পাকিস্তানে ঐতিহাসিক সাফল্যের পর ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

ছবি: বিসিবি

পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সেখানে ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ ও বিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন ড. ইউনূস।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানান প্রধান উপদেষ্টা। পাকিস্তানের মাটিতে তাদের সাফল্যকে ঐতিহাসিক হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। তিনি বলেন, পুরো জাতি তাদের অর্জনে গর্বিত।

ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'আমি জয়ের পর অধিনায়কের (নাজমুল হোসেন শান্ত) সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে সবার সঙ্গে দেখা করতে এবং জাতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম।'

একটি জাতিকে একত্রিত করার জন্য খেলাধুলার শক্তির কথা উল্লেখ করেন দেন ড. ইউনূস। গত জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত প্যারিস অলিম্পিকে তার ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন যেখানে তিনি একজন উপদেষ্টা ও দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

জাতীয় দলের অধিনায়ক শান্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ড. ইউনূসের কথা তাদেরকে আরও সাফল্য অর্জনে উৎসাহিত করবে।

শান্ত বলেন, 'প্রত্যেক খেলোয়াড় এখানে আসতে পেরে খুশি। এটা সত্যিই আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে।' ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের কঠোর পরিশ্রম পাকিস্তানে পাওয়া সাফল্যের জন্য মুখ্য ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ দেশের কঠিন সময়ে সাফল্য আনার জন্য খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সবশেষ টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ দল। রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে জেতে শান্তর দল।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

11h ago