‘ইংল্যান্ডের ব্যাটার কম থাকায় আমাদের জন্য এডভান্টেজ ছিল’
টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাত্র ১৩ জনের স্কোয়াড নিয়ে খেলা ইংল্যান্ড দলে বিশেষজ্ঞ ব্যাটার ছিলেন স্রেফ চারজন। একাদশেও তাই আদর্শ সমন্বয় পায়নি তারা। প্রতিপক্ষের এই দুর্বলতা নিজেদের জন্য যে বাড়তি সুবিধার ছিল, তা অকপটে স্বীকার করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
ওয়ানডে সিরিজের সময় চোটে পড়ে ছিটকে যান উইল জ্যাকস। এর আগে চোট পড়ে আসেননি টম আবেল। এই দুজনের কোন বিকল্প দেশ থেকে আর টি-টোয়েন্টির জন্য আনেনি ইংল্যান্ড। ১৩ জনের স্কোয়াডে পেসার রিস টপলিও চোটে থাকায় মূলত ১২ জন নিয়ে সিরিজ খেলেছে জস বাটলারের দল।
এই নিয়ে দেশটির গণমাধ্যমের সমালোচনায় পড়েছে তারা। এমনকি সাবেক অধিনায়ক নাসের হোসেইন, এই সিরিজের প্রতি যথার্থ সম্মান না দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন ইংল্যান্ডের প্রতি।
মঙ্গলবার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৫৯ রান তাড়ায় ১৪২ পর্যন্ত যেতে পারে সফরকারীরা। ডাভিড মালান (৫৩) ও বাটলার (৪০) আউট হওয়ার পর হুড়মুড় করে ধসে যায় তারা। প্রথম দুই ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে ভুগেছে তারা।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে জানান, প্রতিপক্ষের দুর্বলতার কথা জেনে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তারা, 'যখন হোমে খেলা, আত্মবিশ্বাস আরও বেশি ছিল। আমরা জানতাম ভালো খেললে.. (ভালো ফল আসবে)। ইংল্যান্ডের ব্যাটার কিছু কমতি ছিল। যে জায়গাতে আমাদের ক্যাপিটালাইজ করার সুযোগ ছিল, করতে পেরেছি। যখন ওদের তিন-চার উইকেট পড়ে গেছে, ওরকম ব্যাটার ছিল না। ওটা আমাদের জন্য এডভান্টেজ ছিল।'
তবে কেবল প্রতিপক্ষের ঘাটতি নয়, নিজেদের উন্নতির ধারাও দেখছেন তিনি, 'আমরা জানতাম আমরা খুবই ক্লোজ ছিলাম। আমার মনে হয় পুরো দলেরই বিশ্বকাপ থেকে এই আত্মবিশ্বাস জন্মেছে যে আমরা বড় দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে অনেক সংশয় ছিল, কিন্তু বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স আমাদের বিশ্বাস দিয়েছে বড় দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি।'
Comments