আল নাসরে রোনালদোর সতীর্থ হলেন মানে

আল নাসর ক্লাবে নতুন মুখ সাদিও মানে। ছবি: টুইটার

নিষ্প্রভ ও বিতর্কিত একটি মৌসুম কাটিয়েই শেষ হলো সাদিও মানের বায়ার্ন মিউনিখ অধ্যায়। সৌদি আরবের প্রো লিগের ক্লাব আল নাসরে যোগ দিলেন তিনি। সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড সেখানে সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে।

মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানেকে দলভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আল নাসর। তিনি খেলবেন ১০ নম্বর জার্সি পরে। কী পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে এবং কত বছরের জন্য চুক্তি হয়েছে তা জানায়নি ক্লাবটি। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, মানের জন্য ৩ কোটি ৪০ লাখ পাউন্ড পরিশোধ করতে হয়েছে আল নাসরকে। দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়েছে চার বছরের জন্য।

মানের সৌদিতে পাড়ি জমানোর গুঞ্জন চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। তার গত মৌসুমের পারফরম্যান্স সন্তুষ্ট করতে পারেনি জার্মান বুন্দেসলিগার চ্যাম্পিয়নদের। বায়ার্নের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ান-ক্রিস্টিয়ান ড্রেসেন জানিয়েছিলেন, ক্লাবটির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি মানে। আল নাসরের সঙ্গে ৩১ বছর বয়সী তারকার চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে বায়ার্নের কোচ টমাস টুখেল এমন কিছু ঘটতে যাওয়ার জোরালো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মানের বায়ার্ন ছাড়ার সিদ্ধান্তই হবে সেরা সমাধান।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিভারপুল থেকে ২০২২-২৩ মৌসুমের শুরুতে বায়ার্নে যোগ দেন মানে। কিন্তু বায়ার্ন ছেড়ে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় পাড়ি জমানো রবার্ত লেভানদভস্কির শূন্যস্থান পূরণ করতে পারেননি তিনি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৮ ম্যাচে মাত্র ১২ গোল করেন মানে। সঙ্গে অ্যাসিস্ট ছিল আটটি।

মাঠের বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও ঝামেলায় জড়ান মানে। ড্রেসিং রুমে বায়ার্নের আরেক তারকা লেরয় সানের সঙ্গে ঝগড়া লেগেছিল তার। সেটা গড়িয়েছিল হাতাহাতি পর্যন্ত। সানের মুখে ঘুষি মারায় ক্লাব কর্তৃক এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞাও পেয়েছিলেন মানে।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে পর্তুগিজ মহাতারকা রোনালদো নাম লেখান আল নাসরে। এরপর গত কিছুদিনের মধ্যে পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী ফরোয়ার্ড সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার মার্সেলো ব্রোজোভিচ, ব্রাজিলিয়ান ফুলব্যাক অ্যালেক্স টেলেস ও আইভরিয়ান মিডফিল্ডার সেকো ফোফানাকে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছেন মানে।

Comments

The Daily Star  | English

Neonatal mortality still high at 20 per 1,000 births

A recent study has raised concerns about their current condition, revealing operational issues that could threaten future progress.

13h ago