রানের পাহাড়ে চড়ে ইনিংস ছাড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা
তাইজুল ইসলামের বলে সোজা ছক্কায় উড়িয়ে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন ভিয়ান মুল্ডার। এর সঙ্গে এইডেন মার্করাম দুই ব্যটারকে ডেকে পাঠালেন। দীর্ঘ ক্লান্তিকর অসহায় অবস্থার সমাপ্তি শেষ হলো বাংলাদেশের বোলারদেরও।
চা-বিরতির সময়ই বাংলাদেশের অনেকটা অসহায় অপেক্ষা ছিলো কখন ইনিংস ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দিনের শেষ সেশনেও তারা ব্যাট করল আরও এক ঘন্টা। ইনিংস ঘোষণা করল ৬ উইকেটে ৫৭৭ রান তুলে। চা বিরতির পর মূলত অপেক্ষা ছিল মুল্ডারের সেঞ্চুরির জন্য। তিনি তিন অঙ্কে পৌঁছতেই আসে ঘোষণা।
আগের দিন বাজে কাটলেও এদিন প্রথম সেশনে ভালো কিছুর ইঙ্গিতই দিয়েছিল বাংলাদেশ। ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। তবে ততোক্ষণে প্রথম ইনিংসে বিশাল পুঁজি পেয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। লাঞ্চের পরপর মিলে আরও একটি উইকেট। তবে বাংলাদেশের সাফল্য এটুকুই। এরপর কেবল হতাশায় পুড়েছেন বোলাররা।
৪২৩ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর মুথুসামিকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আগের ম্যাচেও দারুণ ব্যাট করা মুল্ডার। সেদিন ফিফটির বেশি করতে না পারলেও এদিন ঠিক পৌঁছেছেন কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কে। শুরুতে কিছুটা দেখে খেললেও শেষ দিকে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি মিলে তার। ১৫০ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় করেন অপরাজিত ১০৫ রান।
মুল্ডারকে দারুণ সঙ্গ দেন মুথুসামিও। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেলেও সেঞ্চুরির অপেক্ষা বাড়ে তার। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ৭৫ বলে করেন অপরাজিত ৬৮ রান। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। মুল্ডারের সঙ্গে জুটিতে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ১৫০ রানের জুটি। তাতেই রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে বাংলাদেশ।
সকালে আগের দিনের দুই উইকেটে ৩০৭ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন স্কোরবোর্ডে দ্রুত আরও ৮৬ রান যোগ করার পর আউট হন ডেভিড বেডিংহ্যাম। অতি আগ্রাসী হতে গিয়েই কাটা পড়েন তিনি। তাইজুলকে এগিয়ে ছক্কায় উড়িয়ে দেয়ার পরের বলেই স্লগ সুইপ করতে গিয়ে হন বোল্ড। ভাঙে ১১৬ রানের জুটি। এর আগে ৭৮ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় করেন ৫৯ রান।
এরপর দ্রুত ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যেতে থাকে টনি ডি জর্জিকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি আনেন তাইজুল। আগের দিনের স্থিতধী ভূমিকা টেনে এনে ছুটছিলেন এই ওপেনার। তবে তাইজুলকে সুইপ করতে গিয়ে পড়েন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। শেষ পর্যন্ত ২৬৯ বলে ১২টি চার ও ৪টি ছক্কায় থামেন ১৭৭ করে।
পরের ওভারে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কাইল ভেরেইনাকে নিয়ে ফাইফার পূরণ করেন তাইজুল। তাকে বলে সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে পায়ে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। কোন রান করতে পারেননি তিনি। লাঞ্চের পর ফিরে রায়ান রিকেলটনকে (১২) উইকেটরক্ষকের ক্যাচে পরিণত করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান নাহিদ রানা।
Comments