চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে প্রস্তুতি নিয়ে বাংলাদেশের যে সংশয়

Phil Simmons
ছবি: স্টার।

বৈশ্বিক আসরগুলোর আগে বাংলাদেশের আদর্শ প্রস্তুতির ঘাটতি নতুন আলোচনা নয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে দলটির প্রস্তুতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।

ক্রিকেটাররা সবেমাত্র বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শেষ করেছেন। অনেক খেলোয়াড় এখনও প্রশিক্ষণে ফেরেননি, বিশেষ করে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন  ফরচুন বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির খেলোয়াড়রা কাপ জয়ের পর পান বাড়তি ছুটি৷ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলগুলোর প্রস্তুতির দিকে তাকালে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ঘাটতি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। যা হাই ইন্টেনসিটির আসরে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে।

নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা স্বাগতিক পাকিস্তান সহ একটি ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলছে। ইংল্যান্ড ভারতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে প্রস্তুতি নিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাচ্ছে, যেখানে তারা লঙ্কানদের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পরাজিত করেছে।

শুধুমাত্র আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ গত এক মাসে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ না খেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেবে।

আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অভিযান শুরুর নয় দিন বাকি আছে। টাইগারদের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স প্রস্তুতির ঘাটতি সহজেই স্বীকার করে নিলেন, 'আমি স্বীকার করি যে এটি সেরা প্রস্তুতি নয়।' 

যদিও সিমন্স গতকাল মিরপুরে অনুশীলন  সেশনের আগে সাংবাদিকদের বলেন, ক্রিকেটাররা সাদা বলের খেলায় থাকায় সেই ঘাটতি চিন্তার কারণ হবে না, 'কিন্তু তারা [ক্রিকেটাররা] সাদা বলের ক্রিকেট খেলছিল, যার মানে হল ​​তাদের দক্ষতায় শান দেওয়াই আছে। আগামী ছয় বা সাত দিনের মধ্যে আমাদের তাদের মনকে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে আনতে হবে। তাদের দক্ষতা আছে। তারা পারফর্ম করছে। এখন শুধু ৫০ ওভারের মানসিকতায় পৌঁছানোর বিষয়।'

প্রস্তুতি ঘাটতি মাথায় রাখা দুবাই যাওয়ার আগে ডাবল অনুশীলন করবে বাংলাদেশ দল,  'আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আমাদের ডাবল প্র্যাকটিস সেশন হবে। আমরা সকালে ব্যাটিং ও বোলিং করি, এবং তারপর রাতের আলোতেও একই কাজ করি। আমরা ৫০ ওভার ব্যাট করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছি।'

বিপিএলে এমনিতেই ছিলো টি-টোয়েন্টি আসর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে হবে ওয়ানডে। সংস্করণের সঙ্গে খেলার মানের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ আছে। গত বছর ওয়ানডে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ।  সর্বশেষ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বড় রানের পিচে খাবি খেয়েছে দল। এই  অবস্থায় মানসিকতার উপর জোর দিচ্ছেন সিমন্স, 'প একবার আমরা যদি নিজেদের ঠিক মানসিকতায় আনতে পারি এবং দুবাইয়ের জন্য সঠিক বিষয়গুলোর উপর কাজ করতে পারি, আমি মনে করি আমরা প্রতিযোগিতাটি ভালোভাবে শুরু করতে পারব।'

Comments

The Daily Star  | English

Govt divides tax authority in IMF-backed reform

An ordinance published last night disbands NBR and creates two new divisions

1h ago