আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে জানেনই না রিজওয়ান!
সেই ১৯৯৯ সালের নভেম্বরে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। এরপর থেকে বিশ্বের সকল দেশেই পালন হয়ে আসছে এই দিবসটি। তবে এই দিবস সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। এমনকি বিসিবির নানা আয়োজনেও বুঝতে পারেননি তিনি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস আসার আগেই শেষ হয়ে যাবে বিপিএল। তবে ফেব্রুয়ারি ভাষার মাস হওয়ায় বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার বিশেষ উদ্যোগ নেয় বিসিবি। এরমধ্যে বাংলা বর্ণমালা সম্বলিত বিশেষ বাহু বন্ধনী ছিল প্রতিটি খেলোয়াড়, খেলা পরিচালনাকারী কর্মকর্তা, ধারাভাষ্যকার ও উপস্থাপকদের হাতে। স্বাভাবিকভাবেই ছিল রিজওয়ানের হাতেও।
কিন্তু কেন এই ব্যাজ পরেছেন তা জানতেন না এ পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। সংবাদ সম্মেলনে তার সরল স্বীকারোক্তি, 'আমি বাংলাদেশকে শুভ কামনা জানাই, যদিও জানি না আজ কী দিন। পুরো দলের জন্যই পরেছি ব্যাজ। পুরো দল পরেছে, তাই আমিও পরেছি।'
তবে না জানার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছেন তিনি, ''এর জন্য দুঃখিত- আমি জানি না বাংলাদেশে আজ কী দিন। যদিও শুভেচ্ছা জানিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে বরাবরই ভালোবাসা পেয়েছি। কোচিং স্টাফ, খেলোয়াড় ও বিশেষত বাংলাদেশের মানুষ। আমি এখান থেকে পেশোয়ারের মতোই ভালোবাসা পাই। এখন যেখানে থাকি, আমি আলাদা কিছু দেখি না এই ভালোবাসার চেয়ে।'
তবে পরে যখন তাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হয়, তখন বাংলা ভাষার প্রতি তার ভালোবাসার কথা জানান রিজওয়ান। একই সঙ্গে বাংলায় কিছু শব্দও বলেন তিনি, 'ও আচ্ছা। আপনি যেমন বলেছেন, আজ বাংলাদেশের ভাষা দিবস। আমি শিখেছি ভালোবাসো, কেমন আছো, ভালো ভালো, এই ধরনের কিছু শব্দ।'
তবে এদিন সংবাদ সম্মেলনে ঢোকার পরই উপস্থিত সাংবাদিকদের বাংলায় জিজ্ঞাসা করেন, 'কেমন আছ, ভালো ভালো'। এরপর সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসা নানা প্রসঙ্গ।
বিপিএলের লিগ পর্বের শেষ দিনে বাংলা ভাষার ব্যবহার ছিল সব আয়োজনেই। সকল ধারাভাষ্যকার ও উপস্থাপক বাংলা বর্ণমালা সম্বলিত বিশেষ পোশাক পরেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস ও গুরুত্ব নিয়ে খেলা চলাকালীন আলোচনা করেন তারা। ধারাভাষ্যর সময় কিছু বাংলা শব্দ ব্যবহারও করেন। এদিন খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎকার নেয়া হয় বাংলায়।
Comments