পিএসএলে রানাকে এনওসি দেওয়া নিয়ে দ্বিধায় বিসিবি

Nahid Rana

তরুণ গতি তারকা নাহিদ রানার জন্য আসন্ন পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এ খেলার সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে, তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাকে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) দেওয়ার আগে ভাবছে একাধিক বিষয়। তাদের মাথায় রানার কাজের চাপ সামলানো এবং জাতীয় দলের আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ।

পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি পেশোয়ার জালমি ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এই বছরের পিএসএলের ড্রাফট থেকে রানাকে দলে নিয়েছে। রানা একা নন, আসন্ন পিএসএলের জন্য দল পেয়েছেন বাংলাদেশের আরও দুজন। রানার সঙ্গে জালমির দলে ঠাঁই পেয়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। করাচি কিংস দলে নিয়েছে লিটন দাসকে।

গতকাল বিসিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে, রানা টুর্নামেন্টের জন্য এনওসির আবেদনও করেছেন। বিসিবি এনওসি দেওয়ার আগে পিএসএলের সমর্থন পত্রের জন্য অপেক্ষা করলেও, বোর্ড আরও কিছু বিষয় বিবেচনা করছে।

কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটর রাউন্ডের আগে ৭ মে জালমি তাদের শেষ লিগ ম্যাচ খেলবে। পিএসএলের ফাইনাল ১৮ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। এদিকে, জিম্বাবুয়ে ১৫ এপ্রিল আসবে এবং ২০ এপ্রিল সিলেটে প্রথম টেস্ট এবং ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে।

টেস্ট সিরিজটি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের অংশ না হলেও পিএসএলের সঙ্গে সময়সূচির সংঘর্ষের কারণে বোর্ড পুরো টুর্নামেন্টের পরিবর্তে রানাকে একটি ধাপে এনওসি দেবে কিনা তা বিবেচনা করছে।

পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি রানার কাজের চাপ কীভাবে পরিচালনা করবে, সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গতি তারকা কাজের চাপ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলেছেন।

বিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আগের বোর্ড সভার পর নিশ্চিত করেছিলেন যে, তারা এনওসি দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি উদার হবেন। খেলোয়াড়ের উন্নতি ও সুবিধাকে অগ্রাধিকার দেবেন। পিএসএলে সেই ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো থাকলেও, বোর্ড রানার ক্ষেত্রে দ্বিধায়।

রানা, লিটন ও রিশাদের পিএসএল খেলার প্রসঙ্গ উঠলে সোমবার নাজমুল হোসেন শান্ত মত দেন, তাদের যেন যেতে দেওয়া হয়,  'আমার মনে হয়, এই ধরনের টুর্নামেন্টে খেলা উচিত। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট অবশ্যই খেলা উচিত। তবে এটা পুরোটা নির্ভর করবে ক্রিকেট বোর্ড, কোচ, অধিনায়ক—সবকিছুর ওপর।'

 'বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় যদি আমাদের ক্রিকেটাররা খেলা শুরু করে, তাহলে একটা অভিজ্ঞতা তৈরি হবে এবং ওই দায়িত্বটা নেওয়া শিখবে। বাইরের যে ক্রিকেটাররা আছে, তাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করা, সব মিলিয়ে ভালো একটা অভিজ্ঞতা হবে। আশা করব, এই ধরনের টুর্নামেন্টে আমাদের ক্রিকেটাররা সামনের দিকে খেলার সুযোগ পাবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

7h ago