স্পেনকে বিশ্বকাপের আয়োজক দেখতে চান না ভিনিসিয়ুস

আগামী ২০৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে মোট ৬টি দেশে। প্রধান আয়োজক স্পেন, মরক্কো ও পর্তুগাল। এছাড়া বিশ্বকাপের শত বছর পূর্ণ হওয়ায় আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েতে হবে একটি করে ম্যাচ। আর সেই তালিকায় স্পেনের নাম দেখতে চান না ভিনিসিয়ুস!

স্পেনকে আয়োজক হিসেবে ভিনিসিয়ুস দেখতে চান না একটি ভিন্ন কারণে। অনেক বছর থেকেই দেশটিতে বর্ণবাদ ভয়াবহভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আর ভিনিসিয়ুস যেন এর নিয়মিত শিকার। তাই এর প্রতিবাদে বরাবরই সোচ্চার তিনি। বর্ণবাদ ইস্যুতে অগ্রগতি না হলে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক থেকে স্পেন বাদ দেওয়ার দাবিও করেন এই ফরোয়ার্ড।

রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার সময় বেশ কিছু ম্যাচে বর্ণবাদী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ভিনিসিয়ুস। যে কারণে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য অপরাধীদের গ্রেপ্তারও করেছে স্প্যানিশ আইন প্রয়োগকারীরা। দেওয়া হয়েছে শাস্তি। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নন ভিনিসিয়ুস। বিশ্বাস করেন যে বর্ণবাদীদের উপড়ে ফেলার জন্য আরও অনেক কিছু করা দরকার।

সম্প্রতি সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভিনিসিয়ুস বলেছেন, 'আমি আশা করি (বর্ণবাদের ব্যাপারে) স্পেন আরও সোচ্চার হবে। এবং তাদের ত্বকের রঙের কারণে কাউকে অপমান করার গুরুতরতা বুঝতে পারবে। ২০৩০ সালের মধ্যে যদি জিনিসগুলি ঠিক না হয়, আমি মনে করি (বিশ্বকাপ) স্থান পরিবর্তন করতে হবে।'

এমন একটি দেশে যদি খেলোয়াড়রা খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য এবং আত্মবিশ্বাসী বোধ না করে যেখানে তারা বর্ণবাদের শিকার হতে পারে, তাহলে এটা খুব জটিল। আমি বিশ্বাস করি এবং আমি সবকিছু করতে চাই যাতে বিষয়গুলো পরিবর্তন হয়। স্পেনের অনেক লোক, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বর্ণবাদী নয়। একটি ছোট গোষ্ঠী আছে যারা দেশটির ভাবমূর্তিকে প্রভাবিত করছে,' যোগ করেন এই ব্রাজিলিয়ান।

২০২৩ সালের অক্টোবরে, বর্ণবাদ ইস্যুতে আদালতে গিয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের সময় তিনি যে বর্ণবাদী অপমান সহ্য করেছিলেন সে সম্পর্কে সাক্ষ্য দেন এবং প্রমাণ উপস্থাপন করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Structural weaknesses, poor governance plague economic reform: Debapriya

“If there is no stability in the economy, no other reform will be sustainable,” he said.

1h ago