মেক্সিকোর বিপক্ষে ব্রাজিলের রোমাঞ্চকর জয়
কোপা আমেরিকা সামনে রেখে মেক্সিকোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে সেরা তারকাদের শুরুর একাদশে নামায়নি ব্রাজিল। তবে তাতেও ম্যাচে দাপট রাখতে সমস্যা হয়নি তাদের। পাঁচ গোলে রোমাঞ্চে দারুণ এক জয় পেয়েছে দরিভাল জুনিয়রের দল।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মেক্সিকোকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন আন্দ্রেস পেরেইরা, গ্যাব্রিয়েন মার্টিনেল্লি ও এদ্রিক। মেক্সিকোর হয়ে দুই গোল ফেরত দেন হুলিয়ান কুইনোনেস ও মার্টিনেস আয়ালা। বেশিরভাগ সময় এগিয়ে থাকা ব্রাজিল ম্যাচের যোগ করা সময়ে গোল খেয়ে ড্র করার দিকে ছিলো, কিন্তু এদ্রিকের ঝলকে ঠিকই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
এই ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন না ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, লুকাস পাকেতা, মার্কিনিওস, এন্দ্রিক, রদ্রিগো, রাফিনহাসহ ব্রাজিলের প্রথম একাদশের তারকারা। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামেন পাকেতা, ভিনিসিয়ুস ও এন্দ্রিক। নেমে ম্যাচে প্রভাবও রাখেন তারা।
এদিন খেলার শুরুতেই প্রতিপক্ষকে চেপে গোল আদায় করে নেয় ব্রাজিল। পঞ্চম মিনিটে বক্সের বাইরে অভিষিক্ত সেভিওর কাছ থেকে বল পেয়ে আন্দ্রেস পেরেইরা প্রতিপক্ষের তিনজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নেন নিখুঁত শট। দারুণ গোলে দলকে আনন্দে ভাসান ফুলহ্যাম মিডফিল্ডার।
এক গোলে এগিয়ে বল পজিশন ধরে খেলতে থাকে ব্রাজিল। মেক্সিকো চেষ্টা চালালেও ম্যাচে ফেরার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। এই ব্যবধান রেখেই বিরতির পর নামে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল পরাশক্তি।
বিরতির পর আক্রমণে আসে আরেকটু ধার। ৫৪ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে বলের যোগান পেয়ে বামপ্রান্তে দারুণ কুশলী ফুটবলে বক্সে ঢুকে পড়েন ইয়ান কৌতো। তার ক্রস ফাঁকায় পেয়ে বা পায়ের টোকায় জালে জড়ান গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি।
দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরই দুটি বদল আনেন দরিভাল। নামানো হয় পাকেতা আর এন্দ্রিককে। এদ্রিক নেমেই প্রতিপক্ষের রক্ষণে ছড়ান আতঙ্ক। তবে ব্রাজিলের রক্ষণ হয়ে যায় কিছুটা আলগা। সেই সুযোগে ৭৩ মিনিটে ব্যবধান কমায় মেক্সিকো। ব্রাজিলের খেলোয়াড়ের পা থেকে বল কেড়ে আক্রমণে যায় তারা। ডান প্রান্ত দিয়ে আলেক্সিস ভেগা ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে বক্সে পাঠান ক্রস। সেখানে জায়গামতো থাকা হুলিয়ান কুইনোনেস জালে জড়িয়ে দেন তা।
গোল খেয়েই ভিনিসিয়ুসকে নামান দরিভাল, নেমেই সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ৭৬ মিনিটে এন্দ্রিকের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন খানিক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। তার শট সহজেই ঠেকিয়ে দেন মেক্সিকোর কিপার।
বদলি নামা ভিনিসিয়ুস ও এন্দ্রিক একাধিক সুযোগ তৈরি করে হাতছাড়াও করতে থাকেন। এই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে যোগ করা সময়ে সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেনি মেক্সিকো। কর্নার থেকে জটলার মধ্যে গোল আদায় করে সমতায় ফিরে তারা।
গোল হজম করে ফের আগ্রাসী হয়ে উঠা ব্রাজিল দুই মিনিট পরই পায় সাফল্য। এবার আর ভুল করেননি ভিনিসিয়ুস-এদ্রিক। বাম প্রান্ত থেকে ভিনিসিয়ুস দারুণ শটে বল পাঠান বক্সে। ওই বল দেখে লাফিয়ে হেড করে জালে জড়িয়ে দেন তরুণ সেনসেশন এন্দ্রিক।
Comments