বাংলাদেশের বোলারদের নিষ্ফলা সেশন, ক্যারিবিয়ানদের টানছেন লুই
দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট আদায় করতে পারলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। মাইকেল লুই ও কাভেম হজের জমে ওঠা জুটি ভাঙল বটে! তবে তা রানআউটের সুবাদে। এরপর ফের জুটি গড়ার চেষ্টায় আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন লুই।
শুক্রবার অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনের চা বিরতি পর্যন্ত টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১৬ রান। দ্বিতীয় সেশনে খেলা হয়েছে ৩১ ওভার। মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা যোগ করেছে ৬৬ রান। অর্থাৎ বাংলাদেশের জন্য সময়টা কাঙ্ক্ষিত যায়নি।
ইতোমধ্যে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসের দেখা পেয়েছেন ডানহাতি ওপেনার লুই। একপ্রান্ত আগলে রেখে তিনি খেলছেন ১৬৬ বলে সাত চারে ৭১ রানে। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে একদম ঠাণ্ডা মাথায় দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটির স্বাদ নিয়েছেন।
তার সঙ্গী আলিক আথানেজ অপরাজিত আছেন ৪৯ বলে ১৩ রানে। তিনি অবশ্য অধৈর্য হয়ে দুবার ক্যাচ তুলে সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেগুলো শেষমেশ বাংলাদেশের ফিল্ডারদের নাগালের বাইরে ছিল। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৯৯ বলে ৩২ রান।
তাসকিন আহমেদের তোপে প্রথম সেশনে ২৭ রানে ২ উইকেট পড়ে যায় ক্যারিবিয়ানদের। এরপর প্রতিরোধ লড়াইয়ে নামেন লুই ও হজ। দায়িত্বশীল কায়দায় খেলতে থাকেন লুই। হজও আস্থার ছাপ রাখতে থাকেন। তাদের তৃতীয় উইকেট জুটির পঞ্চাশ পূর্ণ হয় ১০২ বলে। এর আগেই তাসকিনের বলে চার মেরে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন লুই। সেজন্য তার লাগে ১০৪ বল।
১৩০ বল স্থায়ী ৫৯ রানের জুটি ভাঙে দুই রান নিতে গিয়ে। ফাইন লেগ থেকে তাইজুল ইসলামের থ্রো ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। বিপদ বুঝে ডাইভ দিলেও ক্রিজে পৌঁছাতে পারেননি হজ। ৬৩ বলে দুই চারে ১৫ রানে বিদায় নেন তিনি। এরপর জুটি বেঁধেছেন লুই ও আথানেজ।
উইকেটের সাফল্য না এলেও প্রতিপক্ষের রানের গতি বাড়তে দেয়নি বাংলাদেশ। এই সেশনে দুই স্পিনার মিলে করেছেন ২১ ওভার। দিয়েছেন কেবল ৪১ রান। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ অফ স্পিনে ১০ ওভারে একটি মেডেনসহ ১৯ রান খরচ করেছেন। ২২ রান আসা তাইজুলের বাঁহাতি স্পিনের ১১ ওভারে মেডেন তিনটি।
Comments