‘প্রত্যাশা খুব একটা করার দরকার নেই’, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে শান্ত
আর মাস দেড়েক পরই শুরু হতে যাচ্ছে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ দলেরও সব পরিকল্পনা এগুচ্ছে সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের বিশ্বকাপ ঘিরে। তবে এবার বিশ্বকাপের গণমাধ্যম ও সমর্থকদের প্রত্যাশা কম রাখার অনুরোধ করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার কথায় পরিষ্কার প্রত্যাশার চাপ নিতে চাইছেন না তারা।
আগামী ৮ জুন ডালাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। 'ডি' গ্রুপে বাংলাদেশের বাকি তিন প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। সেরা দুই দল যাবে সুপার এইটে।
বাংলাদেশ বিশ্বকাপে কতদূর যেতে চায়, কত বড় স্বপ্ন দেখতে চায় এই নিয়ে আলাপ এখনি উঠছে। মঙ্গলবার একটি প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অফিসার হওয়ার অনুষ্ঠানে শান্ত উল্টো অনুরোধ করে এই ধরণের আলোচনা থামাতে চাইলেন, 'প্রতি বছরই আমি দেখি, বিশ্বকাপের আগে এসব নিয়ে অনেক কথা হয়। প্রত্যাশা... এটা করব, সেটা করব। আমার একটা অনুরোধ থাকবে আপনাদের কাছে, প্রত্যাশাটা খুব একটা করার দরকার নেই। প্রত্যাশাটা সবার মনের ভেতরেই থাক। আপনারাও জানেন, বাংলাদেশ দল কী চায়। আমরা ক্রিকেটাররাও জানি, আমরা দলকে কত দূর নিয়ে যেতে চাই। সবাই চায় যে, আমরা অনেক বড় কিছু করি। তবে এটা নিয়ে যখন অনেক বেশি মাতামাতি হয়, তখন আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগে না। আসলে দরকার নেই। ফল যখন হবে, তখন এমনিই বোঝা যাবে। আমি একটা জিনিস বলতে পারি, এই দলটা যে খেলবে, এরা প্রত্যেকটা ম্যাচে জেতার জন্য ১২০ শতাংশ দেবে। এই নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি এবং প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্যই খেলবে।'
' প্রতি বছর আমরা যখন খেলি, প্রত্যেকটা ম্যাচ অনেক আশা নিয়েই খেলি। তো আমরা যেটা পারি, সে জিনিসটা করারই চেষ্টা করব। তবে আগে থেকেই অনেক আশা করছি, এবার অনেক বেশি প্রত্যাশা করছি... একটাই অনুরোধ করব, আমরা যেন এসব নিয়ে বেশি মাতামাতি না করি।'
প্রত্যাশা করতে মানা করলেও নিজেদের টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্সে বেশ খুশি শান্ত। ঘরে মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজ হারে বাংলাদেশ। তবে তার আগের বছর ইংল্যান্ড, আফগানিস্তানের বিপক্ষে আছে জয়। সেদিক থেকে দলকে বেশ ভালো অবস্থায় দেখছেন তিনি। আগামী মাসের শুরুতে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলবেন তারা।
এই সিরিজ বেশ ভালো উইকেটে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন শান্ত, 'আমরা যদি সবশেষ ৬-৭টা সিরিজ দেখি, এই দলটা বেশিরভাগ সিরিজ জিতেছে। যেটা বললাম, দলটা ভালো অবস্থায় আছে। অবশ্যই ভালো উইকেটে খেলার ইচ্ছা আছে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমরা যে সিরিজটা খেললাম, এই ধরনের উইকেট প্রত্যাশা করছি। তারপরেও চেষ্টা করব,যুক্তরাষ্ট্রে আমরা যখন খেলব, যে ধরনের উইকেটে খেলব, সেই ধরনের উইকেটে খেলা যায় কি না। আমার মনে হয় না, এটা খুব একটা সহজ হবে। তবে ভালো উইকেটই প্রত্যাশা করছি। আর এই সিরিজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজটা যদি আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারি, আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারি তাহলে দলের জন্য অনেক ভালো কিছু হবে।'
টি-টোয়েন্টিতে এক সময় ভোগান্তি বেশি হলেও সাম্প্রতিক সময়ে দিন বদলের আভাস মিলছে। এর পেছনে দল হিসেবে খেলার কথা জানান শান্ত, '(টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার ক্ষেত্রে পরিবর্তনটা কোথায়) আমার মনে হয়, প্রথমত আমরা দল হিসেবে খেলছি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এবং আমাদের দলে কোনো বিশেষজ্ঞ কোনো ক্রিকেটার নেই। আমরা যখনই দল হিসেবে খেলি, সবার অবদান যখন থাকে, তখনই আমরা বেশি জিতি। আর ওভারল যদি বলি, পেস বিভাগ অনেক উন্নতি করেছে। পাশাপাশি স্পিন ও ব্যাটিংটাও আছে। মূল যে বিষয়টা আমার মনে হয়, দল হিসেবে আমরা যখন খেলি, সবার অবদান যখন থাকে, তখনই আমরা ম্যাচ জিতি।'
Comments