলের হয়ে কথা বলতে এসে সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন তামিম,  'আমার মনে হয় সে অভূতপূর্ব। যেভাবে সে ব্যাট করেছে। বিশেষ করে টেল এন্ডারদের নিয়ে ২০-২৫ রান যোগ করেছে তা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সত্যি কথা বলতে উইকেটে তেমন স্পিন হচ্ছিল না। কিন্তু যেভাবে সে বল করেছে তা ছিল দুর্দান্ত। এটা তাইজুলকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে, শুরুতে ও (তাইজুল) ভাল করেনি। ও পরে সাকিবের সঙ্গে কথা বলে। আমার মনে হয় সাকিবের এটা দুর্দান্ত প্রয়াস।'

তিন উইকেট পড়ার পর ক্রিজে যান সাকিব। দ্রুত পড়তে থাকে উইকেট। এক প্রান্তে তিনি তবু ছিলেন অবিচল। ২১৯ রানে ৭ উইকেট পড়ার পরও আড়াইশর কাছে নিয়ে যান দলের পুঁজি। বোলিংয়েও দলের ভীষণ প্রয়োজনে দিয়েছেন সাড়া। রান তাড়ায় দুই ইংলিশ ওপেনার যখন ওভার প্রতি ছয়ের উপর করে রান নিয়ে খেলা করে দিচ্ছিলেন সহজ, তখন বল করতে এসেই এনে দেন উইকেট।

তামিম মনে করেন মনের জোরেই চাপের মুহূর্তে ভাল করেন তিনি,  'আমার মনে হয় সে মানসিকভাবে খুবই শক্ত। যতবারই দেখেন চাপের মুহূর্তে সে একইরকম পারফরম্যান্স করে। সে আগেও এটা করে দেখিয়েছে। তার দারুণ দক্ষতাও আছে যেটা তার মানসিকতাকে সহায়তা করে। খুব বেশি লোক নেই যে কিনা ১০ ওভার এরকম বল করে আবার ব্যাট করে। সে দুই ভূমিকা ভালোভাবে সামলায়।'

প্রতিপক্ষ অধিনায়ক জস বাটলারও সাকিবকে ভাসিয়েছেন প্রশংসায়,  'অবশ্যই সে দুর্দান্ত খেলোয়াড়। পরিসংখ্যানই তার হয়ে কথা বলবে। তাই না? তার  বিপক্ষে খেলা দারুণ চ্যালেঞ্জের। যদি ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ফিরে তাকান, তার পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। মেধাবী খেলোয়াড় সে।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

3h ago