পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
বল হাতে দুর্দান্ত সূচনা এনে দিলেন মারুফ মৃধা। পরে ইকবাল হোসেন ইমনের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে উইকেটে ঠিকঠাক দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানি ব্যাটাররা। লক্ষ্যটা রইল হাতের নাগালেই। এরপর অধিনায়ক আজিজুল হাকিমের আরও একটি দায়িত্বশীল ইনিংস। সবমিলিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ এক জয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালের টিকিট কাটল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
শুক্রবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে যুব এশিয়া কাপের সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৭ ওভারে ১১৬ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে ১৬৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে বাংলাদেশ।
টস জিতে এদিন বোলিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করে শুরুতেই তোপ দাগান মারুফ। দুই ওপেনারকেই খালি হাতে ফেরান এই পেসার। এরপর অবশ্য অধিনায়ক সাদ বাইগকে নিয়ে হাল ধরেন মুহাম্মদ রিয়াজউল্লাহ। ৪২ রানের জুটিতে প্রতিরোধও গড়েন।
এই প্রতিরোধ ভাঙেন ইমন। বাইগকে ফিরিয়ে ভাঙেন জুটি। ৩০ রানের ব্যবধানে আরও তিনটি উইকেট তুলে নেন যুব টাইগাররা। ৭৯ রানে ৬ উইকেট হারানো পাকিস্তান দলের হাল ধরেন ফারহান ইউসুফ ও ফাহাম-উল-হক। তবে তাদের জুটি ৩৪ রানের বেশি বড় হতে দেননি দেবাসিস দেবা। আউট করেন ফারহানকে। এরপর ফাহাম এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অপর প্রান্তে ধস নামিয়ে পাকিস্তানের ইনিংসের ইতি টানেন ইমন।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংস খেলেন ফারহান। ৩২ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ৬৫ বলে ২টি চারের সাহায্যে ২৮ রান করেন রিয়াজউল্লাহ। বাইগের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। বাংলাদেশের পক্ষে ২৪ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ইমন। মারুফের শিকার দুটি।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ২০ রানেই ফিরে যান কালাম সিদ্দিকি। দলের রান ২০ হলেও সেখানে কোনো অবদানই ছিল না কালামের। ফিরে যান খালি হাতে। এরপর দ্রুত ফিরে যান জাওয়াদ আবরারও। ২৭ রানে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশের হাল শিহাব জেমসকে নিয়ে ধরেন আজিজুল। স্কোরবোর্ডে ৫৭ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় যুবারা।
এরপর জেমস ফিরে গেলে বাকি কাজ রিজান হোসেনকে নিয়ে শেষ করেন আজিজুল। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৪২ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অধিনাক। নিজের ইনিংসটি সাজান ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায়। জেমসের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। জাওয়াদ করেন ১৭ রান।
Comments