হামজা-শমিতকে নিয়ে বাংলাদেশের মাঝমাঠই দক্ষিণ এশিয়ার সেরা, বললেন কাবরেরা

জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে ইতোমধ্যে অভিষেক হয়েছে হামজা চৌধুরীর। আর লাল-সবুজ জার্সিতে প্রথমবারের মতো মাঠে নামার অপেক্ষায় আছেন শমিত সোম। এই দুই প্রবাসী ফুটবলারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের মাঝমাঠই দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী, মনে করেন হাভিয়ের কাবরেরা।
বুধবার বাফুফে ভবন মাঠে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২৬ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের কোচ। আগামী ৪ জুন আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ভুটান ও ১০ জুন এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক দল। দুটি খেলারই ভেন্যু ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়াম।
দলে নতুন মুখ একটি। প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন ২৭ বছর বয়সী শমিত। তিনি কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ক্যাভালরি এফসির হয়ে খেলছেন। একই বয়সের হামজার মূল দল লেস্টার সিটি। তবে তিনি সবশেষ ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে মাঠে নেমেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের মাঝমাঠের শক্তিমত্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাবরেরা বলেছেন, 'আমি নিশ্চিত (আমাদের মাঝমাঠ দক্ষিণ এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সেরা)। শমিতের অন্তর্ভুক্তিতে আমাদের মাঝমাঠ তুলনামূলকভাবে খুব শক্তিশালী হয়েছে, বিশেষ করে এই গ্রুপে। আর যদি সেরা নাও হই, তবুও সম্ভবত খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মাঝমাঠ আমাদের।'
বাংলাদেশের পক্ষে খেলার জন্য চলতি মাসের শুরুর দিকে ফিফার কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছেন শমিত। তাকে নিয়ে স্প্যানিশ কোচ বলেছেন, 'শমিত একজন মানসম্পন্ন মিডফিল্ডার। তবে তার ব্যাপারে আমাদের কিছুটা ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ, (আগামী ৩ জুন) ঢাকায় এসে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সে খুবই কম সময় পাচ্ছে। এখানকার আবহাওয়া ভিন্ন। তাছাড়া, কানাডা থেকে থেকে লম্বা ভ্রমণ করে সে আসবে। তাই ধৈর্য ধরতে হবে। তবে তাকে নিয়ে আমাদের মনোভাব খুব ইতিবাচক।'
শমিতের আগের দিন হামজা পা রাখবেন ঢাকায়। প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকা মাঝমাঠের বাকিরা হলেন মোহাম্মদ হৃদয়, সৈয়দ শাহ কাজেম কিরমানি, সোহেল রানা, মজিবুর রহমান জনি, শেখ মোরসালিন ও জামাল ভূঁইয়া। এদের মধ্যে অধিনায়ক জামাল বাংলাদেশ দলের প্রথম প্রবাসী ফুটবলার।
Comments