রোনালদোর গোলে জার্মানিকে হারিয়ে ফাইনালে পর্তুগাল

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত জার্মানিকে হারিয়ে নেশন্স লিগের ফাইনালের টিকিট কেটেছে পর্তুগাল। যেখানে জয়সূচক গোলটি করেন আল-নাসর তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। তবে ম্যাচের প্রকৃত নায়ক ছিলেন নুনো মেন্ডেস। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই জয় পায় দলটি।

বুধবার রাতে মিউনিখে জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে নেশনস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পর্তুগাল। পর্তুগিজদের হয়ে গোল দুটি করেছেন ফ্রান্সিসকো কন্সেইসা ও রোনালদো। জার্মানির হয়ে গোলটি করেন ফ্লোরিয়ান ভির্টজ।

ম্যাচে শুরুতে দাপট ছিল জার্মানিরই। সে ধারায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলও আদায় করে নেয় তারা। তবে উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ফিরে আসে সেলেসাওরা। দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে করা দুই গোল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নিশ্চিত করলেও শেষ পর্যন্ত রোনালদোর গোলেই দলের জয় নিশ্চিত হয়।

ম্যাচের প্রথম বিশ মিনিটে জার্মানি আধিপত্য বিস্তার করে খেললেও পর্তুগালের গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা অসাধারণ দুইটি সেভ করে দলকে রক্ষা করেন। বিশেষ করে লেয়ন গোরেৎস্কার নিচু শটটি বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্তভাবে পোস্টের বাইরে ঠেলে দেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নুনো মেন্ডেসের নিখুঁত এক ক্রসে রোনালদো বল ছুঁয়ে দেন ঠিকই, তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় সেই প্রচেষ্টা। ঠিক তার পরেই জোশুয়া কিমিচের বুদ্ধিদীপ্ত পাসে আক্রমণে উঠে লিভারপুলের সম্ভাব্য টার্গেট ভির্টজ হেডে গোল করে জার্মানিকে এগিয়ে দেন। যদিও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) গোলটি পর্যালোচনার সুপারিশ করে, মূল রেফারি সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।

ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা অতিক্রম করার পর বদলি হিসেবে নামেন কন্সেইসাও। নেমেই দুর্দান্ত এক বাঁকানো শটে গোল করে সমতা ফেরান তিনি। এরপর মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেসের দুর্দান্ত রান এবং কাটব্যাক পাসে সহজ সুযোগ পেয়ে বল জালে পাঠান রোনালদো।

জার্মানি এরপর সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠলেও পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। যদিও বদলি খেলোয়াড় করিম আদেইয়েমি একটি দৃষ্টিনন্দন প্রচেষ্টায় বল বারপোস্টে লাগান।

এই জয় পর্তুগালের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত—২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার জার্মানিকে হারাল তারা। এবার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে ফ্রান্স অথবা স্পেন।

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

1h ago