হংকংয়ে দুয়ো দেওয়া হলো মেসি-বেকহ্যামকে
প্রায় ৩৯ হাজার ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট হংকং স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য ছিল এক হাজার হংকং ডলার (১২৫ আমেরিকান ডলার বা ১৩ হাজার ৭২২ টাকা)। এত অর্থ খরচ করে দর্শকরা ছিলেন একজনকে খেলতে দেখার গভীর প্রতীক্ষায়— লিওনেল মেসি।
কিন্তু বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকা চোটের কারণে মাঠেই নামতে পারলেন না। এতে হতাশ ও ক্ষিপ্ত দর্শকরা তাদের তীব্র অসন্তোষ জানালেন মেসি ও মায়ামির অন্যতম মালিক ডেভিড বেকহ্যামকে দুয়ো দেওয়ার মাধ্যমে।
রোববার প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচে নির্বাচিত হংকং একাদশকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগের (এমএলএস) ক্লাব মায়ামি। কিন্তু মেসি ও উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ পুরোটা সময় বেঞ্চেই কাটিয়ে দেন। মেসি ভুগছেন হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে। সুয়ারেজ হাঁটুর চোটে আক্রান্ত। তারা খেলতে না পারলেও বদলি হিসেবে নামেন সার্জিও বুসকেতস ও জর্দি আলবা।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে 'আমরা মেসিকে চাই' স্লোগান শুরু করেন গ্যালারিতে উপস্থিত ফুটবলপ্রেমীরা। সেই সঙ্গে চলতে থাকে দুয়ো দেওয়া। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেটার মাত্রা বাড়তে থাকে। কারণ, ম্যাচের ১০ মিনিট বাকি থাকতে এটা নিশ্চিত হয়ে যায় যে মেসি খেলতে নামছেন না।
শেষ বাঁশি বাজার পর দুয়োর আওয়াজে কান পাতা দায় হয়ে যায়। সেসময় মাঠে ঢুকে সাবেক ইংলিশ তারকা ফুটবলার বেকহ্যাম দর্শকদের স্টেডিয়ামে আসার জন্য ধন্যবাদ জানালে শোরগোলের পারদ আরও উঁচুতে ওঠে। বৃদ্ধাঙ্গুলি নিচের দিকে ধরার অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নিজেদের রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটান তারা।
দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন জেরার্দো মার্তিনো। মায়ামির কোচ বলেছেন, 'লিও ও লুইসের অনুপস্থিতির কারণে ভক্তদের হতাশ হওয়ার কারণ আমরা বুঝতে পারছি। অনেক ভক্তই ভীষণ হতাশ হয়েছেন এবং আমরা তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমরা কিছু সময়ের জন্য হলেও লিও ও লুইসকে মাঠে পাঠাতে চেয়েছিলাম। তবে ঝুঁকিটা খুব বড় হয়ে যেত।'
গত বৃহস্পতিবার প্রীতি ম্যাচে সৌদি প্রো লিগের দল আল নাসরের কাছে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় মায়ামি। সেদিন স্রেফ শেষের সাত মিনিট খেলেন ৩৬ বছর বয়সী মেসি। আর এদিন সকালে মায়ামির মেডিকেল স্টাফরা তার শারীরিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেন যে তাকে হংকংয়ের নির্বাচিত একাদশের বিপক্ষে খেলানো হবে না।
Comments