এরকম চাপের ম্যাচ আমি আগে খেলিনি: শান্ত

ম্যাচ শেষ হতেই নাজমুল হোসেন শান্তর মুখে চওড়া হাসি। অনেকটা যেন দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে জোরে নিশ্বাস নিতে পারার স্বস্তি। সাম্প্রতিক সময়ে দলের পারফরম্যান্স, ধেয়ে আসা সমালোচনার ঢেউ মিলিয়ে প্রবল চাপ মাথায় নিয়ে নেমেছিলেন তারা।
Najmul Hossain Shanto

ম্যাচ শেষ হতেই নাজমুল হোসেন শান্তর মুখে চওড়া হাসি। অনেকটা যেন দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে জোরে নিশ্বাস নিতে পারার স্বস্তি। সাম্প্রতিক সময়ে দলের পারফরম্যান্স, ধেয়ে আসা সমালোচনার ঢেউ মিলিয়ে প্রবল চাপ মাথায় নিয়ে নেমেছিলেন তারা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারলে সেসব তিক্ত পরিস্থিতি হতো দ্বিগুণ। এই আবহের মাঝে লো স্কোরিং ম্যাচে দোলাচলও তৈরি হলো কয়েকবার। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে অধিনায়ক বললেন, এমন চাপ তার ক্যারিয়ারে আগে কখনো আসেনি।

ডালাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের ১২৪ রানে আটকে রেখেও ম্যাচ জিতেছে কেবল ৬ বল আগে।

সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানান তার মনে হয়েছে এত চাপ আগে ছিলো না, 'আমার কাছে তাই লেগেছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে এরকম চাপের ম্যাচ এর আগে আমি খেলিনি।'

টস জিতে বোলিং বেছে শুরুতে এক উইকেট ফেললেও শ্রীলঙ্কা আগ্রাসী ব্যাট করছিল। পাথুম নিশানকার ব্যাটে বড় রানের আভাসই দিচ্ছিলো তারা। তবে পাওয়ার প্লের পর বদলে যায় ম্যাচের ছবি। মাঝের ওভারে প্রবলভাবে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনই মূলত মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার নায়ক। শান্ত তাই বললেন, 'আমরা সবাই জানতাম এই ম্যাচ কত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বোলিংয়ে শুরুটা ভালো পাইনি। তারপরে মাঝের ওভারে সিদ্ধান্তগুলো যেভাবে নিয়েছে বোলাররা, ফিল্ডাররা। সবাই অনেক কারেক্টার শো করেছে। কিন্তু ব্যাটিং ভালো হয়নি। এই ধরণের চাপের ম্যাচে এরকম হবে। ওদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিলো। ওরা অনেক চেষ্টা করেছে। দিনশেষে দুইটা পয়েন্ট পেয়েছে, এজন্য ভালো লাগছে।'

বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে স্বাগতিক দলের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে যায় বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হার তৈরি করে বড় প্রশ্ন। দলের একাধিক ব্যাটার ছন্দহীন থাকায়  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের নিয়ে চলতে থাকে ট্রল। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পর সেই ট্রল বন্ধ হবে কিনা নিশ্চিত নন শান্ত, তবে জানালেন তারা এসব নিয়ে আর ভাবছেন না, 'এটা তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা কথা বলে তারা বলতে পারে (ট্রল বন্ধ হবে কিনা)। আমরা আসলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করতেও পারব না। আমার মনে হয় না খেলোয়াড়রা অনেক বেশি এগুলো নিয়ে ভাবে।'

সুপার এইটে যেতে হলে পরের তিন ম্যাচের অন্তত দুটিতে জিততে হবে বাংলাদেশকে। জয় দিয়ে শুরু হলেও বাকি তিন ম্যাচের দিকে এখন নজর গোটা দলের,  'এই জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, পরের তিন ম্যাচও গুরুত্বপূর্ণ। নতুন করে পরিকল্পনা করে আসতে হবে। ভালো খেলা ছাড়া উপায় নাই। ব্যাটাররা যদি আমরা অবদান রাখতে পারি তাহলে ভালো করতে পারব।'

Comments