ফাইনালে যেসব কীর্তির সামনে রিয়াল ও দলটির কোচ-খেলোয়াড়রা
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মানেই রিয়াল মাদ্রিদের রাজত্ব। সেটার কারণ আলাদা করে না বললেও চলে। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন স্প্যানিশ ক্লাবটি। তাই অবধারিভাবে তাদের ফুটবলারদের সমৃদ্ধ ঝুলিতেও রয়েছে নানা অর্জন।
আরও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের সামনে দাঁড়িয়ে রিয়াল। ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের প্রতিপক্ষ জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে দুই দল মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল শনিবার দিবাগত রাত একটায়।
ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ফাইনালের আগে দেখে নেওয়া যাক রিয়াল ও তাদের কোচ-ফুটবলারদের হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকা কীর্তিগুলো—
* ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব প্রতিযোগিতায় (ইউরোপিয়ান কাপ/চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) এখন পর্যন্ত ১৪টি শিরোপা জিতলেও কখনোই অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি রিয়াল! অন্তত একটি ম্যাচ হলেও তারা হেরেছে। এবার ২০২৩-২৪ মৌসুমে অপরাজিত থেকে ট্রফি উঁচিয়ে ধরার সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে। ফাইনালের আগে খেলা ১২ ম্যাচের আটটিতে জিতেছে তারা, ড্র করেছে বাকি চারটিতে।
এখন পর্যন্ত অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দেখা গেছে ১৫ বার। কোনো ম্যাচ না হেরে দুবার করে শিরোপা জিতেছে এসি মিলান, লিভারপুল, আয়াক্স আমস্টারডাম ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। একবার করে জিতেছে ইন্টার মিলান, নটিংহ্যাম ফরেস্ট, রেড স্টার বেলগ্রেড, মার্সেই, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটি।
* চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সফলতার বিচারে রিয়ালের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিলান জিতেছে সাতটি শিরোপা। অর্থাৎ ইতালিয়ান ক্লাবটির চেয়ে দ্বিগুণ ব্যবধানে এগিয়ে আছে রিয়াল। ১৫তম শিরোপা জিতে আরও উঁচুতে উঠে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত লস ব্লাঙ্কোদের জন্য।
* কোচ হিসেবে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা রয়েছে পেপ গার্দিওলা, বব পেইসলি ও জিনেদিন জিদানের। চারটি শিরোপা জিতে তাদের ঠিক ওপরেই আছেন আনচেলত্তি। ষষ্ঠবারের মতো ফাইনালের ডাগআউটে থাকতে যাওয়া ৬৪ বছর বয়সী কোচ শীর্ষস্থান দৃঢ় করার দ্বারপ্রান্তে আছেন। কেবল ২০০৪-০৫ মৌসুমের রোমাঞ্চকর ফাইনালে হেরেছিলেন তিনি। সেবার টাইব্রেকারে তার অধীনে থাকা মিলানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল লিভারপুল।
* ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতার ইতিহাসে খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে সফল পাকো হেন্তো। তিনি রিয়ালের জার্সিতে টানা পাঁচটিসহ মোট ছয়টি শিরোপা জিতেছিলেন যখন এটি ইউরোপিয়ান কাপ নামে পরিচিত ছিল। এবার তার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলার সুযোগ পাচ্ছেন চারজন— লুকা মদ্রিচ, টনি ক্রুস, দানি কারভাহাল ও নাচো।
মদ্রিচ, কারভাহাল ও নাচো তাদের আগের পাঁচটি শিরোপা জিতেছেন রিয়ালেরই হয়ে। তবে আসন্ন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের পর অবসরের নিতে যাওয়া ক্রুস লস ব্লাঙ্কোদের পক্ষে স্বাদ নিয়েছেন চারটি শিরোপার। বাকিটি তিনি জিতেছিলেন ২০১২-১৩ মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে।
Comments