ব্যাটিং-বোলিংয়ে বিবর্ণ বাংলাদেশ, অনায়াসে জিতল ভারত
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে অনায়াসে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত।
খেলার ভেন্যু গোয়ালিয়রের মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করল ৩০ হাজার ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট স্টেডিয়ামটির।
ভারতের অনায়াস জয়
ম্যাচের প্রথম অংশে যে পিচে খাবি খেলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা, সেই একই পিচে পরের অংশে তাণ্ডব চালালেন ভারতের ব্যাটাররা। বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে বাহারি সব শট খেললেন সূর্যকুমার যাদব-হার্দিক পান্ডিয়ারা। এতে ওভারপ্রতি দশের বেশি গড়ে রান তুলে ৪৯ বল হাতে রেখেই ম্যাচ শেষ করে ফেলল স্বাগতিকরা। ৭ উইকেটের সহজ জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে গেল এগিয়ে।
হার্দিক ১৬ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া, অধিনায়ক সূর্যকুমার ১৪ বলে ২৯ ও সঞ্জু স্যামসন ১৯ বলে ২৯ রান করেন।
বাংলাদেশের তিন পেসার মোটেও সুবিধা করতে পারলেন না। প্রচুর রান দিলেন। তাসকিন ২.৪ ওভারে ৪৪ রান খরচায় থাকলেন উইকেটশূন্য। শরিফুল ইসলাম ২ ওভারে দিলেন ১৭ রান। ১ উইকেট নিলেও মোস্তাফিজুর রহমানের ৩ ওভারে উঠল ৩৬ রান। লেগ স্পিনার রিশাদ ৩ ওভারে ২৬ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পেলেন না। মেহেদী হাসাম মিরাজ একমাত্র ওভারে ৭ রানে নিলেন ১ উইকেট। বাকিটি রানআউট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ১১.৫ ওভারে ১৩২/৩ (স্যামসন ২৯, অভিষেক ১৬, সূর্যকুমার ২৯, নিতিশ ১৬*, হার্দিক ৩৯*; শরিফুল ০/১৭, তাসকিন ০/৪৪, মোস্তাফিজ ১/৩৬, রিশাদ ০/২৬, মিরাজ ১/৭)
ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করলেন হার্দিক
তাসকিনের আহমেদের আগের দুটি বলে চারের পর হার্দিক পান্ডিয়া মারলেন ছক্কা। কাউ কর্নার দিয়ে বল সীমানার ওপারে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেখা হয়ে গেল ম্যাচের ফল।
বাংলাদেশের হতশ্রী ব্যাটিং-বোলিংয়ের বিপরীতে ভারত তুলে নিল সহজ জয়। ১২৮ রানের মামুলি লক্ষ্য তারা পেরিয়ে গেল মাত্র ১১.৫ ওভারে।
দশম ওভারে ভারত স্পর্শ করল শতরান
মোস্তাফিজুর রহমানের অফ ও মিডল স্টাম্পের মাঝামাঝি করা ডেলিভারিতে চার মারলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ভারতের সংগ্রহ স্পর্শ করল একশ, মাত্র ৫৭ বলে। সঞ্জু স্যামসন ও সূর্যকুমার যাদবের বিদায়ের পর দলের রানের চাকা সচল রাখছেন হার্দিক ও নিতিশ কুমার রেড্ডি।
১০ ওভারে ভারতের রান ৩ উইকেটে ১০৬। ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো পিচে দ্রুতগতিতে ১২৮ রানের লক্ষ্যের দিকে ছুটছে তারা। হার্দিক ৭ বলে ১৬ ও নিতিশ ১৩ বলে ১৪ রানে খেলছেন।
আক্রমণে এসেই মিরাজের সাফল্য
পাওয়ার প্লের ছয় ওভার করলেন বাংলাদেশের তিন পেসার। সপ্তম ওভারে রিশাদ হোসেনের হাতে বল তুলে দেওয়ার পর অষ্টম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজকে আক্রমণে আনলেন বাংলাদেশের দলনেতা নাজমুল হোসেন শান্ত।
বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। পঞ্চম বলেই সাফল্য পেলেন অফ স্পিনার মিরাজ। তাকে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে রিশাদের তালুবন্দি হলেন সঞ্জু স্যামসন। ভারতের ওপেনার আউট হলেন ১৯ বলে ২৯ রানে।
৮০ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল ভারত। ক্রিজে অভিষিক্ত নিতিশ কুমার রেড্ডির সঙ্গী হলেন হার্দিক পান্ডিয়া।
সূর্যকুমারকে থামালেন মোস্তাফিজ
