নাহিদের গতির ঝাঁজে রংপুরের টানা দ্বিতীয় জয়
বোলারদের নৈপুণ্যে রংপুর রাইডার্সকে নাগালের মধ্যে আটকে রাখতে পেরেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। রান তাড়ায় রনি তালুকদার দলের চাহিদা মেটানো ব্যাট করলেও জাকের আলি অনিক খেলেন অতি মন্থর ইনিংস। তাদের চাপে রেখে গতির তোড়ে চার শিকার ধরেন নাহিদ রানা। তাতে টানা দ্বিতীয় জয় পায় রংপুর রাইডার্স।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৩৪ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। আগে ব্যাটিং বেছে ১৫৫ রানের পুঁজি পেয়েছিল রংপুর। ওই রান তাড়ায় এক সময় ভালো জায়গায় থেলেও সিলেট করতে পারে ১২১ রান।
সিলেটের ইনিংস গুঁড়িয়ে ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে রংপুরের সফল বোলার নাহিদ। দারুণ বল করেছন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনও। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলেছেন ২ উইকেট। সিলেটের হয়ে রনি ৩৬ বলে ৪১ করলেও ৩৩ বলে ২৪ রান করে দলের ভরাডুবির কারণ হন সম্প্রতি জাতীয় দলের হয়ে ভালো খেলা জাকের।
১৫৭ রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই জর্জ মানসিকে হারায় সিলেট। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে বোল্ড হয়ে যান এই স্কটিশ। তিনে নেমে আগ্রাসী খেলার তালে ছিলেন জাকির হাসান। তিন চারে ১৮ করে তার বিদায় নাহিদ রানার বলে। নাহিদ খানিক পর ফেরান পল স্টার্লিংকেও। তবে আরেক পাশে রান বাড়াচ্ছিলেন রনি। তিনি পরে সঙ্গী পান জাকের আলিকে। কিন্তু জাকের রানের চাকা সচল রাখা দূরে থাক, করে দিচ্ছিলেন ভীষণ মন্থর।
কিছু শটের চেষ্টা করেও ব্যাটে-বলে সংযোগ পাচ্ছিলেন না। তার শ্লথ গতির পথচলায় পুরো দল পড়ে যায় চাপে। এক পর্যায়ে ২৯ বলে খেলে জাকেরের রান ছিলো কেবল ১৫! আস্কিং রানরেট তখন দশের উপর, স্বাভাবিকভাবেই রনি বড়তি কিছুর চেষ্টা করে ফেরেন খুশদিল শাহর বলে বোল্ড হয়ে। ৩৬ বলে ৪১ করে থামেন তিনি।
অধিনায়ক আরিফুল হক ক্রিজে নেমেই হন স্টাম্পিং। জাকেরের কাঁধে দায়িত্ব বাড়ে আরও। পুরো দলকে বাজে অবস্থায় নেওয়ার বদনাম মুছতে পারতেন জেতাতে পারলে। নাহিদের শেষ স্পেলে ছক্কা মারার পরের বলে পুল করতে গিয়ে দেন ক্যাচ। ৩৩ বলে থামেন ২৪ করে। এরপর আর ম্যাচে ফেরার অবস্থা থাকেনি সিলেটের।
টস জিতে ব্যাটিং বেছে শুরুতে বিপদে পড়ে রংপুর। তিন ওভারে ২২ রান আনার পর দ্রুত তিন উইকেট হারায় তারা। একে, একে ফিরে যান স্টিভেন টেইল, আলেক্স হেলস ও সাইফ হাসান। এরমধ্যে দুইটি উইকেট তুলেন আল-আমিন হোসেন।
চারে নেমে দলকে টেনে তুলতে থাকেন ইফতেখার আহমেদ। তিনি প্রথমে সঙ্গী পান খুশদিল শাহকে। খুশদিল ১৬ বলে ২১ করে সামিউল্লাহ শেনওয়ারির বলে ফিরে গেলে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান যোগ দেন। সোহান-ইফতেখার মিলে যোগ করেন ৬৫ রান। মাত্র ২৪ বলে ৪১ রান করে রানের চাকায় গতি আনেন সোহান। পরে শেখ মেহেদী ৮ বলে ১৬ করলে দেড়শো পার হয় রংপুর।। ইফতেখার প্রান্ত আগলে ৪২ বলে অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে।
ইনিংস বিরতিতে মনে হয়েছিলো কিছুটা কম রান করেছে রংপুর। পরে তাদের পুঁজিই মনে হয়েছে যথেষ্ট।
Comments