‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ভারতের জন্য ক্ষতিকারক’

ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের স্থায়িত্ব দুই বছরও হয়নি, এটির ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। গত আইপিএলের সময় অনেক ক্রিকেটারই নিয়মটি তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। একই মত দিয়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের সহ-মালিক পার্থ জিন্দাল। এছাড়া ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ভারতের ক্রিকেটের জন্য ক্ষতিকারক বলে মত দিয়েছেন তিনি।
নানান ইস্যু নিয়ে সব ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্তাদের সঙ্গে গতকাল (বুধবার) মিটিংয়ে বসেছিল বিসিসিআই। মেগা অকশন থাকা উচিত কিনা, হলে কত বছর পর, রিটেনশন সংখ্যা, রাইট-টু-ম্যাচ কার্ড- এসবের সঙ্গে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারও আলোচ্য বিষয় ছিল। বৈঠক শেষে দিল্লির মালিকপক্ষের একজন জিন্দাল কথা বলেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। সেখানে তিনি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ে তার মতামত খোলামেলা জানিয়ে দেন, 'আমি এটা চাই না। আমি খেলাটা যেমন আছে তেমনই পছন্দ করবো, ১১ বনাম ১১।'
এর পেছনের কারণ তিনি ব্যাখ্যা করে আরও বলেন, 'কিছু মানুষ ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার চায় কারণ এটি তরুণ খেলোয়াড়দের আইপিএলে খেলার সুযোগ করে দেয়। অলরাউন্ডার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটি ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য ক্ষতিকর, এজন্য কিছু মানুষ নিয়মটি চায় না। তো মিশ্র মতামত। আমি দ্বিতীয় দলেই আছি। আর আমার মনে হয় অলরাউন্ডাররা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আইপিএলে বিভিন্ন খেলোয়াড় দেখা যায় যারা বোলিং করেন না, অথবা ব্যাটিং করেন না, তা এই নিয়মের কারণেই। যা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য ভালো দিক নয়।'
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের কারণে বাড়তি খেলোয়াড় দলে রাখার সুযোগ পাচ্ছে দলগুলো। এজন্য বোলিং-ব্যাটিংয়ে অপশন বেড়ে যাচ্ছে। আর এ কারণে শিবাম দুবে, ভেঙ্কটেশ আইয়ারদের মতো অলরাউন্ডাররা ২০২৪ আইপিএলে হাত ঘোরানোর সুযোগই পাননি বলতে গেলে। এমনকি ব্যাটে-বলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকা অক্ষর প্যাটেল ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ে অপছন্দের কথা জানিয়েছিলেন।
অলরাউন্ডারদের গড়ে ওঠার সুযোগ দিচ্ছে না, একই কারণে গত আইপিএলের সময়ে রোহিত শর্মাও বলেছিলেন তিনি এটি পছন্দ করেন না। মোহাম্মদ সিরাজ সরাসরি বলে দিয়েছিলেন, 'প্লিজ এটি সরিয়ে ফেলুন।'
ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা সব পক্ষের মতামত নিবে। বিসিসিআইয়ের হেড কোয়ার্টারে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে বুধবারের বৈঠকের ফলাফল জানানো হবে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলকে। এরপর আগস্টের শেষ দিকে সিদ্ধান্তগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে।
Comments