আগের বলেই ছক্কা মারলেন সূর্যকুমার যাদব। পরের বলেও একই চেষ্টা ছিল তার। কিন্তু এবার সীমানা পার করতে পারলেন না ভারতের অধিনায়ক। বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ নিলেন জাকের আলী অনিক।
দলীয় ৬৫ রানে বিদায় নিলেন ঝড় তোলা সূর্যকুমার। তার সংগ্রহ ১৪ বলে ২৯ রান। দ্বিতীয় উইকেটে সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে ২১ বলে ৪০ রানের জুটি গড়েন তিনি।
পাওয়ার প্লে শেষে ভারতের রান ২ উইকেটে ৭১ রান। ক্রিজে ওপেনার স্যামসন খেলছেন ১৪ বলে ২৪ রানে। তার সঙ্গী নিতিশ কুমার রেড্ডি আছেন ১ বলে ১ রানে।
পঞ্চম ওভারে ভারতের পঞ্চাশ
ছন্দ খুঁজে না পাওয়া তাসকিন আহমেদ করতে চাইলেন ইয়র্কার। হয়ে গেল ফুলটস। ফ্লিক করে চার মারলেন সূর্যকুমার যাদব। তাতে ভারতের সংগ্রহ পেরিয়ে গেল পঞ্চাশ, মাত্র ২৮ বলে।
আগের বলেও চার মারেন ভারতের অধিনায়ক। আর ওভারের শেষ বলে লং লেগ দিয়ে হাঁকালেন ছক্কা। সব মিলিয়ে তাসকিনের ওভারটি থেকে এলো ১৪ রান। নিজের প্রথম ওভারে তিনি দিয়েছিলেন ১৫ রান।
৫ ওভার শেষে ভারতের রান ১ উইকেটে ৫৮। ক্রিজে সূর্যকুমার আছেন ১২ বলে ২৩ রানে। সঞ্জু স্যামসন খেলছেন ১১ বলে ১৮ রানে।
হৃদয়ের সরাসরি থ্রোতে রানআউট অভিষেক
প্রথম ওভারে শরিফুল ইসলামকে দুটি চার মারলেন ওপেনার সঞ্জু স্যামসন। তাসকিন আহমেদকে পরের ওভারে সোজাসুজি ছক্কা মেরে স্বাগত জানালেন আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা। পরের বলে এলো চার। এক বল বিরতি দিয়ে আবার হলো চার।
ভারতের এই উড়ন্ত ওপেনিং জুটি থামল দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে। শর্ট মিডউইকেট থেকে তাওহিদ হৃদয়ের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হয়ে গেলেন অভিষেক। বেশিদূর যাওয়া হলো না তার।
২৫ রানে প্রথম উইকেটের পতন হলো ভারতের। অভিষেক সাজঘরে ফিরলেন ৭ বলে ১৬ রানে। ক্রিজে স্যামসনের সঙ্গী অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
বাংলাদেশের পুঁজি মাত্র ১২৭
ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের পুঁজি হলো স্বল্প। স্বীকৃত সাত ব্যাটারের কেবল তিনজন যেতে পারেন দুই অঙ্কের ঘরে। সাতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২ বলে ৩ চারে সর্বোচ্চ ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ২৫ বলে ২৭ রান।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ায় ভালো কোনো জুটিও গড়ে ওঠেনি। ২৭ বলে সর্বোচ্চ ২৬ রানের জুটি আসে শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়ের তৃতীয় উইকেট জুটিতে। অষ্টম উইকেটে ২১ বলে ২৩ রানের জুটি গড়েন মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ। আর জুটিই যায়নি বিশের ঘরে।
ভারতের পক্ষে ৩.৫ ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার আর্শদীপ সিং। রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী সমান সংখ্যক উইকেট নেন ৪ ওভারে ৩১ রান খরচায়। উইকেট থেকে বাড়তি কোনো সুবিধা পেতে দেখা যায়নি বোলারদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৯.৫ ওভারে ১২৭ (পারভেজ ৮, লিটন ৪, শান্ত ২৭, হৃদয় ১২, মাহমুদউল্লাহ ১, জাকের ৮, মিরাজ ৩৫*, রিশাদ ১১, তাসকিন ১২, শরিফুল ০, মোস্তাফিজ ১; আর্শদীপ ৩/১৪, হার্দিক ১/২৬, বরুণ ৩/৩১, মায়াঙ্ক ১/২১, নিতিশ ০/১৭, সুন্দর ১/১২)
মোস্তাফিজ বোল্ড হওয়ায় অলআউট বাংলাদেশ
ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে অলআউট হলো বাংলাদেশ। আর্শদীপ সিংয়ের তৃতীয় শিকার হলেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিখুঁত ইয়র্কারে এলোমেলো হয়ে গেল স্টাম্প।
