আবাহনীর হারে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার লড়াইয়ে নতুন মোড়

ছবি: সংগৃহীত

সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারিয়ে দিয়েছিল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। এতে আবাহনী লিমিটেড এগিয়ে গিয়েছিল ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শিরোপার দৌড়ে। তবে সুবিধাটা ধরে রাখতে পারল না আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। তাদেরকে পরাস্ত করে আসর জমিয়ে তুলল সেই গাজীই।

বুধবার সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস পদ্ধতিতে গাজীর কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে আবাহনী। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.২ ওভারে ২৪৬ রানে অলআউট হয় আবাহনী। এরপর বৃষ্টির কারণে গাজী পায় ৪৫ ওভারে ২১৪ রানের লক্ষ্য। মেহেরব হোসেন ও আসাদুল্লাহ আল গালিবের ফিফটিতে ১৯ বল হাতে রেখে তারা জয় নিশ্চিত করে।

সুপার লিগে প্রথম হারের স্বাদ পাওয়া আবাহনীর পয়েন্ট ১৫ ম্যাচে ২৬। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট রয়েছে প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের নামের পাশে। দিনের আরেক ম্যাচে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে তারা ডিএলএস পদ্ধতিতেই ৫৯ রানে জিতেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে। তবে নেট রান রেটের হিসাবে শেখ জামালের (+০.৮০৭) চেয়ে এগিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান আবাহনীর (+১.২৬১)।

আগামী শনিবার প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের শেষ রাউন্ডে মুখোমুখি হবে শেখ জামাল ও আবাহনী। অঘোষিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে ম্যাচটি। যে দল জিতবে, তাদের হাতেই উঠবে শিরোপা। খেলার ভেন্যু মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম।

এদিন উদ্বোধনী জুটিতে ৯০ রান পায় আবাহনী। এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখের জুটিতে আসে এই রান। ৬৪ বলে ৬১ রান করে নাঈম বিদায় নিলে ভাঙে জুটি। তিনে নামা আফিফ হোসেন সুবিধা করতে পারেননি। ফিফটির কাছাকাছ গিয়ে ফেরেন অধিনায়ক বিজয়। তার সংগ্রহ ৫৬ বলে ৪৩ রান।

মাহমুদুল হাসান জয় ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এরপর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। এতে চ্যালেঞ্জিং পুঁজির দিকেই এগোচ্ছিল আবাহনী। তবে তাদের ৪৪ রানের চতুর্থ উইকেট জুটির পতনের পর খেই হারায় আবাহনী। পরের ৭ উইকেট হারিয়ে তারা যোগ করতে পারে মাত্র ৫৯ রান।

জয় ৫৪ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন। জাকের আলী অনিক ৩ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি। মোসাদ্দেক ৩৯ বল খেলে করেন ২৬ রান। পাকিস্তানের খুশদিল শাহ কাটা পড়েন রানআউটে। গাজীর পক্ষে ৪৭ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন টিপু সুলতান।

পরিবর্তিত লক্ষ্য তাড়ায় গাজীর শুরুটা ভালো হয়নি। ৪৩ রানের মধ্যে দুই ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান ও মেহেদী মারুফকে হারায় তারা। ফরহাদ হোসেন বিদায় নেন থিতু হয়ে। এরপর মেহেরব ও গালিব গড়েন ৭৫ রানের জুটি। ৬৭ বলে ৫৩ করে মেহেরব আউট হলেও গালিব গাজীকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। ৯৫ বলে অপরাজিত ৮৫ রান করেন তিনি। অধিনায়ক আকবর আলির সঙ্গে তার জুটিতে আসে অবিচ্ছিন্ন ৫৩ রান।

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles; properties vandalised

3h ago