‘বাংলাদেশই চাপে আছে’, জেতার স্বপ্ন নিয়ে বলছে আইরিশরা

Lorcan Tucker
সেঞ্চুরিয়ান লোরকান টাকার

দ্বিতীয় দিন শেষে মনে হচ্ছিল, এই টেস্টে বাকি স্রেফ কিছু আনুষ্ঠানিকতা। বাংলাদেশ পাচ্ছিল ইনিংস ব্যবধানে জেতার সুবাস। তৃতীয় দিনে বীরোচিত নৈপুণ্য দেখিয়ে উল্টো জয়ের স্বপ্ন দেখছে আয়ারল্যান্ডও। চোখ ধাঁধানো ব্যাটিংয়ে পুরো দিন রাঙানো সেঞ্চুরিয়ান লোরকান টাকার জানালেন, ম্যাচের এই অবস্থায় চাপে আছে বাংলাদেশই।

আয়ারল্যান্ডের ২১৪ রানের জবাবে ৩৬৯ করে ১৫৫ রানের লিড নেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় বিকেলে ১৩ রানেই দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের ৪ উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান আর তাইজুল ইসলাম।

ওই অবস্থা থেকে ১০৭ ওভার ব্যাট করে এখনো অলআউট হয়নি তারা। তৃতীয় দিনে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯০ ওভারে যোগ করেছে আরও ২৫৯ রান। ৮ উইকেটে ২৮৬ রান করে ১৩১ রানের লিড নিয়ে ফেলেছে তারা।

বৃহস্পতিবার দিনের খেলা শেষে চওড়া হাসি নিয়ে এবার বড় স্বপ্নের কথা জানিয়ে গেলেন টাকার,  'উইকেট খুব ভালো মনে হলো, হয়তো এটা আরও ভাঙবে। হয়ত রাতের বেলায় জাদুকরি কিছু হবে। আমরা জানি কাল আমরা উইকেট নিয়ে ম্যাচ জিততে পারব। আশা করছি বাংলাদেশকে সত্যিকারের একটা লক্ষ্য দেওয়া যাবে। আমাদের মনে হয় সব চাপ তাদের দিকে।'

নবম উইকেট জুটিতে অ্যান্ডি ম্যাকব্রেইন আর গ্রাহাম হিউম মিলে যোগ করেছেন ২১ রান। চতুর্থ দিনে শেষ দুই উইকেটে অন্তত আরও ৪০-৫০ রান যোগ করার লক্ষ্য ঠিক করেছে আইরিশরা, 'যদি ১৭০-১৮০ রানের লক্ষ্য দিতে পারি তাহলে খুবই খুশি হবো। আরও ৪০-৫০ রান করতে হবে।'

আগের দিন যেখানে নিজেরা ছিলেন প্রবল চাপে, এবার স্বাগতিকদের সেই চাপ ফিরিয়ে দেওয়াকে টেস্টের সৌন্দর্য হিসেবে দেখছেন টাকার, 'এটা একদম ঘুরে গেছে। গত কাল আমরা চাপে ছিলাম। কেবল টিকে থাকার চেষ্টা করেছি। এটাই টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য। আমরা শিখে শিখে এগুচ্ছি। কাল আমাদের সুবিধা থাকবে।'

নতুন টেস্ট দল আয়ারল্যান্ড প্রায় ৪ বছর পর এবার খেলতে নেমেছে টেস্ট। চলতি বছর আছে তাদের আরও তিন টেস্ট। এরমধ্যে অন্তত একটিতে জয়ের দেখা পেতে চায় তারা,  'আশা করছি টেস্টে আমাদের এমন দিন আরও আসবে। এটা চলতি বছর আমাদের চার টেস্টের প্রথমটি। বছরের শেষ দিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি আছে। আমরা চেষ্টা করছি একটা সাফল্যের। আমার মনে হয় বাংলাদেশই এখন চাপে আছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Protests disrupt city life in Dhaka

Protests disrupt city life, again

Protests blocking major thoroughfares in Karwan Bazar and Shahbagh left the capital largely paralysed

1h ago