ঝাঁজহীন ব্যাটিংয়ের পর দিল্লির বোলারদের কৃতিত্ব দিলেন চেন্নাই অধিনায়ক

ছবি: বিসিসিআই

লক্ষ্য ১৮৪ রানের। এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামের পিচে ঐতিহাসিকভাবেই এটা সহজ নয়। তারপরও চেন্নাই সুপার কিংস রান তাড়ায় যেমন ব্যাটিং করল তাতে ছিল না কোনো ঝাঁজ। আগেই যেন হার মেনে নিয়ে বসেছিল দলটি! ম্যাচশেষে ব্যাটারদের তাড়নার ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন করায় তাদের অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় উল্টো কৃতিত্ব দিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলারদের।

আইপিএলে শনিবারের প্রথম ম্যাচে ২৫ রানে হেরেছে স্বাগতিকরা। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৩ রানের ভালো পুঁজি পায় দিল্লি। জবাবে পুরো ওভার খেলা চেন্নাই মাত্র ৫ উইকেট হারালেও ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি।

একাদশ ওভারে ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে চেন্নাই। এরপর বিজয় শংকর ও মহেন্দ্র সিং ধোনি গড়েন ৫৭ বলে ৮৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। তবে চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান করতে পারেননি দুজন। শংকর ১২৭.৭৮ স্ট্রাইক রেটে করেন ৫৪ বলে অপরাজিত ৬৯ রান। মাত্র ১১৫.৩৮ স্ট্রাইক রেটে ধোনির ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে অপরাজিত ৩০ রান। দিল্লির বোলাররা তাদেরকে ঝড় তুলতে দেননি। ভিপরাজ নিগম ২৭ রানে ২ উইকেট, মিচেল স্টার্ক ২৭ রানে ১ উইকেট ও কুলদীপ যাদব ৩০ রানে ১ উইকেট নেন। তিনজনই ওভারের কোটা পূর্ণ করেন।

ম্যাচের পর সম্প্রচারকরা গায়কোয়াড়ের কাছে জানতে চান চেন্নাইয়ের ঝাঁজহীন ব্যাটিং নিয়ে। তিনি শুরুতে দ্রুত উইকেট পড়াকে দায় দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের বোলারদের প্রশংসা করেন, 'পাওয়ারপ্লে থেকেই আমাদের বড় চাহিদার পেছনে পেছনে ছুটতে হয়েছে। আমরা অনেক পিছিয়ে গিয়েছিলাম এবং আমাদের হাতে বেশি ব্যাটার ছিল না। দিল্লি সত্যিই ভালো বোলিং করেছে এবং কন্ডিশনকে সত্যিই ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে।'

আইপিএলে ১৭৫ বা এর চেয়ে বেশি রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২০২১ সালের আসর থেকে এখন পর্যন্ত জিততে পারেনি চেন্নাই। আর টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে স্রেফ দুবার ১৮০ বা এর চেয়ে বেশি রানের লক্ষ্য সফলভাবে তাড়া করা গেছে। ২০১২ সালের আসরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ছুড়ে দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্যের পেছনে ছুটে জিতেছিল চেন্নাই। এরপর ২০২৩ সালের আসরে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ২০১ রানের লক্ষ্যে জয়ী হয়েছিল পাঞ্জাব কিংস।

চার ম্যাচে মাত্র এক জয়ে ২ পয়েন্ট পেয়েছে চেন্নাই। তাদের অবস্থান পয়েন্ট তালিকার আট নম্বরে। এমন বাজে অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজছেন দলটির অধিনায়ক, 'গত কয়েকটি ম্যাচে কোনো কিছুই আমাদের পছন্দ অনুযায়ী হয়নি। আমরা উন্নতি করার চেষ্টা করছি, আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে আমাদের পছন্দ অনুযায়ী হচ্ছে না। অবশ্যই শুরুতে আমরা অনেক উইকেট হারিয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago