রাদারফোর্ডের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে টানা ১১ হারের ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেরফেইন রাদারফোর্ডের ঝড়ো সেঞ্চুরি ও অধিনায়ক শেই হোপের দায়িত্বশীল ফিফটিতে রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে জিতল তারা। তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।

রোববার সেন্ট কিটসে প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে বাংলাদেশকে হারাল ক্যারিবিয়ানরা। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগাররা ৫০ ওভারে তোলে ৬ উইকেটে ২৯৪ রান। জবাবে ১৪ বল হাতে রেখে লক্ষ্য স্পর্শ করল স্বাগতিকরা। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রাদারফোর্ড খেলেন ১১৩ ঝলমলে ইনিংস। ৮০ বল মোকাবিলায় তিনি সাতটি চারের সঙ্গে মারেন আটটি ছক্কা।

হোপের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৯৩ বলে ৯৯ ও জাস্টিন গ্রিভসের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৫৭ বলে ৯৫ রানের আগ্রাসী জুটি গড়েন রাদারফোর্ড। হোপ ৮৮ বলে তিনটি চার ও চারটি ছক্কায় করেন ৮৬ রান। গ্রিভসও ঝড় তুলে ৩১ বলে পাঁচটি চারের সাহায্যে অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। তাদের আক্রমণের কোনো জবাব দিতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ৩০ ওভার পর্যন্ত আঁটসাঁট থাকলেও এরপর আলগা হয়ে যায় চাপ।

ওয়ার্নার পার্কে এটাই কোনো দলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। আগের কীর্তিটিও ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৬৫ রান তাড়া করে জিতছিল তারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৯৪/৬ (তানজিদ ৬০, সৌম‍্য ১৯, লিটন ২, মিরাজ ৭৪, আফিফ ২৮, মাহমুদউল্লাহ ৫০*, জাকের ৪৮, রিশাদ ০*; জোসেফ ২/৬৭, সিলস ১/৬৩, শেফার্ড ৩/৫১, গ্রিভস ০/৫০, চেইস ০/১৬, মোটি ০/৪২)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৭.৪ ওভারে ২৯৫/৫ (কিং ৯, লুইস ১৬, কার্টি ২১, হোপ ৮৬, রাদারফোর্ড ১১৩, গ্রিভস ৪১*, চেইস ২*; তাসকিন ০/৫৩, তানজিম ১/৫৫, নাহিদ ১/৫০, রিশাদ ১/৪৯, মিরাজ ১/৬২, সৌম‍্য ১/২৪)।

অবশেষে আউট হলেন রাদারফোর্ড

সৌম্য সরকারকে টানা দুই ছক্কা মারার পর আউট হলেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানো শেরফেইন রাদারফোর্ড। অবশেষে তাকে থামাতে পারলেও ইতোমধ্যে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

৪৭তম ওভারের চতুর্থ ডেলিভারিটি কাট করতে চেয়েছিলেন রাদারফোর্ড। তবে বল চলে গেল শর্ট থার্ডম্যানে থাকা নাহিদ রানার হাতে। ৮০ বলে সাতটি চার ও আটটি ছক্কা মেরে ১১৩ বলে থামলেন বাঁহাতি ব্যাটার।

সব মিলিয়ে ওই ওভার থেকে এলো ২১ রান। ৪৭ ওভারে ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৯১ রান। ক্রিজে আছেন জাস্টিন গ্রিভস ২৯ বলে ৩৮ রানে। তার সঙ্গী রোস্টন চেইস খেলছেন ১ বলে ১ রানে। জয়ের জন্য ১৮ বলে মাত্র ৪ রান চাই স্বাগতিকদের।

ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নিলেন রাদারফোর্ড

ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্রেফ ৭৭ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন শেরফেইন রাদারফোর্ড। মাত্র দশম ওয়ানডের অষ্টম ইনিংসেই এই স্বাদ নিলেন ছন্দে থাকা বাঁহাতি ব্যাটার। আগের চার ওয়ানডেতে টানা ফিফটি করেছিলেন তিনি।

রাদারফোর্ডের সেঞ্চুরি অবশ্য পূর্ণ হলো অদ্ভুত কায়দায়। সৌম্য সরকারের বল মিডউইকেটে ফাঁকায় ঠেলে দ্রুত ডাবল নিলেন তিনি। তখন দৌড়ে এসে বল কুড়িয়ে নন-স্ট্রাইক প্রান্তের দিকে থ্রো করলেন তানজিম হাসান সাকিব। স্টাম্পের আশেপাশে বল লুফে নেওয়ার মতো কেউ ছিল না বাংলাদেশের। ওভারথ্রোতে এলো আরও ৪ রান। সব মিলিয়ে ৬ রান! স্মরণীয় শতরান স্পর্শ করে উদযাপনে মাতলেন রাদারফোর্ড।

৪৭তম ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত মাইলফলক ছুঁয়ে পরের দুই বলে টানা ছক্কা হাঁকালেন রাদারফোর্ড। প্রথমটি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে। পরেরটি ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে।

শেষ ১০ ওভারে ৮৩ রান চাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের

৩০ ওভার পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। তখন স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১৩০ রান। পরের ১০ ওভারে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রানের গতি অনেক বাড়িয়ে তারা যোগ করেছে ৮২ রান। হারিয়েছে কেবল অধিনায়ক শেই হোপের উইকেট।

শেষ কয়েকটি ওভারে বাংলাদেশের ওপর চড়াও হয়েছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। বিশেষ করে, ছন্দে থাকা শেরফেইন রাদারফোর্ডকে আটকানোর কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছে না সফরকারীরা। তিনি বাউন্ডারির ফুলঝুরি সাজিয়ে খেলছেন ৫৫ বলে ৬১ রানে। জাস্টিন গ্রিভস ক্রিজে আছেন ১৩ বলে ১৩ রানে।

শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাই আর ৮৩ রান। হাতে রয়েছে ৬ উইকেট। তাই জয়ের পাল্লা ভারী তাদের দিকে। উল্টো চাপে পড়া বাংলাদেশকে জিততে হলে বোলিংয়ে করে দেখাতে হবে দারুণ কিছু।

মিরাজকে ছক্কা মারতে গিয়ে কুপোকাত হোপ

৩৮তম ওভারে আক্রমণে ফিরলেন আগের কয়েকটি ওভারে খরুচে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম বলেই উইকেট তুলে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু পাইয়ে দিলেন অধিনায়ক। তাকে ছক্কা মারার চেষ্টায় টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেললেন শেই হোপ। ডিপমিডউইকেটে সহজ ক্যাচ নিলেন জাকের আলি অনিক।

ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক হোপ ফিরলেন ৮৮ বলে ৮৬ রানে। তার দায়িত্বশীল ইনিংসে চার তিনটি ও ছয় চারটি। হোপের বিদায়ে ভাঙল ৯৩ বলে ৯৯ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

৩৮ ওভারে স্বাগতিকদের রান ৪ উইকেটে ১৯৮। ছন্দে থাকা শেরফেইন রাদারফোর্ড খেলছেন ৫১ বলে ৫৫ রানে। তার সঙ্গী নতুন ব্যাটার জাস্টিন গ্রিভস ক্রিজে আছেন ৫ বলে ৫ রানে।

ছন্দে থাকা রাদারফোর্ডের টানা পঞ্চম ফিফটি

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরুটা চোখ ধাঁধানো হয়েছে শেরফেইন রাদারফোর্ডের। ১০ ম্যাচের অষ্টম ইনিংসে ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। ২৬ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটার টানাই করলেন পাঁচটি ফিফটি।

৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নাহিদ রানাকে ছক্কায় ওড়ানোর পর পঞ্চম বলে চার মারলেন রাদারফোর্ড। পূরণ হয়ে গেল তার ফিফটি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৪৭ বলে স্পর্শ করলেন ব্যক্তিগত মাইলফলক।

৩৬ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩ উইকেটে ১৮০। চাপ সামলে শেই হোপ-রাদারফোর্ডের জুটিতে দ্রুত রান বাড়িয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। অধিনায়ক হোপ ৮৪ বলে ৭৮ রানে ক্রিজে আছেন। রাদারফোর্ড খেলছেন ৪৮ বলে ৫০ রানে। জয়ের জন্য ৮৪ বলে আরও ১১৫ রান চাই তাদের।

হোপ-রাদারফোর্ডের জুটিতে পঞ্চাশ

৩২তম ওভার করতে গেলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তিনিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে খরুচে। প্রথম বলে চার মারার পর শেষ বলে ছক্কা হাঁকালেন আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা শেরফেইন রাদারফোর্ড। পূরণ হয়ে গেল শেই হোপের সঙ্গে তার চতুর্থ উইকেট জুটির পঞ্চাশ, লাগল ৬২ বল।

জেঁকে বসা চাপ আলগা করার চেষ্টা করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শুরু থেকেই দ্রুত রান আনার প্রবণতা রয়েছে তাদের অধিনায়ক হোপের মাঝে। যোগ্য সঙ্গী হিসেবে এবার তিনি পেয়েছেন ছন্দে থাকা রাদারফোর্ডকে।

৩২ ওভারে ক্যারিবিয়ানদের রান ৩ উইকেটে ১৪৬। ইতোমধ্যে ফিফটি তুলে নেওয়া হোপ খেলছেন ৭৫ বলে ৬৪ রানে। রাদারফোর্ড অপরাজিত আছেন ৩৩ বলে ৩০ রানে। জয়ের জন‍্য শেষ ১৮ ওভারে ১৪৯ রান চাই স্বাগতিকদের। অন্যদিকে, বাংলাদেশ রয়েছে উইকেটের খোঁজে।

৩০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩ উইকেটে ১৩০

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শুরু থেকেই চাপে রেখেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ৩০ ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়াল ৩ উইকেটে ১৩০ রান। শেই হোপ ৭০ বলে ৬০ ও শেরফাইন রাদারফোর্ড ২৬ বলে ১৭ রানে খেলছেন।

জয়ের জন্য ক্যারিবিয়ানদের আরও ১৬৫ রান করতে হবে। তাদের সামনে থাকা ওভারপ্রতি রানের চাহিদা বেড়ে আটের ওপর চলে গেছে ইতোমধ্যে। অন্যদিকে, সিরিজে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশকে তুলে নিতে হবে ৭ উইকেট।

এখন পর্যন্ত সফরকারীদের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যবহার করেছেন পাঁচজন বিশেষজ্ঞ বোলারকে। উইকেটের দেখা পেয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন।

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে হোপের ফিফটি

তানজিম হাসান সাকিবের করা ২৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি স্পর্শ করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শেই হোপ। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছাতে তিনি খেললেন ৬০ বল।

এটি ডানহাতি ব্যাটারের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৬তম হাফসেঞ্চুরি, বাংলাদেশের বিপক্ষে পঞ্চম। টাইগারদের বিপক্ষে এই সংস্করণে তিনটি সেঞ্চুরিও আছে তার।

২৭ ওভার শেষে ক্যারিবিয়ানদের রান ৩ উইকেটে ১১৫। শুরু থেকে ইতিবাচক ঢঙে থাকা হোপ ৬১ বলে ৫১ রানে ক্রিজে আছেন। বাংলাদেশকে অতীতে অনেকবার ভোগানোর নজির আছে তার। হোপের সঙ্গে ছন্দে থাকা শেরফেইন রাদারফোর্ড খেলছেন ১৭ বলে ১২ রানে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় একশ

ত্রয়োদশ ওভারে (৭৭ বলে) দলীয় পঞ্চাশ পূর্ণ হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তারা দলীয় শতরান স্পর্শ করল ২৩তম ওভারে (১৩৯ বলে)। ক্রিজে আছেন অধিনায়ক শেই হোপ ৪৬ বলে ৪৩ রানে। তার সঙ্গী শেরফেইন রাদারফোর্ড খেলছেন ৬ বলে ৫ রানে।

আঁটসাঁট বোলিংয়ে ক্যরিবিয়ানদের রানের গতি বাড়াতে দিচ্ছেন না বাংলাদেশের বোলাররা। তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও নাহিদ রানার পর দুই স্পিনার রিশাদ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ একের পর এক ডট বল করে নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছেন।

২৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইতোমধ্যে অনুভব করছে রান রেটের চাহিদার চাপ। তাদের ইনিংসের ২৭ ওভার বাকি আছে। করতে হবে আরও ১৯৫ রান।

কার্টিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন রিশাদ

লক্ষ্য তাড়ায় সামনে থাকা রান রেটের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। সেটা কমাতে শেই হোপ দ্রুত রান আনতে থাকলেও ভুগছিলেন তিনে নামা কেসি কার্টি। তাকে বিদায় করে জমে ওঠা জুটি ভাঙলেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।

