রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারাল জিম্বাবুয়ে
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রানের। হাতে ছিল ৩ উইকেট। ম্যাচ তখনও দোদুল্যমান। তবে জাহানবাদ খানের প্রথম দুই বলেই একটি চার ও একটি ছক্কা মেরে জয়টা নিয়ে হাতের মুঠোতে আনেন টিনোটেন্ডা মাপোসা। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে সমতায়। এরপর একটি উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর জয় মিলেছে জিম্বাবুয়েরই। তাতে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পেরেছে দলটি।
বৃহস্পতিবার বুলাওয়েতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ১ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিক দলটি।
সিরিজ অবশ্য আগের দুই ম্যাচ জিতেই নিশ্চিত করেছিল পাকিস্তান। এদিন মিশন ছিল হোয়াইটওয়াশের। তবে দারুণ লড়াইয়ে তাদের হারিয়ে দিল জিম্বাবুয়ে। এর আগে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচও জিতে নিয়েছিল দলটি।
এদিন মূল কাজটা করে দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বোলাররা। লক্ষ্যটা বড় হতে দেননি। রেখেছিলেন হাতের নাগালেই। এরপর ব্রায়ান বেনেটের ব্যাটে সহজ জয়ের পথেই ছিল স্বাগতিকরা। এক উইকেট হারিয়েই ৭৩ রান তুলে নিয়েছিল তারা। এরপর দারুণ বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেনি দলটি।
রান তাড়ায় টাডিওয়ানাশে মারুমানির সঙ্গে ৪০ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন বেনেট। এরপর মারুমানি ফিরে গেলে ডিওন মেয়ার্সের সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়ে সুফিয়ান মাকিমের শিকার হন এই ওপেনার। ৩৫ বলে খেলেন ৪৩ রানের ইনিংস। নিজের ইনিংস সাজান ৬টি চার ও ১টি ছক্কায়।
এরপর আব্বাস আফ্রিদি ও জাহানবাদের তোপে ম্যাচে ফিরে আসে পাকিস্তান। ৪৭ রানের ব্যবধানে ছয়টি উইকেট তুলে জয়ের সম্ভাবনা জাগায় দলটি। কিন্তু লেজের ব্যাটারদের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত জয় মিলে জিম্বাবুয়ের। ৪ বলের ক্যামিও ইনিংসে টিনোটেন্ডা মাপোসা ১২ রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের পক্ষে ২৪ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি। ২টি শিকার জাহানবাদের।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে বড় চাপে পড়ে পাকিস্তান। দলীয় ১৯ রানেই হারিয়ে ফেলে টপ অর্ডারের তিন উইকেট। এরপর তায়েব তাহির ও কাসিম আকরামকে নিয়ে যথাক্রমে ৩৩ ও ৩০ রানের দুটি জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক সালমান আলী আগা কিন্তু এরপর দ্রুত সেট ব্যাটাররা ফিরে ফেলে সাদামাটা স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংস খেলেন সালমান। ৩২ বলে ৩টি চারে এই রান করেন তিনি। এছাড়া আরাফাত মিনহাজ ২২ রানের অপরাজিত থাকেন। তায়েব ২১ ও কাসিম ২০ রান করেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ২৫ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারাবানি।
Comments