ফাহাদের তোপে ঢাকাকে ৬৪ রান গুটিয়ে তামিমদের জয়
বাঁহাতি পেসার ফাহাদ হোসেন শুরুতেই তছনছ করে দিলেন ঢাকা বিভাগের টপ অর্ডার। সেই ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে পড়া দলটি পথ খুঁজে না পেয়ে গুটিয়ে গেল স্রেফ ৬৪ রানে। মামুলি লক্ষ্য মাহমুদুল হাসান জয় ও তামিম ইকবালের উদ্বোধনী জুটিতেই ছুঁয়ে ফেলল চট্টগ্রাম বিভাগ।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টিতে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম। টস জিতে প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে অল্প পুঁজিতে বেঁধে ফেলে তারা তুলে নিয়েছে ১০ উইকেটের বিশাল জয়। তাদের হাতে জমা ছিল ৫৪ বল।
ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা ফাহাদ ৪ ওভারে একটি মেডেনসহ ৪ উইকেট নেন মাত্র ১১ রানে। তার তোপের পর ঢাকাকে চেপে ধরা চট্টগ্রামের বাকি বোলাররা। সব মিলিয়ে পেসারদের ভাগে যায় ৮ উইকেট। দুটি করে শিকার ধরেন ইফরান হোসেন ও আহমেদ শরিফ। অফ স্পিনে বাকি দুটি উইকেট দখল করেন জয়।
বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও কার্যকর ইনিংস খেলেন ডানহাতি জয়। ৩৭ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। তার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৬৫ রানের জুটিতে বাঁহাতি তামিম অবশ্য ছিলেন মন্থর। চারটি চারের সাহায্যে অপরাজিত ২১ রান করতে খেলেন ২৯ বল।
ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই শুরু হয় ঢাকার দুর্দশা। চতুর্থ ডেলিভারিতে আশিকুর রহমান শিবলিকে এলবিডব্লিউ করেন সুইংয়ের পসরা মেলে ধরা ফাহাদ। নিজের পরের ওভারে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান ২৫ বছর বয়সী পেসার। আরিফুল ইসলাম এলবিডব্লিউ হওয়ার পর ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। পঞ্চম ওভারে ফাহাদের শিকার হন ঢাকার অধিনায়ক সাইফ হাসান। কভারে দারুণ ক্যাচ নেন হাসান মুরাদ।
২৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর চাপ আর এড়ানো হয়নি ঢাকার। তাদের পুঁজি পঞ্চাশ ছাড়ায় মূলত তাইবুর রহমানের সৌজন্যে। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি পাঁচে নেমে ৪৩ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ৩০ রান করেন।
তাইবুরের বাকি কোনো সতীর্থই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। তিন ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়ে। দলটির ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে।
রংপুর বিভাগের কাছে হেরে আসর শুরুর পর চট্টগ্রাম পেয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়। আগের ম্যাচে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ১২ রানে জেতে তারা। অন্যদিকে, ঢাকা পেয়েছে টানা দ্বিতীয় হার। সিলেটের বিপক্ষে জিতে আসর শুরুর পর তারা আগের ম্যাচে হেরে যায় রংপুরের কাছে।
Comments