২২তম ওভারের চতুর্থ ডেলিভারিটি রিশাদ করলেন শর্ট। নিজের আগের ওভারে এমন বাজে ডেলিভারিতেই হোপের ব্যাটে হজম করেছিলেন ছক্কা। এবার ঘটল উল্টো ঘটনা। পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের তালুবন্দি হলেন কার্টি। ৩৭ বলে দুটি চারে তার রান ২১।

৮২ বলে ৬৭ রানে থামল ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় উইকেট জুটি। ২২ ওভার শেষে তাদের রান ৩ উইকেটে ৯৪। ক্রিজে অধিনায়ক হোপ খেলছেন ৪৬ বলে ৪২ রানে। নতুন ব্যাটার শেরফেইন রাদারফোর্ড ২ বল খেলে এখনও শূন্য রানে আছেন।

হোপ-কার্টির জুটিতে পঞ্চাশ

দলীয় ২৭ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর চাপে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টানছেন শেই হোপ ও কেসি কার্টি। প্রতিরোধ গড়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে পঞ্চাশ রান যোগ করলেন তারা।

১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন করলেন শর্ট। জায়গা বানিয়ে মিডউইকেট দিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকালেন চারে নামা হোপ। পূরণ হয়ে গেল জুটির ফিফটি, লাগল ৬২ বল।

১৯ ওভারে ক্যারিবিয়ানদের রান ২ উইকেটে ৮৫। শুরু থেকেই সাবলীল থাকা অধিনায়ক হোপ ৩৯ বলে ৩৫ রানে খেলছেন। তার সঙ্গী তিনে নামা কার্টি ক্রিজে আছেন ২৮ বলে ১৯ রানে।

পাওয়ার প্লে শেষে এগিয়ে বাংলাদেশ

প্রথম ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ২ উইকেটে ৫৮। ইনিংসের একই পর্যায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলতে পেরেছে ২ উইকেটে ৪২ রান। অর্থাৎ তুলনামূলক বিচারে এগিয়ে আছে টাইগাররা। ১০ বলে দুটি চারে ১২ রানে খেলছেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক শেই হোপ। ২ বল খেলে শূন‍্য রানে ব‍্যাট করছেন কেসি কার্টি।

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যবহার করেছেন তিন পেসার। ভীষণ আঁটসাঁট থাকা তানজিম হাসান সাকিব ৪ ওভারে ৮ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট। ২ ওভারে ১ উইকেট নিতে গতিময় নাহিদ রানা দিয়েছেন ১০ রান। উইকেটশূন্য থাকা অভিজ্ঞ তাসকিন আহমেদ অবশ্য এখন পর্যন্ত কিছুটা খরুচে। তার ৪ ওভারে এসেছে ২২ রান।

লুইসকে বিদায় করলেন নাহিদ

নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে উইকেটের দেখা পেলেন নাহিদ রানা। তরুণ পেসার গতিময় ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেললেন এভিন লুইসকে। তিন বলের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ইনিংসের শুরু থেকেই স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না বাঁহাতি ওপেনার লুইস। নাহিদের ১৪৯.৭ কিলোমিটার গতিতে করা ডেলিভারিটি সোজা ব্যাটে খেলতে চেয়ে পারলেন না তিনি। বল প্যাডে লাগার পর আউটের সিদ্ধান্ত দ্রুতই দিলেন আম্পায়ার।

৩১ বলে লুইসের রান ১৬। তার ব্যাট থেকে আসে তিনটি চার। তানজিম হাসান সাকিবের করা আগের ওভারে দলীয় ২৭ রানে ব্র্যান্ডন কিং কাটা পড়ার পর ওই রানেই সাজঘরে ফিরলেন লুইস। বল হাতে বাংলাদেশ পেল দুর্দান্ত শুরু।

৯ ওভারে ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৩ রান। ক্রিজে আছেন দুই নতুন ব্যাটার। কেসি কার্টি ২ বলে শূন্য রানে খেলছেন। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই চার মেরে খাতা খোলা দলটির অধিনায়ক শেই হোপের রান ৪ বলে ৫।

কিংকে ফিরিয়ে তানজিমের প্রথম আঘাত

আঁটসাঁট বোলিংয়ের সুফল মিলল অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে। বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দিলেন তানজিম হাসান সাকিব। এলবিডব্লিউ করে ডানহাতি পেসার বিদায় করলেন ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংকে।

