জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি

ব্যর্থতা কাটিয়ে প্রায় দুইশ স্ট্রাইক রেটে তামিমের বিস্ফোরক ফিফটি

ছবি: বিসিবি

নয় মাসের বেশি সময় পর প্রতিযোগিতামূলক টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে ব্যর্থ ছিলেন তামিম ইকবাল। আগের দিন রংপুর বিভাগের বিপক্ষে আউট হন ১০ বলে ১৩ রানে। ঘুরে দাঁড়িয়ে এবার বিস্ফোরক ইনিংস খেললেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। চার-ছক্কার পসরা সাজিয়ে প্রায় দুইশ স্ট্রাইক রেটে ফিফটি করলেন তিনি।

জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টিতে বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে ৬৫ রান করেন তামিম। মাত্র ৩৩ বল মোকাবিলায় তিনি আটটি চারের সঙ্গে হাঁকান তিনটি ছক্কা। তার বিধ্বংসী ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৯৬.৯৭। পুরনো ঝলক দেখিয়ে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে তার লাগে ২৭ বল।

ঘন কুয়াশার কারণে দেরি শুরু হওয়ায় ১৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে চট্টগ্রাম তুলেছে ৯ উইকেটে ১৪৫ রান। এই পুঁজি পাওয়ার পেছনে মূল কৃতিত্ব অভিজ্ঞ তারকা তামিমের। পার্শ্বনায়কের ভূমিকায় ছিলেন আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন ৬.৫ ওভারে যোগ করেন ৮০ রান। জয় ১৭ বলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় করেন ২৯ রান।

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় আগের ম্যাচে রংপুরের কাছে হেরে যাওয়া চট্টগ্রাম। ম্যাচের প্রথম ওভারেই তারা তোলে ১৪ রান। স্পিনার নাঈম আহমেদকে একটি করে চার ও ছক্কা মারেন জয়। পরের ওভারের প্রথম বলে পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদকে ডিপ পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে তামিম পান প্রথম বাউন্ডারি।

তৃতীয় ওভারে পেসার আবু জায়েদ রাহী আক্রমণে এলে তার ওপর চড়াও হন জয়। একটি ছক্কার পাশাপাশি মারেন দুটি চার। তামিমও এরপর হাত খুলে বল সীমানার বাইরে পাঠাতে থাকেন। পেসার ইবাদত হোসেনের করা চতুর্থ ওভারে তিনটি চার আসে তার ব্যাট থেকে। আবু জায়েদের পরের ওভারে মারেন টানা দুটি চার। এতে পাওয়ার প্লের ৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৬১ রান জমা করে চট্টগ্রাম।

সপ্তম ওভারে ইবাদতের বলে ক্যাচ দিয়ে থামতে হয় জয়কে। বাঁহাতি ওপেনার তামিমের আগ্রাসন অবশ্য চলতে থাকে অন্যপ্রান্তে। পরের ওভারে মাহফুজুর রহমান রাব্বির চতুর্থ বলে ডিপমিডউইকেট দিয়ে চার মেরে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি তার পঞ্চাশতম ফিফটি। বাকি দুই বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে তিনি হাঁকান ছক্কা।

তামিমের তাণ্ডব থামে একাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে। পেসার তোফায়েল আহমেদকে ছক্কায় ওড়াতে দিয়ে তিনি লংঅফে ধরা পড়েন খালেদের হাতে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো চট্টগ্রাম এরপর রান তোলার গতি বজায় রাখতে পারেনি। প্রথম ৮ ওভারে ১ উইকেটে ৯৮ রান তোলা দলটি পরের ৭ ওভারে ৪৭ রান করতে খোয়ায় ৮ উইকেট।

তামিম ও জয় ছাড়া দুই অঙ্কে পৌঁছান কেবল ছয়ে নামা সাব্বির হোসেন শিকদার। তিনি ১২ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৫ রান করেন। সিলেটের হয়ে ৩ ওভারে ১৯ রানে ৪ উইকেট নেন খালেদ। ভীষণ আঁটসাঁট ছিলেন তোফায়েল। ৩ ওভারে একটি মেডেনসহ ২ উইকেট শিকার করতে তার খরচা মাত্র ৭ রান।

Comments

The Daily Star  | English
BNP demands disclosure of power sector contracts

Disclose AL govt’s power, energy deals

The BNP yesterday demanded public disclosure of all the power and energy sector agreements made by the ousted Awami League government.

7h ago