রোনালদোকে ধরে রাখতে বাস্তোনিতে নজর আল-নাসরের

সৌদি প্রো লিগে এরমধ্যেই আড়াই মৌসুম খেলে ফেলেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। কিন্তু এখনও প্রতিযোগিতামূলক আসরে কোনো শিরোপার মুখ দেখতে পারেননি তিনি। যদিও নিজের কাজটা ঠিকই করে যাচ্ছেন তিনি। প্রায় নিয়মিতই পাচ্ছেন গোল। কিন্তু তারপরও চূড়ান্ত সাফল্য পেতে ব্যর্থ তার দল আল-নাসর।

এদিকে মৌসুম শেষেই আল-নাসরের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফুরচ্ছে রোনালদোর। দলীয় পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট না হওয়ায় চুক্তি নবায়নে খুব একটা আগ্রহ নেই তার। কিন্তু যার জন্য পুরো বিশ্বের নজর সৌদি লিগে, তাকে হারাতে রাজি নয় ক্লাবটি। তাই তাকে সন্তুষ্ট করতে দলকে আরও শক্তিশালী করার দিকে নজর দিচ্ছে ক্লাবটি।

রোনালদোকে দলে রাখার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিশ্বমানের এক ডিফেন্ডারকে দলে টানতে চায় আল-নাসর। স্কাই স্পোর্টসের সাংবাদিক সাশা টাভোলিয়েরির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেইনউর্ডের ডিফেন্ডার ডেভিড হ্যাঙ্ককোর পাশাপাশি ইন্টার মিলানের সেন্টার-ব্যাক আলেসান্দ্রো বাস্তোনিকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী সৌদি ক্লাবটি।

এই খবরটি আসলো ঠিক কয়েক দিন পরই, যখন রোনালদো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তার রিয়াদ অধ্যায় "শেষ"। যদিও ফ্রি এজেন্ট হতে যাওয়া এই পর্তুগিজ মহাতারকার সঙ্গে চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা এখনো একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

রোনালদোর সেই ঘোষণার পর হতবাক হয়ে পড়ে আল-নাসর, তবে ৪০ বছর বয়সী তারকা শেষমেশ হয়তো ক্লাবেই থেকে যেতে পারেন। সৌদি ক্লাবটিতে এখনো কোনো ট্রফি না জিতলেও শিরোপা জয়ের উপযুক্ত একটি দলে খেলার আগ্রহ রয়েছে তার। বাস্তোনির মতো খেলোয়াড় আসলে তা হবে শক্ত বার্তা।

তবে প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, এখনো বাস্তোনির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করেনি আল-নাসর। এদিকে ইন্টার মিলান ২৬ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান ডিফেন্ডারের জন্য ১০০ মিলিয়ন ইউরো (৮৪ মিলিয়ন পাউন্ড) মূল্য নির্ধারণ করেছে, যেটা আগ্রহী দলগুলোর পিছু হটার কারণ হতে পারে। কারণ এখনো তার চুক্তির মেয়াদ বাকি তিন বছর।

আল-নাসর বাস্তোনিকে চার বছরের জন্য ২০ মিলিয়ন ইউরো (১৬.৮ মিলিয়ন পাউন্ড) বেতন দেওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, তারা আদৌ বাস্তোনিকে দলে টানতে পারে কি না, আর সেইসঙ্গে রোনালদোকেও দলে ধরে রাখতে সক্ষম হয় কিনা।

Comments

The Daily Star  | English

Exporters fear losses as India slaps new restrictions

Bangladesh’s exporters fear losses as India has barred the import of several products—including some jute items—through land ports, threatening crucial trade flows and millions of dollars in earnings.

3h ago