প্রথম লক্ষ্য পূরণের পর ফাইনালে নজর কাবরেরার

ছবি: বাফুফে

সেমিফাইনালে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। সেটা হাতে ধরা দেওয়ার পর আরও উঁচুতে ওঠার স্বপ্ন বুনছেন দলটির কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ফাইনালে জায়গা করে নিতে কুয়েতের বিপক্ষে লড়াকু ফুটবল খেলার প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।

শনিবার আসরের প্রথম সেমিফাইনালে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে তিনটায়। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের অবস্থান ১৯২তম। তাদের চেয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার হাতছানি রয়েছে কাবরেরার শিষ্যদের সামনে।

দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফে শেষবার বাংলাদেশ ফাইনালে খেলেছিল ২০০৫ সালে। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ১৮ বছর। লম্বা অপেক্ষার ইতি টেনে এবার ফাইনালে ওঠার সুযোগ এসেছে জামাল ভূঁইয়া-আনিসুর রহমান জিকোদের সামনে। নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিয়ে সেটা লুফে নিতে মুখিয়ে আছেন আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর কাবরেরা।

গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচ জানান লড়াই করার প্রত্যয়, 'প্রথম লক্ষ্য পূরণ হয়েছে… সেমিফাইনালে উঠে ছেলেরা সবাই খুশি ও গর্বিত। আমি মনে করি, আপনি যখন সেমিফাইনালে উঠবেন, তখন ফাইনালে উঠতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। আমরাও সেটাই করব।'

একই প্রসঙ্গে তিনি যোগ করেন, 'কুয়েতের মুখোমুখি হতে এবং অনেক দিন পর সেমিফাইনাল খেলার জন্য আমরা প্রস্তুত ও রোমাঞ্চিত। তীব্র লড়াইয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী এবং ফাইনালে ওঠার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।'

পারফরম্যান্স বিবেচনায় এবারের সাফে সেরা দল কুয়েত। প্রতিযোগিতার রেকর্ড আটবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে টপকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিতে উঠেছে তারা। গ্রুপ পর্বে তারা সবচেয়ে বেশি আটটি গোল করেছে। তাদের আক্রমণভাগের বিপক্ষে নিশ্চিতভাবেই কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশের রক্ষণকে। তবে রাকিব হোসেন-শেখ মোরসালিনদেরও কুয়েতকে চাপে ফেলার সামর্থ্য ও দক্ষতা রয়েছে।

বাংলাদেশের কৌশল নিয়ে কাবরেরা বলেন, 'এই ম্যাচে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ এবং কুয়েতের আক্রমণভাগের মধ্যে একটা লড়াই হবে। পাশাপাশি কুয়েতের রক্ষণভাগের সঙ্গে বাংলাদেশের আক্রমণভাগেরও লড়াই হবে। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের বিপক্ষে লড়াইয়ের চেষ্টা করব এবং দুই দলেরই "ফিফটি-ফিফটি" সুযোগ আছে। তবে আমাদের লক্ষ্য হলো জেতা।'

Comments

The Daily Star  | English

‘There’s no fish there’

Fishermen in Bhola borrow to celebrate Eid amid Hilsa crisis

1h ago