ভারতের কোচের পদে মোদি, টেন্ডুলকার, ধোনিদের নামে তিন হাজার আবেদন 

ভারতের প্রধান কোচের পদে আবেদনের সময় শেষ হয়েছে সোমবার। এই চাকরির জন্য তিন হাজারের বেশি আবেদন পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআই। বিসিসিআইয়ের সচীব জয় শাহ আবেদনকারীদের তালিকায় চোখ যদি বোলান, তাহলে তার বাবা অমিত শাহর নাম সেখানে দেখে চমকেই যেতে পারেন। অবশ্য শুধু অমিত শাহ নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নামেও জমা হয়েছে আবেদন। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শচীন টেন্ডুলকার, মহেন্দ্র সিং ধোনি, বীরেন্দর শেওয়াগদের নামেও আবেদন জমা পড়েছে।

দেশটির গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, জনপ্রিয় ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদদের নাম দিয়ে অনেক নকল আবেদন জমা পড়েছে বিসিসিআইয়ের কাছে। চলতি মাসের ১৩ তারিখ গুগল ফর্মের মাধ্যমে আবেদনের সুযোগ করে দেয় ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। অর্থাৎ ইন্টারনেটে উন্মুক্ত ফর্মটিতে যে কারো সুযোগ ছিল আবেদন করার।

এর আগে সবশেষ যখন প্রধান কোচের পদে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বিসিসিআই, তখনও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল তাদের। ২০২২ সালে অবশ্য গুগল ফর্মের বদলে মেইলের মাধ্যমে আবেদন চেয়েছিল সংস্থাটি। ওই সময় আবেদনের সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজারের বেশি।

এবার ২৭ মে শেষ হয়েছে প্রধান কোচের পদে আবেদনের সময়। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে দায়িত্ব নেওয়া রাহুল দ্রাবিড়ের দ্বিতীয় চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে আসন্ন বিশ্বকাপ শেষেই। নতুন চুক্তি করতে আগ্রহী নন ভারতের এই কিংবদন্তি। প্রধান কোচ চেয়ে এরপর বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর এই সময়ে অনেক বড় ক্রিকেটারের নাম জড়িয়েছে ভারতের ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ এ পদের সঙ্গে।

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং প্রস্তাব পাওয়ার কথা বলেছিলেন। যদিও জয় শাহ পরে বলেছিলেন, তাদের তরফ থেকে কোনো অস্ট্রেলিয়ানকে প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। পন্টিংয়ের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ পদে আগ্রহ দেখাননি জাস্টিন ল্যাঙ্গার, স্টিফেন ফ্লেমিং ও কুমার সাঙ্গাকারা। ভারতীয়দের মধ্যে গণমাধ্যমে এসেছে গৌতম গম্ভীরকে প্রস্তাব দেওয়ার খবর। শেষ পর্যন্ত কে হবেন ভারতের কোচ, সেটা ভালো করেই পর্যালোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানিয়েছেন জয়। তবে তার আগে আবেদনকারীদের তালিকায় যখন শচীন কিংবা ধোনির নাম দেখবেন বিসিসিআই কর্মকর্তারা, কোচ বেছে নেওয়ার পূর্বে তাদের জেনে নিতে হবে, তিনি আসল ধোনি না নকল।

Comments

The Daily Star  | English

Abdul Hamid returns home after treatment in Thailand

Two police officials were withdrawn and two others suspended for negligence in duty regarding the former president's departure from the country

1h ago