মোস্তাফিজের সংগ্রহ ৫ বল খেলে ১ রান। অন্যপ্রান্তে অপরাজিত থেকে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৯.৫ ওভারে বাংলাদেশ থামল মাত্র ১২৭ রানে।
শরিফুলকে বোল্ড করলেন হার্দিক
নিজের শেষ ওভারে এসে উইকেটের দেখা পেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ফুল লেংথের ডেলিভারিতে তিনি বোল্ড করে দিলেন শরিফুল ইসলামকে।
২ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারলেন না শরিফুল। অষ্টাদশ ওভারে দলীয় ১১৭ রানে পড়ল বাংলাদেশের নবম উইকেট। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী শেষ ব্যাটার মোস্তাফিজুর রহমান।
ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট তাসকিন
অষ্টাদশ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বল স্কয়ার লেগে পাঠিয়ে ডাবল নিতে চাইলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাতে শুরুতে সাড়া না দেওয়ার খেসারত দিতে হলো তাসকিন আহমেদকে। এক রান পূর্ণ করার পর রানআউট হয়ে গেলেন তিনি।
১২ বল খেলা তাসকিনের রান ১৩। বাংলাদেশ অষ্টম উইকেট হারাল ১১৬ রানে। ক্রিজে মিরাজের সঙ্গী শরিফুল ইসলাম।
১৫তম ওভারে বাংলাদেশের একশ
বাংলাদেশের রান তিন অঙ্কে পৌঁছে গেল ১৫তম ওভারের শেষ ডেলিভারিতে। হার্দিক পান্ডিয়াকে সুইপ করতে চাইলেন তাসকিন আহমেদ। ইনসাইড এজ হয়ে বল গড়িয়ে গড়িয়ে চলে গেল সীমানার বাইরে।
১৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ১০২। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজ আছেন ১৮ বলে ২২ রানে। তাসকিন খেলছেন ৭ বলে ৫ রানে।
থামল রিশাদের ছোট্ট ঝড়
ত্রয়োদশ ওভারে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে মায়াঙ্ক যাদবকে র্যাম্প শটে ছক্কা হাঁকালেন রিশাদ হোসেন। পরের বলে মারলেন চার। ওই ওভারে আগে চার মারেন মেহেদী হাসান মিরাজও। ফলে সব মিলিয়ে ওঠে ১৫ রান।
কিন্তু রিশাদের ঝড় ছোট অবস্থাতেই শেষ হলো। ফের বড় শট মারতে গিয়ে ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারলেন না। ডিপ মিডউইকেটে হার্দিক পান্ডিয়া নিলেন ক্যাচ। ম্যাচের ১৪তম ও নিজের শেষ ওভারে তৃতীয় উইকেট পেলেন বরুণ চক্রবর্তী।
৫ বলে রিশাদের রান ১১। ৯৩ রানে পড়ল ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের সপ্তম উইকেট। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে আছেন তাসকিন আহমেদ।
শান্তকে ফেরালেন সুন্দর
আক্রমণে এসেই নাজমুল হোসেন শান্তকে ফেরালেন ওয়াশিংটন সুন্দর। দ্বাদশ ওভারের শেষ বলে কী শট খেলবেন তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ক্রিজে ছেড়ে বেরিয়ে শেষমেশ ফিরতি ক্যাচ দিলেন বোলারের হাতে।
অনেকটা সময় ক্রিজে থাকা শান্তর সংগ্রহ ২৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২৭ রান। সতীর্থরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকায় পরের দিকে এসে কিছুটা ভুগছিলেন তিনি। অথচ এক পর্যায়ে তার রান ছিল ৯ বলে ১৪।
দলীয় ৭৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারাল বাংলাদেশ দল। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী হলেন রিশাদ হোসেন।
থিতু হতে পারলেন না জাকেরও
নিজের প্রথম ওভারে ১৫ রান দেওয়ার পর দারুণভাবে ফিরে আসা বরুণ চক্রবর্তীর দ্বিতীয় শিকার হলেন জাকের আলী অনিক। তিনিও উইকেটে থিতু হতে পারলেন না। দশম ওভারে রহস্য স্পিনার বরুণের গুগলি বুঝতে ব্যর্থ হয়ে ভুল লাইনে ব্যাট চালিয়ে হলেন বোল্ড। বিপদ আরও বাড়ল বাংলাদেশ দলের।
জাকেরের সংগ্রহ ৮ বলে ৬ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারের অর্ধেক শেষে স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের পুঁজি মাত্র ৬৪ রান। সঙ্গে নেই ৫ উইকেট। ক্রিজে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ২০ বলে ২৪ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৩ বলে ৬ রানে খেলছেন।
