কোচ হিসেবে ছোটনকে মিস করেছেন লিটু

ছবি: বাফুফে

কিছুদিন আগ পর্যন্তও বাংলাদেশের নারী ফুটবলের সমার্থক ছিলেন গোলাম রব্বানি ছোটন। কিন্তু অভিমানে ১৪ বছরের দীর্ঘ পথচলার ইতি টেনে মেয়েদের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সরে গেছেন তিনি। তবে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে ছোটন দর্শক হিসেবে ছিলেন গ্যালারিতে। আর ডাগআউটে তার অনুপস্থিতি অনুভব করেছেন নতুন প্রধান কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু। ছোটনকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগে গলা ধরেও আসে তার।

বৃহস্পতিবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে নেপালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। দুটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। ৬৫তম মিনিটে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের লক্ষ্যভেদে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর যোগ করা সময়ে লড়াইয়ে সমতা টানেন সফরকারীদের সাবিত্রা ভান্ডারি। অর্থাৎ শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে জয়ের আশা ভেস্তে যায় সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাধারীদের।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে সাফের শিরোপা জেতার পর এদিন প্রথমবারের মতো খেলতে নামে বাংলাদেশ। প্রায় দশ মাসের ব্যবধানে। ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর হয়েছে অনেক ওলটপালট। গত মে মাসে ছোটন প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে চলে গেছেন। তার জায়গা নিয়েছেন এতদিন সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করা লিটু। বাংলাদেশ নারী জাতীয় দলের চাকরি ছেড়ে ছোটন বর্তমানে আছেন সেনাবাহিনী নারী দলের সঙ্গে। সেখানে খণ্ডকালীন কোচ হিসেবে দুই মাসের জন্য কাজ করবেন তিনি।

নেপালের সঙ্গে ড্রয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে অবধারিতভাবেই আসে ছোটন প্রসঙ্গ। কারণ তিনি ছিলেন গ্যালারিতে। তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রায় কেঁদেই ফেলেন লিটু, 'আমি ছোটনের সঙ্গে ২০০৯ সাল থেকে (সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি)। ছোটনের সঙ্গে আমার ছোটবেলা থেকেই সম্পর্ক। একসঙ্গে খেলাধুলাও করেছি। তাকে (ডাগআউটে) কোচ হিসেবে খুব মিস করেছি। আমি সত্যি কথা বলতে, ম্যাচের আগে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কী কারণে সে ফোনটা ধরেনি তা আমি জানি না।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

37m ago