রান তাড়ায় পাকিস্তানের রেকর্ড ভেঙে ইংল্যান্ডকে হারাল শ্রীলঙ্কা

ছবি: এএফপি

টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের মাটিতে এশিয়ার কোনো দেশের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড এতদিন ছিল পাকিস্তানের। সেটা ভেঙে দিল শ্রীলঙ্কা। ১০ বছর পর এই সংস্করণে ইংলিশদের হারানোর স্বাদ পেল তারা। অপরাজিত আক্রমণাত্মক সেঞ্চুরিতে লঙ্কানদের জয়ের নায়ক ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা।

সোমবার ওভালে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে সান্ত্বনার জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই ৮ উইকেটে স্বাগতিকদের হারিয়েছে তারা। ওয়ানডে ঘরানার ক্রিকেট খেলে ২১৯ রানের লক্ষ্য তারা মিলিয়ে ফেলেছে ৪০.৩ ওভারে।

২০১০ সালে হেডিংলি টেস্টে ১৮০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয়ের হাসি পেয়েছিল পাকিস্তান। প্রতিপক্ষ অবশ্য ইংল্যান্ড নয়, ছিল অস্ট্রেলিয়া। ১৪ বছর পর সেই রেকর্ড থেকে পাকিস্তানের নাম হটিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ডের মাঠে এশিয়ার কোনো দেশের সর্বোচ্চ রান তাড়ার নতুন কীর্তি গড়ল ধনঞ্জয়া ডি সিলভার দল।

আগের দিনের ১৫ ওভারে ১ উইকেটে ৯৪ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল সফরকারীরা। সঙ্গে ছিল জয়ের মিষ্টি সুবাস। এদিন ২৫.৩ ওভারে তারা তোলে ১২৫ রান। হারায় কেবল কুসল মেন্ডিসের উইকেট। মেন্ডিস ৩৭ বলে ৭ চারে ৩৯ রান করে পেসার গাস অ্যাটনিকসনের বাউন্সারে আউট হন শোয়েব বশিরকে ক্যাচ দিয়ে।

এরপর তৃতীয় উইকেটে গড়ে ওঠে ১২৬ বলে ১১১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ধীরে ধীরে নিভে যায় ইংল্যান্ডের ক্ষীণ আশা। নিসাঙ্কা ১৩ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ১২৪ বলে ১২৭ রানের ঝলমলে ইনিংস। ১১ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

প্রথম ইনিংসে ঝড় তুলে ৫১ বলে ৬৪ রান করেছিলেন নিসাঙ্কা। ৬৮ বলে ফিফটি স্পর্শের পর তিনি তিন অঙ্কে পৌঁছান ১১৭ বলে। স্পিনার বশিরকে কাট করে চার মেরে খেলা শেষ করে দেন তিনি। তার হাতেই ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস অপরাজিত থাকেন ৬১ বলে ৩২ রানে।

টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দীর্ঘ এক দশকের অপেক্ষা শেষে জয় পেল শ্রীলঙ্কা। সবশেষ ২০১৪ সালের হেডিংলি টেস্টে থ্রি লায়ন্সদের হারিয়েছিল তারা। মাঝে খেলা ১০ টেস্টের নয়টিই জেতে ইংলিশরা। ড্র হয়েছিল বাকিটি।

প্রথম দুই টেস্ট জিতে সিরিজ অবশ্য আগেই নিজেদের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ওঠে তাদের তারকা ব্যাটার জো রুটের হাতে।

Comments

The Daily Star  | English

Drug sales growth slows amid high inflation

Sales growth of drugs slowed down in fiscal year 2023-24 ending last June, which could be an effect of high inflationary pressure prevailing in the country over the last two years.

16h ago