এক সপ্তাহেই তিনটি টুর্নামেন্টে খেললেন আমির

mohammad amir
ছবি: এএফপি

এক লিগ থেকে ক্রিকেটারদের আরেক লিগে ঘুরে বেড়ানো এখন আর নতুন ঘটনা নয়। তাই বলে এক সপ্তাহেই তিন তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলা! মোহাম্মদ আমির সত্যিই সাত দিনের মধ্যে তিনটি ভিন্ন দলের হয়ে খেলে ফেলেছেন। পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার ইংল্যান্ডে দুটি টুর্নামেন্ট শেষে কানাডায় উড়াল দিয়ে আরেকটি টুর্নামেন্টে খেলছেন।

২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর শেষ কয়েক সপ্তাহ অভিজ্ঞ আমির ইংল্যান্ডেই কাটান। ব্যস্ত সময় পার করেন ভাইটালিটি ব্লাস্টে। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ডার্বিশায়ার ফ্যালকনসের হয়ে ৫ ম্যাচ খেলে তিনি পান ৩ উইকেট। তার শেষ ম্যাচটি ছিল গত ১৯ জুলাই। এরপর দ্য হান্ড্রেডেও ডাক চলে আসে পাকিস্তানের হয়ে একশর বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা গতি তারকার।

গত ২৩ জুলাই একশ বলের টুর্নামেন্টের চলতি বছরের উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামেন আমির। বার্মিংহাম ফিনিক্সের বিপক্ষে ১৫ বল করে ১০টি ডট আদায় করে নেন তিনি। ওভাল ইনভিন্সিবলের হয়ে আমির ৭ রান খরচেই শিকার করেন ২ উইকেট। যদিও ওভালের সঙ্গে তার পথচলা এক ম্যাচেই থেমে যায়। মূলত, অস্ট্রেলিয়ার পেসার স্পেন্সার জনসন মেজর লিগ ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকায় শুরু থেকে যোগ দিতে পারেননি ইংল্যান্ডের এই লিগে। দ্য হান্ড্রেডের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন দলে তাই এক ম্যাচের জন্য আনা হয় আমিরকে।

সেই ম্যাচে নিজের ঝলক দেখিয়েই আমির উড়ে যান কানাডায়। ইংল্যান্ডে খেলার দুদিনের মধ্যে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী ম্যাচে খেলতে নামেন ভ্যানকুবার নাইটসের পক্ষে। গত ২৫ জুলাই টরন্টো ন্যাশনালসের বিপক্ষে ২ ওভার বোলিং করে কোনো উইকেট না পেলেও রান দেন মাত্র ৭। এরপর ব্যাট হাতে শূন্য রানে আউট হন ৩২ বছর বয়সী ক্রিকেটার।

১৯ জুলাই ভাইটালিটি ব্লাস্টে ডার্বিশায়ারের হয়ে, ২৩ জুলাই দ্য হান্ড্রেডে ওভালের পক্ষে ও ২৫ জুলাই গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে ভ্যানকুবারের জার্সিতে- এভাবেই এক সপ্তাহের ভিতরে তিনটি ভিন্ন দল, তিনটি ভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলা হয়ে যায় আমিরের। সব মিলিয়ে ২৯৫টি টি-টোয়েন্টি খেলা এই পেসারের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের বর্তমান ঠিকানা গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডা।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

12h ago