পুল করার মতো যথেষ্ট বাউন্স করল না ডেলিভারিটি। একের পর এক ডট বল খেলে চাপে থাকা কিংয়ের ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত করল প্যাডে। জোরালো আবেদনে সাড়া দিলেন আম্পায়ার। কিং রিভিউ নিলেন। কিন্তু আম্পায়ার্স কল হওয়ায় বহাল থাকল আউটের সিদ্ধান্ত।

২৭ রানে ভাঙল ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি। কিং ১৭ বলে ২ চারে ৯ রান করেন। ক্রিজে আরেক ওপেনার এভিন লুইসের সঙ্গী কেসি কার্টি।

লুইসের ক্যাচ ফেললেন মাহমুদউল্লাহ

রানের খাতা খুলতে এভিন লুইসের লেগে গেল ১২ বল। এরপর তাসকিন আহমেদের করা ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে এক্সট্রা কভার দিয়ে চার মেরে খোলস ভাঙার আভাস দিলেন তিনি। তবে তিন বল পরই ফিরতে পারতেন। মিডঅফে তার তোলা দুরূহ ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ।

ড্রাইভ করেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার লুইস। মাহমুদউল্লাহ কিছুটা দেরিতে প্রতিক্রিয়া দেখালেন। এরপর ডানদিকে ডাইভ দিয়ে বলে হাত ছোঁয়ালেও মুঠোয় নিতে পারলেন না বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। সুযোগ তো হাতছাড়া হলোই, উল্টো বল সীমানার বাইরে চলে যাওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরবোর্ডে আরও ৪ রান যুক্ত হলো।

সব মিলিয়ে ওই ওভার থেকে এলো ৯ রান। ৬ ওভারে ক্যারিবিয়ানদের রান বিনা উইকেটে ২০। ক্রিজে লুইস ১৮ বলে ১০ ও ব্র্যান্ডন কিং ১২ বলে ৮ রানে খেলছেন। দুই প্রান্ত থেকে দুই পেসার তাসকিন ও তানজিম হাসান সাকিব বল করছেন। শুরু থেকেই তারা আছেন আঁটসাঁট। ইতোমধ্যে একটি করে মেডেন নিয়েছেন দুজন।

তিনশর কাছে গিয়ে থামল বাংলাদেশ

জাকের আলী ও ও মাহমুদউল্লাহর ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটিতে তিনশর দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। রোমারিও শেফার্ডের করা ইনিংসের শেষ ওভারে একটি ছক্কা আশাটা জোরালো করেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু শেষ পাঁচ বলে আসে মাত্র ৩ রান। তাতে ২৯৪ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৫০ রানে। ৪৪ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় এই রান করেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ৪০ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কা মেরে ৪৮ রান করে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন জাকের। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৯৪/৫ (তানজিদ ৬০, সৌম্য ১৯, লিটন ২, মিরাজ ৭৪, আফিফ ২৮, মাহমুদউল্লাহ ৫০*, জাকের ৪৮, রিশাদ ০*; আলজারি ২/৬৭, সিলস ১/৬৩, শেফার্ড ৩/৫১, গ্রিভস ০/৫০, চেজ ০/১৬, মোতি ০/৪২)।

জাকের-মাহমুদউল্লাহর জুটির ফিফটি

তরুণ জাকের আলীকে নিয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের পুঁজি বড় করছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। ষষ্ঠ উইকেটে এরমধ্যেই এ দুই ব্যাটার গড়েছেন জুটির ফিফটি। ৪৪ বলে আসে তাদের পঞ্চাশ রান। আলজারি জোসেফকে ছক্কা হাঁকিয়ে জুটির ফিফটি স্পর্শ করেন জাকের।

৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫২ রান। জাকের ৩৩ ও মাহমুদউল্লাহ ২৬ রানে ব্যাটিং করছেন।

আফিফের পর মিরাজের বিদায়

শুরু থেকেই বেশ মন্থর গতিতে ব্যাটিং করছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে মাঝেমধ্যে বাউন্ডারি মেরে কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে জেইডেন সিলসকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন। তবে টাইমিংয়ে হেরফের করে আকাশে তুলে দেন। সেই ক্যাচ লুফে নিতে কোনো ভুল হয়নি শারফেন রাদারফোর্ডের। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৪ রান করেছেন মিরাজ। তবে এরজন্য বল মোকাবেলা করেছেন ১০১টি।

৩৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৯৮ রান। মাহমুদউল্লাহ ৭ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমেছেন জাকের আলী।

