ঝড়ো ফিফটির পর বোলিংয়েও ঝলক দেখালেন শান্ত
ইনজুরি থেকে ফিরেই ৮০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে পরের তিন ম্যাচ নিষ্প্রভ থাকার পর আবার জ্বলে উঠলেন তিনি। রাজশাহীকে জেতাতে ঝড়ো ফিফটির পর বল হাতেও ভূমিকা রাখলেন শান্ত।
বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগের টি-টোয়েন্টিতে সিলেট বিভাগকে ২৬ রানে হারিয়েছে রাজশাহী বিভাগ। তাতে আগেই আসর থেকে বিদায় নেওয়া রাজশাহীর সঙ্গী হয়েছে সিলেটও।
আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৮১ রানের পুঁজি গড়ে রাজশাহী। জবাবে ১৫৫ রানে থেমে যায় সিলেট। রাজশাহীকে বড় পুঁজি এনে দিতে ৪৮ বলে ৬ চার, ৫ ছক্কায় ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন শান্ত। পরে অফ স্পিন বল করে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়ে তিনিই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। সিলেটের ইনিংস থামাতে অবশ্য এদিন ২৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে রাজশাহীর সেরা বোলার পেসার আসাদুজ্জামান পায়েল।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরুর আনেন শান্ত। হাবিবুর রহমান সোহানকে নিয়ে কাজে লাগান পাওয়ার প্লে। ৬ষ্ঠ ওভারে দলের ৫২ রানে হাবিবুর ফিরে গেলে সাব্বির হোসেনকে নিয়ে আরেকটু জুটি গড়েন তিনি। মাত্র ১৪ বলে ৩০ করে যান সাব্বির, এরপর চোট কাটিয়ে খেলায় ফেরা জাতীয় দলের আরেক ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় নেমে ১৭ বলে করেন ২১ রান। পরের ব্যাটাররা রান না পেলেও শান্তর ব্যাট জেতার রান হয়ে যায় রাজশাহীর।
সিলেটের হয়ে ইবাদত হোসেন ২৯ রানে ২ ও খালেদ আহমেদ ২৪ রানে নেন ৩ উইকেট।
রান তাড়ায় সিলেটের হয়ে চ্যালেঞ্জ দেখান কেবল জিসান আলম। ছন্দে থাকা এই তরুণ ৩২ বলে খেলেন ৬০ রানের ইনিংস। ২ চার ৫ ছক্কায় তার ইনিংসের পরও ম্যাচে যথেষ্ট ভালোভাবে ছিলো সিলেট। কিন্তু এরপর পিনাক ঘোষ (২১ বলে ২৭) ছাড়া দাঁড়াত পারেননি কেউ। বিপদজনক পিনাককে দারুণ এক অফ স্পিন ডেলিভারে স্টাম্পিং করে একমাত্র উইকেট নেন শান্ত।
সকালের আরেক ম্যাচে আউটার মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগকে ১৭ রানে হারিয়েছে আগেই প্লে অফ নিশ্চিত করা ঢাকা মেট্রো। শামসুর রহমানের ৪৮ বলে ৫৬ ও মার্শাল আইয়ুবের ৪২ বলে ৫১ রানে ১৫৮ রান করে ঢাকা মেট্রো। চট্টগ্রাম করতে পারে ১৪১ রান। ইয়াসির আলি করেন ৩১ বলে ৪৬ রান।
এই হারের পর চট্টগ্রামের প্লে-অফ খেলা কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে গেলো। রানরেটে তাদের পেছনে ফেলার সুযোগ থাকবে বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের।
Comments