বাজে শটে আউট মাহমুদউল্লাহ
অষ্টম ওভারে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে মাঠ ছাড়লেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে ফিরিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেটের স্বাদ নিলেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা মায়াঙ্ক যাদব।
ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসা মাহমুদউল্লাহ সরে গিয়েছিলেন লেগ সাইডে। কিন্তু মায়াঙ্কের ১৪৬ কিলোমিটারের বেশি গতির অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে বড় শট খেলার চেষ্টা করলেন। ডিপ পয়েন্টে অনায়াস ক্যাচ নিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
মাহমুদউল্লাহর রান ২ বলে ১। বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেটের পতন হলো ৪৩ রানে। ক্রিজে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১৩ বলে ১৭ রানে খেলছেন। তার সঙ্গী মাত্রই নামা জাকের আলী অনিক।
ধুঁকতে থাকা হৃদয়ের বিদায়
আগের ওভারে ১৫ রান দেওয়ার পরও স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর ওপর আস্থা রাখলেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। সেটার প্রতিদান দিলেন বরুণ। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে তিনি সাজঘরে পাঠালেন ধুঁকতে থাকা তাওহিদ হৃদয়কে।
মিডউইকেটের ওপর দিয়ে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন হৃদয়। কিন্তু গড়বড় করে ক্যাচ তুলে দিলেন সোজা। লংঅনে বল লুফে নিলেন হার্দিক পান্ডিয়া।
ব্যক্তিগত ৩ রানে বেঁচে যাওয়া হৃদয় আউট হলেন ১৮ বল খেলে ১২ রান করে। দলীয় ৪০ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ দল। ক্রিজে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মায়াঙ্কের মেডেন ওভার
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে কোনো রান তুলতে পারলেন না তাওহিদ হৃদয়। অভিষিক্ত গতিময় পেসার মায়াঙ্ক যাদব আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ওভারটি করলেন মেডেন।
৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৩৯। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৯ বলে ১৪ ও হৃদয় ১৬ বলে ১২ রানে খেলছেন।
জীবন পেলেন হৃদয়
পঞ্চম ওভারেই আক্রমণে স্পিনার আনলেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। দ্বিতীয় বলেই উইকেট পেতে পারতেন বরুণ চক্রবর্তী। কিন্তু তাওহিদ হৃদয়ের স্লগ সুইপে স্কয়ার লেগে ওঠা ক্যাচ খেই হারিয়ে ধরতে পারলেন না নিতিশ কুমার রেড্ডি। উল্টো হয়ে গেল চার।
ব্যক্তিগত ৩ রানে জীবন পেলেন হৃদয়। পরের বলেও তিনি চার মারলেন। আর ওভারের শেষ বলে রিভার্স সুইপে ছক্কা হাঁকালেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সব মিলিয়ে উঠল ১৫ রান।
সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না পারভেজ
এক বছর পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে হতাশ করলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না তিনি। ফলে তিন ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ দল।
হার্দিক পান্ডিয়ার করা দ্বিতীয় ওভারে ফ্লিক করে বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম ছক্কা মারলেন পারভেজ। কিন্তু ভালো কিছুর সেই ইঙ্গিত দীর্ঘ হলো না মোটেও। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলটি স্টাম্পে টেনে বোল্ড হলেন তিনি। যতটা আশা করেছিলেন ততটা বাউন্স করেনি বল। আক্রমণে ফিরেই তাই আরেক সাফল্য পেলেন পেসার আর্শদীপ সিং।
১৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ল বাংলাদেশের। পারভেজ আউট হলেন ৮ বলে ৯ রান করে। ক্রিজে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী তাওহিদ হৃদয়।
চার মেরেই আউট লিটন
মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই থার্ড ম্যান দিয়ে চার মারলেন লিটন দাস। কিন্তু পরের বলেই অক্কা! আর্শদীপ সিংয়ের নির্বিষ বলে রিঙ্কু সিংয়ের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি।
লিটনের ঝুঁকি নিয়ে খেলা শটটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল ক্রিজ থেকে কিছুটা এগিয়ে লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটে-বলে সংযোগ হলো না ঠিকঠাক। অনেক উঁচুতে ওঠা বল পয়েন্ট থেকে এসে অনায়াসে লুফে নিলেন ফিল্ডার।
প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ৫ রানে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ দল। ২ বলে লিটনের সংগ্রহ ৪ রান। ক্রিজে আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গী অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশের একাদশে চার পরিবর্তন
বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন আনা হয়েছে চারটি। গত জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা সবশেষ ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ গেলেন সাকিব আল হাসান, তানজিম হাসান সাকিব, তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। অবসর নেওয়ায় সাকিব স্বাভাবিকভাবেই নেই।
তাদের শূন্যস্থান পূরণ করলেন পারভেজ হোসেন ইমন, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম। অভিজ্ঞ স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ একাদশে ফিরলেন প্রায় ১৫ মাস পর। পারভেজ সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন গত বছরের অক্টোবরে হওয়া এশিয়ান গেমসে। ওই গেমসে কোনো দেশই পাঠায়নি মূল দল।
বাংলাদেশের একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম।
নিতিশ-মায়াঙ্কের অভিষেক
ভারতের একাদশে নতুন মুখ দুটি। অভিষেক হচ্ছে অলরাউন্ডার নিতিশ কুমার রেড্ডি ও গতিময় পেসার মায়াঙ্ক যাদবের। শুধু টি-টোয়েন্টিতে নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই এটি তাদের প্রথম ম্যাচ।
ভারতের একাদশ: সঞ্জু স্যামসন, অভিষেক শর্মা, সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), নিতিশ কুমার রেড্ডি, হার্দিক পান্ডিয়া, রিয়ান পরাগ, রিঙ্কু সিং, ওয়াশিংটন সুন্দর, বরুণ চক্রবর্তী, আর্শদীপ সিং, মায়াঙ্ক যাদব।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
টস নামক ভাগ্য পরীক্ষায় সফল হলেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ভারতের দলনেতা সূর্যকুমার যাদব টস জিতে বেছে নিলেন আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। ফলে টাইগারদের আগে নামতে হবে ব্যাটিংয়ে।
নতুন জার্সি পরে খেলবে বাংলাদেশ। সেখানে লাল ও সবুজ দুই রঙেরই সরব উপস্থিতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের নতুন জার্সি উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বাংলাদেশের একমাত্র জয়
এই সংস্করণে এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচ খেলেছে দুই দল। ভারতের ১৩টি জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় স্রেফ একটিতে। সেটি এসেছিল ২০১৯ সালে, ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের খেলা চার টি-টোয়েন্টির একটিতে। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতেছিল টাইগাররা।
Comments