মেসির মিসের পরও হারের শঙ্কা ছিল না আর্জেন্টিনার
শুরুতেই অধিনায়ক লিওনেল মেসি মারলেন ক্রসবারে। তাতে শুরুতেই আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকার কথা আর্জেন্টাইনদের। কিন্তু শিষ্যদের মাঝে এমন কোনো শঙ্কাই দেখতে পাননি কোচ লিওনেল স্কালোনি। গোলবারে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ থাকায় সবার মাঝে আর্জেন্টিনা জিতবে বলেই বিশ্বাস দেখেছেন এই কোচ।
আর শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তা। হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে টাইব্রেকারে পার্থক্য গড়ে দেন এমিলিয়ানো। মেসির মিসের প্রভাব বিন্দুমাত্র পড়তে দেননি সতীর্থদের মাঝে। ইকুয়েডরের প্রথম দুটি পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে উল্টো লিড এনে দেন তিনি। সেই লিড ধরে রেখে শেষ পর্যন্ত সেমি-ফাইনালের টিকিট কাটে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোচের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে উঠল বিষয়টি, 'একজন গোলরক্ষক মাঝে মাঝে বল স্পর্শ করে, কিন্তু দিবু (এমিলিয়ানো মার্তিনেজ) সেভ করে এবং মাঠে গর্জন তোলে। পেনাল্টি শুট-আউটে, গোলরক্ষকের উপর দলের অন্ধ বিশ্বাস আছে এবং এটি ভিন্ন একটা ব্যাপার। এমনকি লিও (মেসি) মিস করার পরও দল জানত যে ইতিবাচক কিছু ঘটতে চলেছে।'
তবে কোপা আমেরিকায় মাঠের খেলায় এখনও সন্তুষ্ট করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। এদিন মাঠের লড়াইয়ে তুলনামূলক চিত্রে এগিয়ে চিল ইকুয়েডরই। ম্যাচের প্রতি দলের প্রতিক্রিয়াও তুলে ধরেছেন কোচ, 'ইতিবাচক বিষয় হল আমরা জিতেছি এবং এর বাইরেও আমি এমন কিছু তুলে ধরতে চাই না যা আপনারা এরমধ্যেই জানেন, দলটি সেখানে রয়েছে। সত্য যে প্রতিদ্বন্দ্বী আপনাকে বশীভূত করেছে, তারা সর্বদা প্রতিক্রিয়া জানায় কেউ আসছে, তাই প্লাগ ইন করে এবং ভাল করার ইচ্ছা থাকে।'
আর টাইব্রেকার তো একেবারেই উপভোগ করেননি এই কোচ। অথচ তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় পুরস্কারের নিষ্পত্তি হয়েছিল টাইব্রেকারেই। কাতারে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোলরক্ষক এমিলিয়ানোর অতিমানবীয় পারফরম্যান্সেই বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচ দারুণ উপভোগ করলেও এদিন উপভোগ করতে পারেননি এই কোচ, 'এবার আমি কিছুই উপভোগ করিনি। আমরা অবশ্যই খুশি, কিন্তু এই সময় আমার ভালো সময় ছিল না।'
কাতারে ফ্রান্স প্রতিপক্ষ হিসেবে সমমানের হলেও ইকুয়েডরের চেয়ে শক্তি ও সামর্থ্যে ঢের এগিয়ে ছিলেন লিওনেল মেসিরা। কিন্তু ম্যাচে সমান তালেই লড়েছে ইকুয়েডর। মাঝমাঠের দখলে সমান সমান হলেও শট বেশি নিয়েছে তারাই। এমনকি গোল করার মতো অপেক্ষাকৃত সহজ সুযোগ নষ্ট করেছে ইকুয়েডরই। পেনাল্টি মিস না করলে ফলাফল ভিন্নও হতে পারতো।
Comments