চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

সেমিফাইনালের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ

ছবি: এএফপি

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার কপালে দুশিন্তার ভাঁজ। চোট থেকে সেরে ওঠার লড়াইয়ে আছেন এইডেন মার্করাম। ফাইনালে ওঠার ম্যাচে অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটারকে পাওয়া নিয়ে জেগেছে শঙ্কা।

আগামীকাল বুধবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিতে পাকিস্তানের লাহোরে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। মার্করাম ওই ম্যাচে খেলতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। তিনি ভুগছেন হ্যামস্ট্রিং পেশির চোটে।

গত শনিবার করাচিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট লাগে মার্করামের। পরে বাকি অংশে আর মাঠে দেখা যায়নি তাকে। ৭ উইকেটে জেতা ম্যাচে ব্যাটিংয়েও নামেননি সেদিন প্রোটিয়াদের হয়ে অধিনায়কত্ব করা তারকা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার ফিটনেস পরীক্ষা করা হবে। তাতে উতরে গেলেই কেবল কিউইদের বিপক্ষে একাদশে থাকবেন তিনি।

চোটে জর্জরিত স্কোয়াড নিয়ে চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই তাদের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ছিটকে গেছেন। তারা হলেন আনরিখ নরকিয়া, জেরল্ড কোয়েটজি, নান্দ্রে বার্গার ও লিজাড উইলিয়ামস। এদের সবাই আবার ফাস্ট বোলার। এবার আসরের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে মার্করামকে হারানোর শঙ্কা জেগেছে দলটির।

মার্করামের বিকল্প তৈরি রাখার প্রক্রিয়ায় ইতোমধ্যে জর্জ লিন্ডাকে দলে ডেকেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে বাঁহাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার আপাতত আছেন সফরসঙ্গী হিসেবে। মার্করাম আনুষ্ঠানিকভাবে ছিটকে পড়লেই কেবল মূল দলে যোগ করা যাবে তাকে। সেজন্য লাগবে আইসিসির ইভেন্ট টেকনিক্যাল কমিটির অনুমতি।

দুবাইয়ে চলমান প্রথম সেমিতে অস্ট্রেলিয়াকে ভারত হারালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল হবে দুবাইয়েই। সেখানকার পিচ ও কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত স্পিন বিভাগে শক্তি বাড়িয়েছে প্রোটিয়ারা। এখন তাদের স্কোয়াডে বিশেষজ্ঞ স্পিনার আছেন দুজন। তারা হলেন বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ ও বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার তাবরাইজ শামসি। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে অবশ্য শুধু মহারাজই খেলেছেন।

সফরসঙ্গী হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে আগে থেকেই আছেন বাঁহাতি পেসার কিউনা মাফাকা। মার্করাম ছিটকে গেলে ভিন্ন বাস্তবতায় তিনিও আসতে পারেন বিকল্প হওয়ার বিবেচনায়। দলটির জন্য স্বস্তির খবর হলো, অসুস্থতা কাটিয়ে উঠেছেন নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও ওপেনার টনি ডি জর্জি।

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

15h ago