লিটনের অভিজ্ঞতার মূল্য সব সময় দেখেন হাথুরুসিংহে

Chandika Hathurusingha
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওয়ানডে দল থেকে জায়গা হারানো লিটন দাসের অভিজ্ঞতার মূল্য দেখছেন প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। তবে আপাতত ছন্দহীনতায় তার থেকে দলকে সরতে হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে শূন্য রানে আউট হন লিটন। সর্বশেষ ১০ ওয়ানডেতেও তার নেই ফিফটি। তৃতীয় ওয়ানডের দল থেকে তাই তাকে একদম ছেঁটে ফেলে কড়া বার্তা দেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে নেমেছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচের আগে ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে আলাপে বাংলাদেশের কোচ বলেন,  'লিটনের অভিজ্ঞতা সব সময়ই মূল্যবান। আপনি জানেন না এরকম ধরণের খেলোয়াড় কখনো এসে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে ফেলে। বলতে হচ্ছে সে কিছুটা ছন্দহীনতায় আছে। কাজেই আমরা তার থেকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরেছি।'

লিটনকে বাদ দিয়ে বিবৃতিতে প্রধান নির্বাচক বলেন, 'সাদা বলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কারণে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।' যোগাযোগ করা হলে পরে তিনি বলেন, কেবল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে থেকেই বাদ লিটন।

নির্বাচকের বক্তব্যে সাদা বলের কথা আসায় তৈরি হয় সংশয়। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করলেও এরপর দুই সিরিজে তার ব্যাটে রান নেই। ওয়ানডের অধারাবাহিকতার প্রশ্ন তাই যৌক্তিক। কিন্তু সাদা বল বললে চলে আসে টি-টোয়েন্টির কথাও। যেখানে সর্বশেষ ১০টা টি-টোয়েন্টিতে ৩৮.৩৩ গড় আর ১৩৮.৮২ স্ট্রাইক রেটে দলের সর্বোচ্চ ৩৪৫ রান করেছেন লিটন। গত বছর যদি ধরা হয় ৯ ম্যাচে ৪০.৩৭ গড়, ১৩৭.৪৪ স্ট্রাইকরেটে দলের সর্বোচ্চ ৩২৩। গত এক বছর তো বটেই গত তিন বছর ধরেই টি-টোয়েন্টিতে তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটার।

টি-টোয়েন্টিতে সর্বশেষ পাঁচ ইনিংসে তার রান ৩৫, ৪১*, ০, ৩৬, ৭। এরমধ্যে গত ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডে অপরাজিত ৪১ রান করে ম্যাচ জয়ে ভূমিকা রাখেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচে কোন রান করতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচের রান তাড়ায় ২৪ বলে ৩৬ রান করে এনে দেন ভালো শুরু। শেষ ম্যাচে আবার রান পাননি। তবে এই পাঁচ ম্যাচ ধরলেও তার রানই দলের সবচেয়ে বেশি।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago