ভিএআরের ভুলে পেনাল্টি বঞ্চিত ব্রাজিল

আয়োজক সংস্থার প্রকাশিত ভিএআর বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে আসলেই নায্য পেনাল্টি বঞ্চিত হয়েছে ব্রাজিল।
Vinicius Junior
এই ঘটনায় পেনাল্টি না পেয়ে ক্ষুব্ধ ছিলো ব্রাজিল। ছবি: সংগ্রহ

কলম্বিয়ার বিপক্ষে ড্র করার পর রেফারির একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র। তার একটি ছিলো ৪২ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে বক্সের ভেতর ফেলা দেয়ার পরও পেনাল্টি না দেওয়া। ম্যাচের পরদিন আয়োজক সংস্থার প্রকাশিত বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে আসলেই নায্য পেনাল্টি বঞ্চিত হয়েছে ব্রাজিল।

কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বুধবার সকালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে ব্রাজিল। এই ড্রয়ের ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের ম্যাচ পড়েছে উরুগুয়ের বিপক্ষে, জিতলে তারা পেত সহজ প্রতিপক্ষ পানামাকে।

ম্যাচে ১২ মিনিটে রাফিনিহার গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ৪২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ এসেছিলো। কলম্বিয়ার ডি-বক্সে বল নিয়ে ছুটে যাওয়া ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ট্যাকল করে ফেলে দেন ডিফেন্ডার দানিয়েল মুনোজ। মাঠের ভেনেজুয়েলার রেফারি হেসুস ভেলেনজুয়েলা দৃশ্যটি কাছ থেকে দেখতে না পেরে খেলা চালিয়ে যান।

তবে পেনাল্টি হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখতে ভিএআর আর্জেন্টাইন মাউরো ভিজিলিয়ানোর কাছে যাওয়া হয়। তিনি পরীক্ষা করে পেনাল্টি দেননি।  কর্নারের নির্দেশ দেন রেফারি।

সাধারণত কোন ট্যাকেলের  আগে বল স্পর্শ না করলে ফাউল ধরা হয়। ভিডিও অ্যাসিসটেন্স রেফারি নিশ্চিত হন ভিনিসিয়ুসকে আটকানোর মুহূর্তে আগে বলে স্পর্শ করেছিলো মুনোজের পা।

তবে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশন কনমেবলের বিশ্লেষণ বলছে ভিন্ন কথা। কোপা আমেরিকার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভিডিওতে বলা হয়, 'খেলার ৪২ মিনিটে বক্সের (কলম্বিয়ার) ভেতর বল দখলের লড়াই চলে। ওই সময় ডিফেন্ডার বল স্পর্শ করেননি। এই লড়াইয়ের ফলের বেপরোয়া ট্যাকল হয়। রেফারির চোখে এই দৃশ্য ধরা পড়েনি তিনি খেলা চালিয়ে যেতে বলেন। ভিএআর প্রোটোকল পরীক্ষায় গতি, বিভিন্ন কোন থেকে দেখেও ডিফেন্ডার যে ট্যাকলের আগে বল স্পর্শ করেননি তা ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। এবং ভুলভাবে মাঠের রেফারির সিদ্ধান্তকে বহাল রেখেছেন।'

অর্থাৎ ভিএআরের সিদ্ধান্ত ছিলো ভুল। তিনি ঠিক সিদ্ধান্ত নিলে ওই ঘটনায় পেনাল্টি পেত ব্রাজিল। ব্রাজিল কোচ দরিভালের ভাষায় ম্যাচের দৃশ্যপটও বদলে যেতে পারত তাতে।

এই ম্যাচে ভিএআরের আরেকটি সিদ্ধান্ত নিয়েও হয়েছে বিতর্ক। ১৯ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে হেডে বল জালে ঢুকিয়েছিলো কলম্বিয়া। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী রেফারি অফ সাইডের পতাকা তুলেন। তখনও নিশ্চিত হতে ভিএআর পরীক্ষা হয়। তাতে অফসাইডের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। কনমেবল এই সিদ্ধান্তের বিশ্লেষণও করেছে তাতে  দেখিয়েছে আসলেই কলম্বিয়ার একজন খেলোয়াড় অফ সাইডে ছিলেন। কাজেই এক্ষেত্রে ভিএআরের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিলো।

Comments