টাইব্রেকারে ইউনাইটেডকে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড জিতল সিটি

ছবি: এএফপি

পুরো ৯০ মিনিটে আলাদা করা গেল না কাউকে। শেষদিকে গোল হজমের সাত মিনিটের মধ্যে সেটা শোধ করে ঘুরে দাঁড়াল ম্যানচেস্টার সিটি। এরপর পেনাল্টি শুটআউটেও তারা দেখাল দাপট। শহর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড জিতল সিটিজেনরা।

শনিবার রাতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে ৭-৬ ব্যবধানে জিতেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। কমিউনিটি শিল্ডে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট খেলার বিধান নেই। তাই ৯০ মিনিটের পর ম্যাচ সরাসরি গড়ায় টাইব্রেকারে।

পাঁচ বছর ও টানা তিন মৌসুমে হারের পর কমিউনিটি শিল্ড ঘরে তুলল ম্যান সিটি। আগের তিনবার যথাক্রমে লেস্টার সিটি, লিভারপুল ও আর্সেনালের কাছে পরাস্ত হয়েছিল তারা। এটি তাদের সপ্তম কমিউনিটি শিল্ড। শেষবার তারা মর্যাদাপূর্ণ এই শিরোপা জিতেছিল ২০১৯ সালে, টাইব্রেকারে লিভারপুলকে হারিয়ে।

লম্বা সময় পর্যন্ত গোলশূন্য থাকা নাটকীয় লড়াইয়ে দুই দলই জাল কাঁপানোর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। তবে অল্পের জন্য তাদেরকে একবার করে বঞ্চিত হতে হয়। প্রথমার্ধের ২৩তম মিনিটে সিটির জেমস ম্যাকাটির শট আটকে যায় পোস্টে। দ্বিতীয়ার্ধে ইউনাইটেডের জন্যও পোস্ট হয়ে ওঠে বাধার দেয়াল। ৭৫তম মিনিটে মার্কাস র‍্যাশফোর্ডের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে।

৮২তম মিনিটে নিচু শটে অচলাবস্থা ভাঙেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আলেহান্দ্রো গার্নাচো। তার গোলে রেড ডেভিলরা যখন জয়ের সুবাস পাচ্ছে, তখনই পাল্টে যায় চিত্র। ৮৯তম মিনিটে স্কোরলাইন ১-১ করে সিটি। বদলি নামা পর্তুগিজ উইঙ্গার বার্নার্দো সিলভা হেডে খুঁজে নেন জাল।

শেষ বাঁশি বাজার পর খেলা গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। সিটির পক্ষে বার্নার্দোর নেওয়া প্রথম শটটিই রুখে দেন গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। এরপর একে একে লক্ষ্যভেদ করেন কেভিন ডি ব্রুইনা, আর্লিং হালান্ড, স্যাভিও ও এদারসন। অন্যদিকে, ইউনাইটেডের হয়ে ব্রুনো ফার্নান্দেস, দিয়োগো দালো, গার্নাচো ও কাসেমিরো জাল কাঁপালেও জ্যাডন স্যাঞ্চোর নেওয়া চতুর্থ শটটি ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক এদারসন।

এতে তৈরি হয় আরও রোমাঞ্চ। ম্যাচ গড়ায় সাডেন ডেথে। সেখানে ইউনাইটেডের হয়ে স্কট ম্যাকটমিনে ও লিসান্দ্রো মার্তিনেজ নিশানা ভেদ করলেও পোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন জনি ইভান্স। বিপরীতে, মাথেউস নুনেস ও রুবেন দিয়াসের পর মানুয়েল আকাঞ্জির শট গোললাইন অতিক্রম করলে উল্লাসে মাতে সিটি।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

15h ago