পাকিস্তানের চাকুরী ছাড়ার কারণ জানালেন গিলেস্পি
হঠাৎ করেই পাকিস্তান দলের লাল বলের কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান জেসন গিলেস্পি। তখন কোনো কারণ জানাননি তিনি। তবে অবশেষে মুখ খুলেছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাকে আর চায় না বলেই ভেবেছিলেন এই কোচ। যে কারণে ইস্তফা দেন ৪৯ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান।
গিলেস্পি দায়িত্ব ছাড়ার দুদিন আগে পারফরম্যান্স কোচ টিম নিলসেনকে ছাঁটাই করে পিসিবি। যিনি একজন অস্ট্রেলিয়ানও। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কোনো ধরণের আলোচনা করা হয়নি গিলেস্পির সঙ্গে। তখনই পাকিস্তান ক্রিকেটে নিজের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভাবেন তিনি।
ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টার এবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'নিলসনকে বলা হয়েছিল যে তার সেবার আর প্রয়োজন নেই এবং আমার কাছে কারও কাছ থেকে কোনো ধরনের যোগাযোগ ছিল না। সেই মুহূর্তে আমি ভেবেছিলাম: ভালো, আমি সত্যিই নিশ্চিত নই যে তারা আসলে এই কাজের জন্য আমাকে চায় কি-না।'
'(নিলসনের বিষয়ে) যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং প্রধান কোচ এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে একটি টেক্সট বার্তা, ফোন কল কিংবা ই-মেলও পান না, যা একটি খুব বড় একটি সিদ্ধান্ত। এটা আমাকে ভালোভাবে ভাবতে বাধ্য করে যে আমি সত্যিই নিশ্চিত নই যে পিসিবি আমাকে চায় কিনা,' যোগ করেন এই অস্ট্রেলিয়ান।
এর আগে গত অক্টোবরে সাদা বলের দায়িত্বও ছাড়েন দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ গ্যারি কার্স্টেন। চাকুরীর ছাড়ার বিষয়ে তিনিও কিছুই বলেননি। জানা গেছে নির্বাচকদের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে সাদা বলের কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেন কার্স্টেন। ঠিক একই ধরণের মতপার্থক্য তার সঙ্গেও তৈরি হয়েছে বলে জানান গিলেস্পি।
বাংলাদেশের কাছে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর মুলতানে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস হারে বাজে শুরু হয় গিলেস্পির। ফলে পিসিবিকে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে প্ররোচিত করে। গিলেস্পিকে নির্বাচন প্যানেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং বাদ দেওয়া হয় তারকা খেলোয়াড় বাবর আজম, শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং নাসিম শাহকে।
'আমি প্রায় অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ছিলাম। ম্যাচের দিন সকালেও প্রথম একাদশ নিয়ে ধারণা থাকত না আমার। আপনাকে নির্বাচক সহ সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে স্পষ্ট যোগাযোগ থাকতে হবে এবং খেলার অন্তত একদিন আগে দল সম্পর্কে প্রধান কোচ হিসাবে জানতে হবে যাতে আপনি সঠিক পরিকল্পনা এবং খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করতে সহায়তা করতে পারেন,' বলেন গিলেস্পি।
Comments