আন্দোলনে প্রাণ হারানোদের জয় উৎসর্গ করলেন শান্ত

ছবি: এএফপি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে গত প্রায় দেড় মাসে বহু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসাধীনদের অনেকে মারা যাওয়ায় নিহতের সংখ্যা এখনও বাড়ছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়কে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত উৎসর্গ করলেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রাণ হারানো এই মানুষদের উদ্দেশ্যে।

রোববার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে টাইগাররা। স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১৪ টেস্টে প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাঠে তাদের বিপক্ষে সব মিলিয়ে ২১ আন্তর্জাতিক ম্যাচেও এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়। শুধু তাই নয়, নিজেদের সুদীর্ঘ টেস্ট ইতিহাসে নিজেদের মাটিতে এই প্রথম কোনো ম্যাচে ১০ উইকেটে হারল পাকিস্তানিরা।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যখন নাজমুল হোসেন শান্তর ডাক পড়ে, তখন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাইক্রোফোন হাতে এগিয়ে এসে বলেন, 'আমি কি কিছু বলতে পারি?' সঞ্চালকের সম্মতির পর তিনি বাংলায় বলেন, 'সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, এই জয়টা আমরা তাদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করছি এবং তাদের জন্য আমাদের অনেক অনেক দোয়া।'

ম্যাচের শেষ দিনে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস ১৪৬ রানেই আটকে দেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দল। প্রথম ইনিংসে ১১৭ রানের বড় লিড থাকায় বাংলাদেশের জন্য জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় স্রেফ ৩০ রানের। সেটা তাড়ায় নেমে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে অনায়াসে খেলা শেষ করেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম।

বাঁহাতি ব্যাটার শান্তর জন্য এই জয়টা আরও একটি ব্যক্তিগত কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। আজ তার ২৬তম জন্মদিন। গতকাল রাতে তার স্ত্রী শান্তকে ফোন করে বলেছিলেন, 'কাল (রোববার) যদি তোমরা জিততে পারো, দারুণ ব্যাপার হবে তোমার জন্য।' হলোও তাই। স্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের গল্প শুনিয়ে শান্ত বলেন, 'এই জয়টা বিশাল আমাদের জন্য।'

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পুঁজি ৫৬৫ হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন মুশফিকুর রহিম। টেস্ট ক্যারিয়ারের একাদশ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ১৯১ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলেন তিনি। সফরকারীদের স্মরণীয় জয়ের পর অনুমিতভাবে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। তিনি পুরস্কার হিসেবে পাওয়া অর্থ বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Familiar Dhaka in an unfamiliar mood

The familiar city now appears in an unfamiliar form—no traffic jams, no honking, no packed footpaths

3h ago