আফিফের বিদায়ে ভাঙল জুটি

এক প্রান্ত আগলে আফিফ হোসেনের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে অপর প্রান্তে রানের গতি বাড়ানোর কাজটা করছিলেন আফিফ। আগের ওভারেই জাস্টিন গ্রিভসকে টানা দুটি বাউন্ডারি মারেন। এবার রোমারিও শেফার্ডকে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন জেইডেন সিলসের হাতে। ২৯ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ২৮ রান করেন আফিফ।

৩৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮৩ রান। মিরাজ ৬৩ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ ব্যাট করছেন ৪ রানে।

মিরাজ-আফিফের জুটির ফিফটি

দলীয় ১২৫ রানে তানজিদ হাসানের বিদায়ের পর আফিফ হোসেনকে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দারুণ এক জুটিতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তার। এরমধ্যেই এসেছে জুটির ফিফটি। জাস্টিন গ্রিভসকে বাউন্ডারি মেরে জুটির ফিফটি স্পর্শ করেন আফিফ। ৫৬ বলে এসেছে এই জুটির পঞ্চাশ। যেখানে মিরাজের অবদান ২৬ ও আফিফের ২৪ রান।

৩৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৭৮ রান। মিরাজ ৬২ এবং আফিফ ২৮ রানে ব্যাটিং করছেন।

মিরাজের ফিফটি

রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন। জীবন পেয়েছেন দুটি সহজ ক্যাচ তুলেও। তার সদ্ব্যবহার দারুণভাবে করেছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। এরমধ্যেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক। ৭১ বলে এসেছে তার হাফসেঞ্চুরি। এই রান করতে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।

২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫৪ রান। মিরাজ ৫২ এবং আফিফ ১৪ রানে ব্যাটিং করছেন।

তানজিদের বিদায়ে ভাঙল জুটি

মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে দলের রান বাড়াচ্ছিলেন তানজিদ হাসান। তাতে হতাশা বাড়ছিল ক্যারিবিয়ানদের। জুটি ভাঙতে আলজেরি জোসেফকে আক্রমণে ফিরিয়ে আনেন অধিনায়ক শেই হোপ। দ্বিতীয় ওভারেই পেলেন সাফল্য। তার অফস্টাম্পের বেশ বাইরে রাখা লেন্থ ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়েছিলেন তানজিদ। পয়েন্টে সোজা চলে যায় রোস্টন চেজের হাতে। ৬০ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬০ রান করেন এই ওপেনার।

২৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২৫ রান। মিরাজ ৩৭ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার আফিফ হোসেন আছেন ০ রানে। 

আবার জীবন পেলেন মিরাজ

আবারও জীবন পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আবারও তার ক্যাচ মিস করেছেন কেসি কার্টি। এবার দুর্ভাগা বোলারের নাম রোস্টন চেজ। তার বলে কাট করেছিলেন মিরাজ। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা ফিল্ডার কার্টি বল হাতে লাগালেও লুফে নিতে পারেননি। এ সময় ৩১ রানে ব্যাটিং করছিলেন তিনি।

২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১১৪ রান। তানজিদ ৫৩ ও মিরাজ ৩৩ রানে ব্যাটিং করছেন।

তানজিদের আগ্রাসী ফিফটি

শুরু থেকেই কিছুটা আগ্রাসী ঢঙ্গে ব্যাটিং করার চেষ্টা করছিলেন তানজিদ। দারুণ কিছু শটে আদায় করে নেন বাউন্ডারি। এরমধ্যেই নিজের ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন এই ব্যাটার। ৪৬ বলেই আসে তার হাফসেঞ্চুরি। যেখানে টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন এই ব্যাটার।

১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৯ রান। তানজিদ ৫১ ও মিরাজ ৩০ রানে ব্যাটিং করছেন।

তানজিদ-মিরাজের জুটির ফিফটি

জেইডেন সিলসের ফুলার লেন্থের বলে দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে জুটির ফিফটি পূর্ণ করলেন তানজিদ হাসান। ৫৭ বলে আসে জুটির পঞ্চাশ। ৪৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেছিলেন এ দুই ব্যাটার।

১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯৬ রান। তানজিদ ৪৮ ও মিরাজ ২০ রানে ব্যাটিং করছেন।

এবার জীবনও পেলেন মিরাজ

রিভিউ নিয়ে এক ওভার আগেই এলবিডাব্লিউ হওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। রোমারিও শেফার্ডের পরের ওভারের প্রথম বলে আপারকাট করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সরাসরি চলে যায় থার্ডম্যান সীমানায় থাকা কেটি কার্টির হাতে। কিন্তু ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি। উল্টো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গিয়ে বাউন্ডারি দিয়ে দেন এই ফিল্ডার। এ সময় ১ রানে ব্যাট করছিলেন মিরাজ।

১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৮ রান। তানজিদ ২৭ ও মিরাজ ৬ রানে ব্যাটিং করছেন।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মিরাজ

রোমারিও শেফার্ডের করা ওভারে ফিরতে পারতেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও। নিজের দ্বিতীয় বলেই তার বিপক্ষে এলবিডাব্লিউর আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। রিপ্লেতে দেখা যায় ইমপ্যাক্ট আম্পায়ার্স কল হলেও লেগ স্টাম্প মিস করতো বল।

আট ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৬ রান। তানজিদ ২৩ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজ আছেন ০ রানে।

জীবন পেয়েও হতাশ করলেন লিটন

ফিরতে পারতেন আলজারি জোসেফের করা সপ্তম ওভারেই। লিটন দাসের ব্যাটের কানায় লেগে শাই হোপের হাতে গেলে আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তবে ডিআরএসের সাহায্য নেননি তারা। রিপ্লেতে দেখা যায় বল সত্যিই ছুঁয়ে যায় তার ব্যাট। তবে জীবন কাজে লাগাতে পারেননি লিটন। রোমারিও শেফার্ডের করা পরের ওভারে সেই ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন এই ব্যাটার। ৭ বলে ২ রান করেন তিনি।

সৌম্যর বিদায়ে ভাঙল ওপেনিং জুটি

দুই ওপেনার তানজিদ হাসানের সঙ্গে শুরুটা ভালো করেছিলেন সৌম্য সরকার। দারুণ কিছু শটে বাউন্ডারিও আদায় করে নিচ্ছিলেন নিয়মিত। তবে আরও একবার আশা দেখিয়ে হতাশ করেছেন সৌম্য। আলজারি জোসেফের অফস্টাম্পের বাইরে রাখা বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষক শেই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এই ওপেনার। ১৮ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ১৯ রান করেন তিনি।

পাঁচ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৪ রান। তানজিদ ১৪ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার লিটন দাস আছেন ০ রানে।

তিন পেসার, দুই স্পিনার নিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে তিন পেসার ও দুই স্পিনার দিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ দল। তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে থাকছেন নাহিদ রানা। অধিনায়ক মেহেদী হাস্না মিরাজের সঙ্গে স্পিন আক্রমণে থাকছেন রিশাদ হোসেন। একাদশে ফিরেছেন লিটন কুমার দাস ও আফিফ হোসেন।

বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান, লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব এবং নাহিদ রানা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ব্র্যান্ডন কিং, এভিন লুইস, কেসি কার্টি, শেই হোপ, শেরফেন রাদারফোর্ড, রোস্টন চেজ, রোমারিও শেফার্ড, জাস্টিন গ্রিভস, গুদাকেশ মোতি, আলজারি জোসেফ, এবং জেডেন সিলস।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে টস জিতে নিয়েছেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। আগে ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন অধিনায়ক। টস জিতলে ফিল্ডিং বেছে নিতেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক সেই হোপ। সেক্ষেত্রে ইচ্ছা পূরণ হয়েছে দুই দলেরই।

এগিয়ে যাওয়ার লড়াই

ওয়ানডেতে সবশেষ ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর সবশেষ চারটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে জিতেছে বাংলাদেশই। এরমধ্যে শেষ দুটি সিরিজে তো ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়ে টাইগাররা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের পর কোনো ওয়ানডে ম্যাচও হারেনি বাংলাদেশ। শেষ ১১টি ম্যাচে জয় তাদের।

সবমিলিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ মুখোমুখি হয়েছে ৪৪ বার। দুই দলই জিতেছে ২১টি করে ম্যাচ। ২ ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। তাই এদিন ম্যাচটা এগিয়ে যাওয়ার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ছন্দে আছে ক্যারিবিয়ানরা। সর্বশেষ সিরিজে তারা ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। যেখানে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Grim discovery: Five bodies found on vessel in Meghna, 2 more die later

The incident had occurred on the Meghna river under Chandpur Sadar upazila in an area adjacent to Shariatpur

2h ago