সোহানের ব্যাটে চট্টগ্রামকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে খুলনা
নুরুল হাসান সোহানের দারুণ ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ের পুঁজি মিলে খুলনার। কিন্তু লক্ষ্য তাড়ায় অধিনায়ক ইয়াসির আলির সঙ্গে যখন ব্যাটিং করছিলেন নাঈম হাসান, তখন মনে হয়েছিল সহজ জয়ের দিকেই হাঁটছে চট্টগ্রাম। এরপর দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মেহেদী হাসান রানা। তাতে ম্যাচ জিতে নেয় খুলনা বিভাগই।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টির এলিমিনেটর রাউন্ডের ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৭ রানে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারের টিকিট কেটেছে খুলনা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ১৯.৩ ওভারে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় তারা। জবাবে পুরো ২০ ওভার খেলে ৬ উইকেটে ১৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি চট্টগ্রাম।
এদিন ১৬ ওভার শেষে চট্টগ্রামের রান ছিল ৫ উইকেটে ১১৫। শেষ চার ওভারে তখন প্রয়োজন ৩১ রান। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ২৪ বলে এই রান করা খুব কঠিন কিছু মনে হচ্ছিল না নাঈম হাসান ও ইয়াসির আলির ব্যাটিংয়ে। কিন্তু ইয়াসির আউট হতেই চিত্র যায় বদলে। পরের তিন ওভারে রান আসে মাত্র ৮। ১৭ ও ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করে ইয়াসিরের উইকেট নিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন মেহেদী রানা।
শেষ ওভারে তাই জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৩ রানের। আল-আমিন হোসেনের করা সে ওভারের প্রথম পাঁচ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ১৬ রান তুলে ফেলেছিলেন নাঈম হাসান। শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে পারলে সুপার ওভারে গড়াতে পারতো ম্যাচটি। কিন্তু আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। ৭ রান দূরে থামেন তারা। একই সঙ্গে থেমে যায় তাদের আসরও।
রান তাড়ায় নেমে অবশ্য শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দলটি। দলীয় ৬৪ রানে শীর্ষ পাঁচ ব্যাটার সাজঘরে ফিরে যান। এরপর নাঈমকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ইয়াসির। ৫৩ রানের জুটিও গড়েছিলেন তারা। কিন্তু ইয়াসির আউট হওয়ার পর মাঠে নামা আহমেদ শরিফ ব্যাটে বলেই ঠিকমতো করতে পারেননি। হারতেই হয় তাদের।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন ইয়াসির। ২৭ বলে করেন ৩৭ রান। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। সমান ২৭ বলে সমান ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন নাঈম। ১৪ বলে ২৩ রান করেন শাহাদাত হোসেন দিপু। খুলনার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন মাসুম খান টুটুল ও টিপু সুলতান।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যক্তিগত ৪ রানেই ওপেনার এনামুল হক বিজয় আউট হন। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার আজিজুল হাকিম। তবে দুই রানের ব্যবধানে এ দুই ব্যাটার ফিরে গেলে প্রথমে ইমরুল কায়েস ও পরে নাহিদুল ইসলামের সঙ্গে দুটি জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন অধিনায়ক সোহান। ইমরুলের সঙ্গে ৩১ ও নাহিদুলের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। তবে শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকলে মাঝারি পুঁজি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রানের স্কোর করেন সোহান। ৩৯ বলের ইনিংসটি সাজাতে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। এছাড়া আজিজুল ২০ ও নাহিদুল ১৮ রান করেন। চট্টগ্রামের পক্ষে ২৬ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন শরিফ। ২০ রানের বিনিময়ে ৩টি শিকার ফাহান হোসেনের।
Comments