যুক্তরাষ্ট্র অধিনায়কের আফসোস, ‘কোনোভাবেই সুপার ওভারে যাওয়া উচিত হয়নি’

ছবি: এএফপি

হাতে ৯ উইকেট নিয়ে ৪৫ বলে ৫৬ রানের সহজ সমীকরণ মেলাতে পা হড়কানোর অবস্থা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের। তবে শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ টাই করে সুপার ওভারে গিয়ে পাকিস্তাকে হারায় তারা। ঐতিহাসিক এই জয়ের পরও দলটির অধিনায়কের কণ্ঠে শোনা গেল কিছুটা আফসোস। মোনাঙ্ক প্যাটেলের মতে, মূল লড়াইয়েই জয় পাওয়া উচিত ছিল তাদের।

গতকাল বৃহস্পতিবার ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের 'এ' গ্রুপের রোমাঞ্চকর দ্বৈরথে বিশাল চমক উপহার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মূল ম্যাচে দুই দলই ১৫৯ রান তোলে। এরপর সুপার ওভারে স্বাগতিকরা ১৮ রান করে শক্তি-অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে থাকা পাকিস্তানকে আটকে দেয় ১৩ রানে। বলা বাহুল্য, আমেরিকানদের ক্রিকেট ইতিহাসে নিঃসন্দেহে এটি সবচেয়ে বড় অর্জন।

মোনাঙ্ক আউট হওয়ার সময় ৩৫ বলে ৪৯ রান লাগত যুক্তরাষ্ট্রের। সেই সমীকরণ মেলাতে না পারলেও অ্যারন জোন্স ও নিতিশ কুমার মিলে আনেন ৪৮ রান। পরে সুপার ওভারে স্মরণীয় জয় পেলেও ম্যাচশেষে আক্ষেপ ফুটে ওঠে মোনাঙ্কের কণ্ঠে, 'আমি যখন আউট হই, তখনও ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমার মতে, আমাদের ম্যাচটা শেষ করা উচিত ছিল এবং কোনোভাবেই সুপার ওভারে যাওয়া উচিত হয়নি। তবে আমরা যেভাবে স্নায়ুচাপ সামলেছি, বিশেষ করে সুপার ওভারে ১৮ রান নেওয়া আমাদেরকে পুঁজি রক্ষা করার ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে দিয়েছে।'

টস জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরুতেই চেপে ধরে যুক্তরাষ্ট্র। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেয় তারা। শেষ পর্যন্ত বাবর আজমদের ১৬০ রানের নিচে আটকে রেখে লক্ষ্য তাড়ায় আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মোনাঙ্ক, 'পরিকল্পনা ছিল টস জিতলে আগে বোলিংয়ের। আমরা জানতাম, শুরুর দিকে আধঘণ্টা পেস বোলাররা সহায়তা পাবে। এরপর আমরা যেভাবে তাদের আটকে রাখি এবং পাওয়ার প্লেতে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে ফেলি, সেটা আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। আর হ্যাঁ, একদিকে ছোট বাউন্ডারির মাঠ ও এই উইকেটে ১৬০ রান দেখে অনুভব করেছি যে, আমরা সব সময়ই ম্যাচে ছিলাম।'

সাধারণত আলি খানকে ডেথ ওভারে ব্যবহার করলেও সুপার ওভারে সৌরভ নেত্রভালকরকে বোলিং দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন আমেরিকান দলনেতা, 'কন্ডিশন কাজে লাগানোর পরিকল্পনা ছিল আমাদের। একজন বাঁহাতি পেসারের জন্য অ্যাঙ্গেলে ওভার দ্য উইকেট থেকে কাটার ও ওয়াইড ইয়র্কার করার কন্ডিশন ছিল। আলি খান সাধারণত স্টাম্পে আক্রমণ করে। তবে আমরা তাদেরকে অফ স্টাম্পের বাইরে খেলাতে চেয়েছিলাম। বাঁহাতি পেসারের জন্য অ্যাঙ্গেলটা সাহায্য করেছে। সৌরভের আগেই ভালো একটি দিন কেটেছিল। তার প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

6h ago