বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট বিক্রি ‘বন্ধ’

ছবি: সংগৃহীত

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বহুল প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের ম্যাচের অনলাইন টিকিট বিক্রির প্ল্যাটফর্ম টিকিফাই মঙ্গলবার দুপুরে চালু হলেও মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই টিকিট কেনার সুযোগ 'বন্ধ'  হয়ে গেছে।

টিকিফাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইফতিখার ইফতির সঙ্গে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে যখন দ্য ডেইলি স্টার যোগাযোগ করে, তখন তিনি জানান, প্ল্যাটফর্মটি দুপুর ১টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে এবং ওই সময় পর্যন্ত তাদের জন্য বরাদ্দকৃত টিকিটের প্রায় ৯০ শতাংশ বিক্রি হয়ে গেছে।

বিকাল ৫টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময়, সাইটটিতে ঢুকলে 'টিকিট বিক্রি বন্ধ' লেখা দেখা গেছে।

কত টিকিট বিক্রি হয়েছে তা সম্পর্কে ইফতি কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, 'আনুষ্ঠানিক সংখ্যা শুধু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনই (বাফুফে) জানাতে পারবে।'

বাফুফের কম্পিটিশনস কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও এই বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি। তবে জানান, টিকিট সংক্রান্ত একটি মিটিংয়ে তিনি ব্যস্ত আছেন এবং টিকিট বিক্রির সংখ্যা সম্পর্কে পরবর্তীতে বিস্তারিত অবহিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।

আগামী ১০ জুন ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরী, শমিত সোমদের খেলা মাঠে বসে সরাসরি দেখার সুযোগের পাশাপাশি সংস্কারের পর নতুনভাবে সেজে ওঠা স্টেডিয়াম— সব মিলিয়ে দেশের ভক্ত-সমর্থকদের আগ্রহের পারদ রয়েছে চূড়ায়।

তবে অনলাইন টিকিট বিক্রির জন্য বাফুফের মনোনীত প্রতিষ্ঠান টিকিফাইয়ের কার্যক্রমের দশা একেবারেই বেহাল। ফলে টিকিট কিনতে অপেক্ষারত অসংখ্য মানুষের হয়েছে স্রেফ দুঃস্বপ্নের মতো অভিজ্ঞতা।

প্রাথমিকভাবে গত শনিবার দুপুর ১২টায় টিকিট বিক্রি শুরুর কথা থাকলেও তা আট ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু উত্তেজনা ও হতাশার সমন্বয়ে এক গোলকধাঁধায় পড়তে হয় ভক্ত-সমর্থকদের। কারণ প্ল্যাটফর্মটি মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য চালু থাকার পরই বন্ধ হয়ে যায়।

বাফুফে এরপর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, টিকিফাই সাইবার আক্রমণের শিকার। ওই ঘটনায় দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশও করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

18h ago