টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

সূর্যের ক্যাচটা একদম ঠিকঠাক ছিলো, দুর্দান্ত দক্ষতা: পোলক

suryakumar yadav

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে শেষ ওভারে সূর্যকুমারের যাদবের নেওয়া ক্যাচ নিয়ে কিছু বিতর্ক তৈরি হলেও তাতে সার দেখেন না দক্ষিণ আফ্রিকান সাবেক অধিনায়ক শন পোলক। তার মতে সূর্যকুমারের নেওয়া ক্যাচটা একদম ঠিকঠাক ছিলো, তিনি দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছেন।

ফাইনালে শেষ ৬ বলে দরকার ছিলো ১৬ রানের। হার্দিক পান্ডিয়ার ল ফুলটসে উড়িয়ে মারেন মিলার। লং অফে লাফিয়ে বল ধরে সেটা ভেতরে উড়িয়ে ভারসাম্য রেখে আবার তা লুফেন সূর্যকুমার। অসাধারণ এই ক্যাচেই ম্যাচ মুঠোয় চলে আসে ভারতের। পরে সমীকরণ মেলাতে না পেরে ৭ রানে হারে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এই ক্যাচ নিয়ে কোন প্রশ্ন না তুললেও দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম বলেছিলেন, তৃতীয় আম্পায়ার একটু দ্রুতই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

বল ধরার সময় কি সূর্যকুমারের পা কি লাইন স্পর্শ করেছে? সেদিন ধারাভাষ্য দিতে মাঠে থাকা পোলক বলছেন একদম তা হয়নি। বাউন্ডারি লাইনের কুশনটা ম্যাচের প্রয়োজনে আগেই সরানো হয়েছে,  'ক্যাচটা একদম ঠিক ছিলো। কুশনটা সরেছে, কিন্তু সেটা খেলারই অংশ ছিলো। এটা সূর্যের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। সে কুশনে দাঁড়ায়নি। দুর্দান্ত দক্ষতা দেখিয়েছে।' 

একটি ছবিতে দেখা যায় বাউন্ডারি লাইনের কুশনের সামনে একটি সাদা দাগ। যেখানে বাউন্ডারি কুশন থাকায় সূর্যের আলো না লেগে এই দাগ তৈরি হয়। তবে এমন দৃশ্য ভারতের ইনিংসের সময়ও ছিলো। কারণ বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে এদিন খেলা হয়েছে ভিন্ন উইকেট। উইকেট বদল হলে চারপাশের সীমানা কুশনও সেভাবে অদল-বদল করা হয়।

ভারতীয় গণমাধ্যমে এক ধারাভাষ্যকার বলেন, 'আমি মাঠে ছিলাম। পুরো ম্যাচেই কুশন একই জায়গায় ছিলো। পিচ বদল হলে বাউন্ডারি কুশনও বদল হয়। এটাই স্বাভাবিক। সেই কারণেই সেখানে সাদা দাগ ছিলো।'

ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে এই বাপারে সূর্যকুমার বলেন,  'যখন আমি বলটা ভেতরে পাঠালাম এবং ক্যাচ নিলাম, আমি জানতাম দড়ি স্পর্শ করনি। একটা জিনিস আমি সতর্ক ছিলাম বল ভেতরে পাঠানোর সময় যাতে পা লাইন স্পর্শ না করে। এবং আমার পা সেটা স্পর্শ করেনি। আমি জানতাম এটা বৈধ ক্যাচ। কিন্তু এটা যদি নিতে না পারতাম তাহলে ছক্কা হয়ে যেত। সমীকরণে ৫ বলে ১০ রানের হয়ে যেত।'

Comments

The Daily Star  | English

Over 102,000 annual deaths in Bangladesh linked to air pollution

Study also finds air pollution behind 266 million sick days every year hurting the economy

40m ago