অবসরের ঘোষণা দিলেন কার্তিক

Dinesh Karthik
দীনেশ কার্তিক। ফাইল ছবি: পিটিআই

ইঙ্গিতটা আগেই ছিলো, বাকি ছিলো স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার। সেটা সেরে নিলেন দীনেশ কার্তিক। সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের এই উইকেটকিপার ব্যাটার।

শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে টুইট করে বিদায় বার্তা দেন কার্তিক। ৩৯ পেরুনো তারকা জানান তিনি তার খেলোয়াড়ী জীবন পেছনে ফেলে এসেছেন,  'অনেকে ভেবেচিন্তে এখন সিদ্ধান্ত নিলাম আমি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে আর নেই। আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আমার অবসর ঘোষণা করছি, আমার খেলোয়াড়ি জীবন পেছনে পড়ে রইল। আগামীতে নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজ করব।'

বিদায় বেলায় দীর্ঘ যাত্রার সঙ্গীদের স্মরণ করেন কার্তিক, 'আমি আমার সব কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক, সতীর্থ ও সব সাপোর্ট স্টাফকে ধন্যবাদ দেই। আমার এই লম্বা যাত্রা আনন্দময় ছিলো।'

২০০২/২০০৩ মৌসুমে প্রথম শ্রেণীতে অভিষেক কার্তিকের। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে শুরু হয় তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ওই বছরই মুম্বাইতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষিক্ত হন তিনি। টি-টোয়েন্টি সংস্করণ আবিষ্কার হয় তারও পরে। শুরু থেকেই খেলেছেন কুড়ি ওভারের ক্রিকেট।

ভারতের হয়ে ১৮০টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর তামিল নাড়ুর হয়ে ১৬৭ প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলা কার্তিক আইপিএলে হয়ে উঠেন কিংবদন্তিদের একজন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন চারশোর বেশি ম্যাচ। আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে সংক্ষিপ্ততম সংস্করণ হয়ে উঠেন তুমুল আলোচিত মুখ।

সর্বশেষ আইপিএলেও কার্তিকের ব্যাট কথা বলেছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ১৫ ম্যাচে ১৮৭.৩৫ স্ট্রাইকরেটে করেন ৩২৬ রান। আইপিএলে শেষ ম্যাচের দিনই বিদায়ের আভাস দেন। এবার জানালেন আর কোন ধরণের স্বীকৃত ক্রিকেটে দেখা যাবে না তাকে।

কার্তিকের পরের গন্তব্য অবশ্য সবারই জানা। খেলোয়াড়ি জীবনেই ধারাভাষ্যে উজ্জ্বল উপস্থিতি দিয়ে নজর কেড়ে নিয়েছেন তিনি। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাকে ধারাভাষ্য দিতে দেখা যাবে। দারুণ বাকপটু, তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণ দিয়ে ইতোমধ্যে দর্শকদের পছন্দের তালিকাতেও উঠে এসেছেন কার্তিক।

Comments

The Daily Star  | English
India visa restrictions for Bangladeshi patients

A wake-up call for Bangladesh to reform its healthcare

India’s visa restrictions on Bangladeshi nationals, while initially perceived as a barrier, could serve as a wake-up call for Bangladesh to strengthen its healthcare system and regain the confidence of its patients.

12h ago