পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি লড়াই

ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে আজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হারা বাংলাদেশ আছে ব্যাকফুটে। কুড়ি ওভারের সংস্করণে জিততে পারলে অন্তত সান্ত্বনায় শেষ করতে পারবে সফর। এই সিরিজ শুরু আগে দেখে দেওয়া যাক এই সংস্করণে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যান কী বলছে।
- বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মোট ১৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। শ্রীলঙ্কা জিতেছে ১১টি, আর বাংলাদেশ জিতেছে ৬টি ম্যাচ। শ্রীলঙ্কার জয়ের হার – ৬৪.৭১%, বাংলাদেশের জয়ের হার – ৩৫.২৯%। দুই দলের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছিল ৭ জুন ২০২৪, ডালাসে, গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বাংলাদেশ ওই ম্যাচে ২ উইকেটে জয় পায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দুই দলের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছিল ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৭, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে। শ্রীলঙ্কা জয় পায় ৬৪ রানে।
- মুখোমুখি লড়াইয়ে লঙ্কানদের জয় বেশি হলেও শ্রীলঙ্কার মাঠে পাল্লা ভারি বাংলাদেশের। মজার বিষয় হলো—নিজ দেশে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫টি টি-টোয়েন্টি খেলে তিনটিতেই হেরেছে শ্রীলঙ্কা।
- দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কুশল মেন্ডিস। এই ডানহাতি ব্যাটার ৯ ইনিংসে করেছেন ৪৪২ রান, গড় ৪৯.১১ এবং স্ট্রাইক রেট ১৬৩। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান মাহমুদউল্লাহর—৩৬৮ রান, ১৫ ইনিংসে।
- বোলিংয়ে বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান শীর্ষে। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট লাসিথ মালিঙ্গার—১১টি।
- সাম্প্রতিক ছন্দেও বাংলাদেশ পিছিয়ে। শ্রীলঙ্কা তাদের শেষ ৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিতেছে ২টি এবং হেরেছে ৩টি। অপরদিকে, বাংলাদেশ তাদের শেষ ৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সবগুলোই হেরেছে।
অতিরিক্ত পরিসংখ্যান ও তথ্য
- দুনিত ওয়েলালাগের টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান চমকপ্রদ হলেও ব্যাটিংয়ে অনুজ্জ্বল। এখন পর্যন্ত ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি, যাতে নিয়েছেন ৬টি উইকেট এবং ইকোনমি রেট ৬-এর নিচে। তবে ব্যাট হাতে এই ফরম্যাটে তার স্ট্রাইক রেট মাত্র ১০৬।
- লিটন দাস অধিনায়ক হিসেবে এখনো কোনো হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। নেতৃত্বে ১০ ইনিংসে তিনি করেছেন মাত্র ১৫৮ রান, যার স্ট্রাইক রেট ১২০।
- শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ পাল্লেকেলের মাঠে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৩ সালের মার্চে। সেই ম্যাচে জয় পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
Comments